“কাঠবিড়ালি কাঠবিড়ালি পেয়ারা তুমি খাও” কাজী নজরুল ইসলামের এই কবিতাটির সাথে কে না পরিচিত! কাঠবিড়ালির প্রিয় ফল পেয়ারা মানুষেরও প্রিয়। গ্রাম বাংলার বাড়ির আঙিনায় কিংবা শহরের ছাদ বাগানে পেয়ারার গাছ অহরহ লক্ষ্য করা যায়। এই গাছের তেমন যত্ন করার প্রয়োজন পড়ে না। বাংলাদেশের মাটি পেয়ারা গাছের জন্য উপযোগী। তাই সাম্প্রতিক সময়ে পেয়ারার ব্যাপক হারে চাষ চলছে।
আপনারা জানলে অবাক হবেন, পেয়ারার প্রায় ১০০টিরও বেশি প্রজাতি আছে। মেক্সিকো, মধ্য আমেরিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া— এ সকল স্থানে পেয়ারা বেশি জন্মে। এটি অতি পুষ্টিকর একটি ফল। এটা ভিটামিন সি, ক্যারোটিনয়েডস, ফোলেট, পটাশিয়াম, আঁশ ও ক্যালসিয়ামে ভরপুর।
মাত্র ১০০ গ্রাম পেয়ারায় ২০০ মিলিগ্রামের চেয়েও একটু বেশি ভিটামনি সি থাকে। যা কমলার চেয়ে ৪ গুণ বেশি ভিটামিন সি। পেয়ারার খোসায় ভিটামিন সি এর পরিমাণ আরো বেশি। যা কমলায় চেয়ে পাঁচগুণ বেশি ভিটামিন সি। পেয়ারায় রয়েছে লৌহ উপাদানও যথেষ্ট পরিমাণে। তাই একটি সুষম ফল হিসেবে পেয়ারাকে গণ্য করা হয়।
পেয়ারা আমাদের দেশে খুবই সহজলভ্য। অন্যান্য ফল যেখানে অনেক দামে বিক্রি করা হয়। কিন্তু পেয়ারা সে তুলনায় সস্তায় পাওয়া যায় এবং পুষ্টিগুণ অন্যান্য ফলের চাইতে বেশি। তাই আমাদের সকলের উচিত এই দেশীয় সহজলভ্য ফলের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া।
কেননা বিলাসী ফলগুলো বেশিরভাগ বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। যেগুলো সংরক্ষণের জন্য ফরমালিন বা অন্যান্য রাসায়নিক ব্যবহার হয়ে থাকে। যেটা মানব দেহের জন্য বড্ড ক্ষতিকর। কিন্তু পেয়ারা যেহেতু দেশে উৎপাদন হয় ও এর চাহিদা অনেক এবং দামেও সস্তা, তাই এতে সচরাচর কোনো প্রকার রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় না। এছাড়া এর রয়েছে অনেক ঔষধি গুণ। এছাড়াও আরও জেনে
‘পেয়ারার উপকারিতা ও অপকারিতা’ প্রবন্ধে আজ আমরা পেয়ারার উপকারিতা ও অপকারিতা তুলে ধরব।
পেয়ারার অন্যান্য দেশীয় নাম সমূহ
বাংলাদেশের বাঙালিরা বাংলায় কথা বলে এটা সকলেই জানে। কিন্তু একেক অঞ্চলের মানুষ একেক টানে, উচ্চারণে কথা বলে। শব্দেও রয়েছে প্রচুর ভিন্নতা। তেমনি পেয়ারাকে একেক অঞ্চলে একেক নামে ডাকে।
চট্টগ্রামের মানুষেরা বলে গইয়ম, গোঁয়াছি, পেয়ালা।
সিলেটি লোকের একে ‘সফরি’ বলে ডাকে।
পঞ্চগড়ের মানুষেরা তো একে ‘বিলতি’ বলেই চেনে।
ময়মনসিংহের মানুষজন ‘হবরি’ বলে ডাকে পেয়ারাকে।
নোয়াখালীর লোকেরা বলে ‘হেয়ারা’।
বরিশালের মানুষেরা ‘গোইয়া’ নামে চেনে।
পেয়ারার পুষ্টিগুণ
বাড়ির আঙিনায় থাকা এর সুস্বাদু ফলটি আমরা অনেকেই খুব শখ করে খাই। কিন্তু আমরা জানি না এটার মধ্যে কী পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে। ‘পেয়ারার উপকারিতা ও অপকারিতা’ আর্টিকেলে আমরা পেয়ারার পুষ্টিগুণ উল্লেখ্য করছি।
প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারার মধ্যে থাকা পুষ্টিমান—
- শক্তি ২৮৫ কিজু (৬৮ kcal)
