বন্যার পানি ক্ষতি থেকে কিভাবে নিজে এবং পরিবারকে বাঁচাবেন

বন্যার পানি আমাদের দেশে অতি পরিচিত একটি বিষয়। তাছাড়া বাংলাদেশ নদী বহুল একটি দেশ। এদেশের চারিদিকে সাপের মতো ছড়িয়ে আছে ছোট বড় অনেক নদী-নালা। আর নদী বহুল একটি দেশে বন্যা হতেই পারে। তাই আমাদেরেও উচিৎ বন্যার সময় নিজেদের সে রকম প্রস্তুত রাখা।

আজ এমন কিছু বিষয় জানবো যার মাধ্যমে যে কোনো বন্যা পরিস্থিতিতে আমরা নিজেদের টিকিয়ে রাখতে পারবো। আর এই বিষয় আমরা প্রত্যেকেই জানা অতি প্রয়োজন।

বন্যার পানি মোকাবিলার প্রস্তুতি

  • বন্যার পানি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতির জন্য আমাদের ধারাবাহিক ভাবে কিছু প্রস্থুতি নিতে হব।
    প্রথম প্রস্তুতি হচ্ছে আমাদের সাতার শিখতে হবে। এবং পরিবারের প্রতিটি শিশু সহ যারা সাতার শিখার উপযোগি তাদের সাতার শিখানো । কারন আপনি আর যাই করুন প্রথমে পানি থেকে কোনো একটা স্থল ভূমিতে আসতে হবে। আর হঠাৎ করে নৌকা বা ভেলা নাও পেতে পারেন। আপনি যদি সাতার জানেন তবে কিন্তু আপনি প্রাথমিক ভাবে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন।
  • দ্বিতীয়তো আমরা চৈত্রের শেষের দিক থেকে আমাদের কিছু খাদ্য এবং হঠাৎ বন্যা মোকাবেলার জন্য কিছু উপদ্রব্য সংগ্রকরে রাখা। তাছাড়া আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রত্যেকের উচিৎ একটি জরুরী ফান্ড থাকা। কারণ আমাদের এই ফান্ড থাকলে আমরা যে কোনো দূর্যোগ মোকাবেলায় সাহায্য করবে। তাই আমাদের একটা ফান্ড তৈরী করা উচিৎ যে কোনা খারাপ সময় সাপোর্ট পাওয়ার জন্য।
  • তৃতীয়তো আমাদের সরকর কর্তৃক বন্যা মোকাবেলার জন্য একটা ফান্ড থাকা জরুরী। যেহেতু বাংলাদেশ বন্য বহুল একটি দেশ আর আজ সিলেট কাল ঢাকা পরশু অন্য কোনো জেলা বন্যার কবলে পরতে পারে। আর আমরা দেখেছি প্রতি বর্ষা সময় কোনো না কোনো জেলা উপজেলা বন্যার কবলে পরেছে।

সুতরাং আমাদের দেশে সরকারি সহয়তায় বন্যার মতো যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য ফান্ড গঠন করা জরুরী ।

বন্যার পানির হাত থেকে বাচার উপায়

বন্যার পানির হাত থেকে বাচার উপায় হলো আমাদের নদী-নালা খাল-বিল গুলো সবসময় পরিষ্কার রাখা। প্রতি বছর সংস্কার করা। যাতে পানির স্রোত তার ধারাবাহিকতায় বাধাগ্রস্থ না হয়।

এবং আমরা যখনি বাসস্থান নিরমাণ করবো তখন ঐ জায়গার আগের ও পরের সব তথ্য সংগ্রহ করবো। তার পর আমরা এখানে বাসস্থান নিরমাণ করবো। এই কাজ করলে আমাদের ধারণা হবে এখানে কখনো বন্যা হলো কতটুকু হতে পারে। এখানো ভূমি কম্পের প্রভাব কেমন। এখানে বছরে কেমন বৃষ্টি হয়। এই বিষয় গুলো জানতে পারলে আপনি বন্যার পানি আসার আগে নিজেকে তৈরি করে নিতে পারবেন। এবং সরকারি ভাবে প্রতিটা মানুষকে এরকম পরিস্থিতিতে মানুষের করণীয় যে বিষয় গুলো আছে তা প্রশিক্ষন দেয়া প্রয়োজন।

আমাদেরও উচিৎ বই পড়ে বা কারো সহয়তা নিয়ে এই বিষয় গুলো নিয়ে আরো বেশি করে জানা। কারণ এটা আমাদের জীবন চলার পথে সব সময় প্রয়োজন পরবে। তাই আমাদের উচিৎ যে কোনো দূর্যোগ মোকাবেলায় নিজেকে টিকিয়ে রাখা বা মানিয়ে নেয়ার কৌশল জেনে নেওয়া।

বন্যার পানি সহ বিভিন্ন সংকটে আমরা যে ভুল করি

বন্যার পানি সহ বিভিন্ন সংকটে আমরা যে ভূল করি এগুলোর মধ্যে কিছু ভূল নিচে তুলে ধরলাম। এই ভুল গুলোর মধ্যে প্রথম ভূল হলো

  • আমাদের যে নিরদেশনা দেওয়া হয় আমারা সেটা খেয়াল রাখিনা বা মানিনা।
  • পানি আসার কথা শুনার পরেও আমরা কোনো প্রস্তুতি নেই না।
  • আমরা বিচলিত হয়ে যাই।আমরা আশ্রয় কেন্দ্রে সহযে যেতে চাইনা।

ইতিকথা- আমারা আমাদের দেশের আবহাওয়া বার্তা সব সময় শুনবো এবং যে কোনো সংকটের পূর্বে আমরা একটা প্রস্তুতি রাখবো যাতে আমরা কিছু দিন এই সংকটের সাথে মোকাবেলা করতে পারি। এবং আমারা এখন থেকে প্রত্যেকের একটা ইমার্জেন্সি ফান্ড তৈরি করে রাখবো যাতে আমাদের যে কোন সংকটে আমরা পেরে উঠতে পারি।

About Juyel Ahmed Liton

সুপ্রিয় “প্রোবাংলা” কমিউনিটি, ছোটবেলা থেকেই প্রযুক্তির প্রতি আকর্ষণ ছিলো এবং হয়তো সেই আকর্ষণটা অন্য দশ জনের থেকে একটু বেশি। ওয়েবসাইট, টাইপিং, আর্টিকেল লেখাসহ টেকনোলজি সবই আমার প্রিয়। জীবনে টেকনোলজি আমাকে যতটা ইম্প্রেস করেছে ততোটা অন্যকিছু কখনো করতে পারেনি। আর এই প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ থেকেই লেখালেখির শুরু.....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *