অনলাইন আয় করার সবথেকে সহজ মাধ্যমটি হচ্ছে পিটিসি (PTC)। পিটিসি (paid to click) PTC সাইটগুলোতে ক্লিক করার মাধ্যমেই আয় করা সম্ভব হয়। সারা বিশ্বে প্রায় ১ হাজারেরও বেশি পিটিসি (PTC) সাইট রয়েছে, যার অধিকাংশই ভূয়া এবং নতুন। অনেক সাইটই আছে যারা কিছুদিন চালানোর পর উদাও হয়ে যায়।
তাই পিটিসি সাইটগুলোতে কাজ শুরু করার পূর্বে অবশ্যই এই সাইটগুলো সম্পর্কে ভালোভাবেই জেনে নিতে হবে। শুধুমাত্র ভালো ও লিগেল পিটিসি সাইটগুলোতে কাজ করতে হবে। অন্যথায় হয়রানির স্বীকার হওয়া ছাড়া কিছুই পাবেন না।
আমার এই আর্টিকেলটিতে অবশ্যই ভালো এবং লিগেল এমনকি দীর্ঘদিন যাবত পেমেন্ট দিয়ে আসছে এ ধরনের পিটিসি (PTC) সাইটেরই আলোচনা হবে।

ইউটিউবের মাধ্যমে ইনকাম | অনলাইন আয়
অনলাইনে ইনকাম করার পদ্ধতি এর মধ্যে আরেকটি সহজ মাধ্যম হচ্ছে ইউটিউব। এখানে আয় করার জন্য আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে। আর তার জন্য আপনি ভিডিও তৈরি করে আপলোডর দেওয়ার মাধ্যমে আয় করতে পারেন। এর জন্য কিছু শর্ত পূরন সাপেক্ষে ইউটিউবে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। ইউটিউবে ভিডিও আপলোড দিয়ে তারপর এডসেন্স সেটিং করে ইনকাম করতে হয়।
ইউটিউব থেকে আয়ের প্রধান উৎস বিজ্ঞাপন। যার অর্থ আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলটিকে বিজ্ঞাপন দাতাদের ব্যবহার করতে দেবেন এবং পরিবর্তে আপনি তাদের থেকে টাকা পাবেন। অর্থাৎ আপনার ইউটিউব ভিডিওর শুরুতে বা মাঝে বিজ্ঞাপনদাতারা তাঁদের বিজ্ঞাপন দেখাবেন আর আপনি ইউটিউব থেকে ইনকাম করবেন।
ইউটিউব থেকে টাকা আয়ের উপায়
ইউটিউব থেকে আয় করতে হলে আপনাকে সর্বপ্রথম একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে। আপনার জি-মেল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই নিজের ইউটিউব চ্যানেল খুলে নিতে পারবেন।
তবে ইউটিউব চ্যানেল খুললে এবং ভিজিটর সেই ভিডিও দেখলেই সেখান থেকে আয় হবে না। ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য আপনাকে ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম-এ আপনার চ্যানেলকে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। আপনার চ্যানেল-কে ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে অন্তর্ভূক্ত করার পরই ইউটিউব বিভিন্ন বিজ্ঞাপনদাতাদের ভিডিও সেখানে দেখাবে যার পরিবর্তে ইউটিউব আপনাকে টাকা বা ডলার প্রদান করবে।
আরো পড়ুন: ফেসবুক থেকে আয় করার উপায়
ইউটিউব পার্টনাশিপ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করার জন্যও আপনাকে কয়েকটি প্রাথমিক শর্ত পূরণ করতে হবে এবং সেই শর্তগুলি পূরণ হলে কেবলমাত্র তখনই আপনি এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ইউটিউব পার্টনারশিপ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের শর্তগুলি হল-
- আপনার চ্যানেলে কমপক্ষে ১০০০ জন সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে।
- সর্বশেষ ১২ মাসে আপনার চ্যানেলের ৪,০০০ ভ্যালিড পাবলিক ওয়াচ আওয়ার (অর্থাৎ ২৪০০০০ মিনিট) থাকতে হবে।
- আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে একটি গুগল্ অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট সংযুক্ত থাকতে হবে।
একটি ওয়েবসাইট হচ্ছে যে কোন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী বা ব্যক্তির অনলাইন পরিচয়। যে কোন ধরনের কোম্পানি, স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নামে ওয়েবসাইট খুলে থাকেন। যাতে করে ইন্টারনেটে বা অনলাইন জগতে তাদের সম্পর্কে জানা যায় এবং তাদের বিভিন্ন সেবা বা সার্ভিস সম্পর্কে সকলকে সহজেই তথ্য প্রদান করতে পারেন। এই ধরনের সকল ওয়েবসাইট হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট।
কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইটের বাহিরেও রয়েছে লক্ষ লক্ষ ওয়েবসাইটের যেগুলো পরিচালনা বা মালিক যে কোনো ব্যক্তি। এ জাতীয় ওয়েবসাইটে সাধারণত যেকোনো টিপস, ট্রিকস, আইডিয়া, খবর, চাকরির খবর, বিনোদন, খেলার খবর, রিভিউ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে তৈরি করা হয়। এই ধরনের ওয়েবসাইট গুলো করা হয় সাধারণত সখের বসে অথবা ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে।
ওয়েবসাইট বা ব্লগ থেকে আয়ের সংক্ষিপ্ত কয়েকটি পদ্ধতি
১. বিজ্ঞাপন থেকে আয়: আপনার ওয়েবসাইটে যদি ভালো মানের আর্টিকেল থাকে তার পরিবর্তে ভালো মানের ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করবে। তাহলে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন কোম্পানীর বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। এটা আবার দুই ধরনের-
- লোকাল বিজ্ঞাপন এবং
- গুগল এডসেন্স বিজ্ঞাপন
২. নিজের কোন পণ্য বিক্রয় করে আয়: আপনার সাইট যদি জনপ্রিয় হয় তাহলে প্রতিদিন অনেক ভিজিটর ভিজিট করবে। আর আপনি আপনার নিজের তৈরি করা যে কোন ধরনের পণ্যের বিজ্ঞাপন সেখানে দিতে পারেন এবং সেখান থেকে আপনার পণ্যের ভালো বিক্রয় নিশ্চিত করতে পারবেন।
♥ অনলাইনে ইনকাম করার পদ্ধতি (অনলাইনে আয় করার সহজ উপায়) ♥
৩. অ্যাফিলিয়েট মার্কিটিং করে আয়: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে সেলসম্যান এর মত। এখানো আপনাকে বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য বিক্রয় করে দিতে হবে তার পরিবর্তে আপনি বিক্রয়কৃত পণ্যের বিপরীত ঐ পণ্যের মালিক আপনাকে কমিশিন দিবে।