আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি তিনটি চমৎকার গেজেট। এই গেজেট গুলো সত্যিই খুব অসাধারণ।
১. Realme smart Google TV
আজকাল প্রত্যেকের ঘরে টিভি রয়েছে। খুব কম পরিবার পাওয়া যাবে যাদের বাড়িতে টিভি নেই। একটা সময় সাদাকালো টিভির প্রচলন ছিল। প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় সেটা রঙিন টিভিতে রূপান্তরিত হয়। এখন প্রযুক্তি এত উন্নত হয়ে গেছে যে, আগের সেই মোটা টিভি এখন পাতলা হতে হতে এলইডি স্ক্রিনে পরিণত হয়েছে। শুধু পাতলাই হয়নি সেই সাথে হয়ে গেছে স্মার্ট।
এক সময় টিভিতে এন্টেনা যোগ করে একটি মাত্র চ্যানেল দেখা যেত। এরপর স্যাটেলাইট কেবল অর্থাৎ ডিস ব্যবহার করে অনেক চ্যানেল দেখার সুযোগ পায় জনগণ। এই ইন্টারনেটের যুগে ইন্টারনেট সংযুক্ত করেও টিভি দেখে অনেকে। টিভি এখন আপনার কম্পিউটারের মতো হয়ে গেছে। এই টিভিতে ইউটিউব, নেটফ্লিক্স ছাড়াও আরো অন্যান্য বিনোদনমূলক অ্যাপস চালানো যায়। এই ধরনের টিভিগুলোকে বলে অ্যান্ড্রয়েড টিভি। এগুলোর দাম তুলনামূলকভাবে বেশি।
আপনার ঘরে যদি অ্যান্ড্রয়েড টিভি না থাকে, তাহলেও আপনি আপনার এলইডি টিভি অ্যান্ড্রয়েড টিভিতে রূপান্তর করতে পারবেন। এর জন্য প্রয়োজন হবে realme smart Google TV এটা পেনড্রাইভের চেয়ে একটু বড়। এলইডি টিভির পেছনে ইউএসবি পোর্টে এটা সংযুক্ত করতে হবে। আপনি এটাকে আপনার ওয়াইফাই এর সাথেও কানেক্ট করতে পারবেন। এখন আপনি নিশ্চিন্তে আপনার নরমাল এলইডি টিভিকে অ্যান্ড্রয়েড টিভিতে রূপান্তর করতে পারবেন। এই ছোট্ট ডিভাইসটি অনেক কাজের। এটার মাধ্যমে আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করে সারা বিশ্বের সাথে সংযুক্ত হতে পারেন।
২. Hand Energy
আমরা অনেকে আছি যারা বিভিন্ন জায়গায় ট্রাভেল করি। এছাড়া দেখা যায় রেলস্টেশন বা বাস, ট্রেনে ভ্রমণ করি। এই সময় মোবাইলে চার্জ দেওয়া নিয়ে বিরাট বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়। কেননা আমাদের দেশগুলোর বাস-ট্রেনে মোবাইল চার্জ দেওয়ার কোনো অপশন থাকে না। এর ফলে দেখা যায় পাওয়ার ব্যাংকের উপর নির্ভর করে থাকতে হয়। কিন্তু একসময় পাওয়ার ব্যাংকেরও চার্জ ফুরিয়ে যায়। তখনই শুরু হয় আসল বিপত্তি।
আচ্ছা, এমনটা যদি হতো আমাদের হাতে ছোট্ট একটি জেনারেটর থাকতো, এবং সেই জেনারেটর থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হতো। আপনি হয়তো বলতে পারেন এটা আকাশ কুসুম কল্পনা। এটাকে অবাস্তব মনে হলেও, বাস্তবে এমন একটি ছোট্ট জেনারেটর আছে। এটার নাম Hand Energy
এটা ছোট্ট একটি টেনিস বলের মতো। এটার মধ্যে আছে ঘূর্ণনায়ন ভারী মেটাল ডিস্ক। আপনি যদি এই গোল ডিভাইসটিকে হাত দিয়ে ধীরে ধীরে নাড়াচাড়া করেন তাহলে ভেতরের ভারী মেটাল ডিস্ক ঘুরতে শুরু করবে। এবং তখনই স্বল্প ভোল্টেজের বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে। এটা খুবই চমৎকার একটি ডিভাইস। এটায় ইউএসবি পোর্ট আছে। সেখানে ক্যাবলের সাহায্যে আপনার মোবাইলের সংযোগ স্থাপন করবেন। আপনি অবসর সময়ে হাত নাড়াতে থাকবেন এবং মোবাইলেও চার্জ হতে থাকবে। চার্জ নেই এখন আর কোনো চিন্তা নেই। হাতের মুঠোয় এখন জেনারেটর।
আরো পড়ুন: ১০০০ টাকার মধ্যে পাঁচটি গেজেট
৩. SMACO S300
আমাদের দেশটা সত্যিই অসাধারণ সুন্দর। সবুজ শ্যামল এই মাতৃভূমি। যার কিছু অংশ রয়েছে পাহাড়। বৃহৎ অংশ সমতল। জালের মতো ছড়িয়ে আছে অসংখ্য নদী। আমাদের দেশের একটি অন্যতম সুন্দর জিনিস হচ্ছে সমুদ্র। প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ মানুষ সমুদ্র তটে ঘুরতে যায়। আমাদের দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন।
এখানেও হাজার হাজার মানুষ ঘুরতে আসে। আমাদের সবারই প্রবল আকাঙ্ক্ষা থাকে যে সমুদ্রের নিচে কী আছে তা দেখার। এজন্য অনেকে অবশ্য মেরিন ড্রাইভ দিয়ে থাকে। যেটা অনেক ব্যয়বহুল। যার জন্য প্রয়োজন বিশেষ এক প্রশিক্ষণ।
মেরিন দেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি বাধা হয়ে দাঁড়ায় এর অক্সিজেন সিলিন্ডার। অক্সিজেন সিলিন্ডারের দাম অনেক বেশি। তাই সাধারণ মানুষ এই ব্যবহার বহন করতে পারে না। সমুদ্রের তলদেশ দেখার আকাঙ্ক্ষা আকাঙ্ক্ষাই থেকে যায়।
তবে সমুদ্র প্রেমীদের জন্য আছে সুখবর। SMACO S300 হলে একটি ছোট্ট অক্সিজেন সিলিন্ডার।
এটার মধ্যে ১০ মিনিট নিঃশ্বাস নেওয়ার মতো অক্সিজেন থাকে। এটা মুখে লাগিয়ে আপনি অনায়াসে সমুদ্রের গভীরে ডুব দিতে পারবেন। এটা ব্যবহার করার জন্য কোনো প্রশিক্ষণ প্রয়োজন নেই। পুকুরে যেভাবে সাঁতার কাটেন এটা ব্যবহার করেও আপনি সেভাবেই সাঁতার কাটতে পারবেন।