- শর্করা ১৪.৩২ g
- চিনি ৮.৯২ g
- খাদ্য আঁশ ৫.৪ g
- স্নেহ পদার্থ ০.৯৫ g
- প্রোটিন ২.৫৫ g
- বিটা-ক্যারোটিন ৩৭৪ μg
- ভিটামিন এ ৩১ μg
- থায়ামিন (বি১) ০.০৬৭ মিগ্রা
- রিবোফ্লাভিন (বি২) ০.০৪ মিগ্রা
- নায়াসিন (বি৩) ১.০৮৪ মিগ্রা
- প্যানটোথেনিক অ্যাসিড (বি৫) ০.৪৫১ মিগ্রা
- ভিটামিন বি৬ ০.১১ মিগ্রা
- ফোলেট (বি৯) ৪৯ μg
- ভিটামিন সি ২২৮.৩ মিগ্রা
- ভিটামিন কে ২.২ μg
- ক্যালসিয়াম ১৮ মিগ্রা
- লৌহ ০.২৬ মিগ্রা
- ম্যাগনেসিয়াম ২২ মিগ্রা
- ম্যাঙ্গানিজ ০.১৫ মিগ্রা
- ফসফরাস ৪০ মিগ্রা
- পটাশিয়াম ৪১৭ মিগ্রা
- সোডিয়াম ২ মিগ্রা
- জিংক ০.২৩ মিগ্রা
পেয়ারার ঔষধিগুণ
পেয়ারা যেমন সুস্বাদু ফল তেমনি এটা রয়েছে ঔষধি গুণ। এটার ঔষধি গুন সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। পেয়ারার পাতা বিভিন্ন কবিরাজি চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। পেয়ারার পাতা কিছুটা সুগন্ধযুক্ত। ‘পেয়ারার উপকারিতা ও অপকারিতা’ আর্টিকেলে পেয়ারার ঔষধি গুণ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
- পেয়ারা পাতা দিয়ে চা বানিয়ে নিয়মিত পান করলে রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে যায়। এটি ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। আরও পড়ুন- ঢেঁড়সের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
- পেয়ারা পাতা দিয়ে তৈরিকৃত চায়ের মধ্যে আছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। এই অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানের জন্য এটি ডায়রিয়া হাওয়া থেকে মুক্তি দেয়।
- পেয়ার পাতার চা কফ ও ব্রঙ্কাইটিস কমাতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
- ওজন কমাতে পেয়ারা পাতার চা অনেক সাহায্য করে। এটি দেহের অতিরিক্ত চর্বি কাটতে কাজ করে। ফলে দেহ থাকে চর্বি মুক্ত এবং সুস্থ।
- ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য তো নিয়মিত পেয়ারার পাতা দিয়ে তৈরিকৃত চা পান করার পরামর্শ দিয়ে থাকে ডাক্তার। কারণ এটা রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে দারুন কাজ করে।
- ফুড পয়েজিং রোদে পেয়ারা পাতার গুরুত্ব অপরিসীম। পেয়ারা পাতায় রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা পেট খারাপ বা ফুড পয়জনিং থেকে উদ্ধার করে।
- দাঁতের ব্যথায় পেয়ারা পাতা দারুন কাজে লাগে। অল্প লবণ ও পেয়ারা পাতা দিয়ে পানি ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর সেই পানি দিয়ে ভালোভাবে কয়েকবার কুলি করতে হবে। এতে করে দাঁতের ব্যথা কিছুটা কম অনুভব হয়।
- পেয়ারা পাতা দিয়ে দাঁত মাজন করলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়, দাঁত চকচকে হয়।
পেয়ারার উপকারিতা
সুস্বাদু, সহজলভ্য পেয়ারা ফলটি আমরা অনেকেই খাই। কিন্তু এটার যে কত উপকারিতা রয়েছে তা আমরা অনেকেই জানি না। পেয়ারার উপকারিতা গুলো ‘পেয়ারার উপকারিতা ও অপকারিতা’ আর্টিকেলে আমরা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করছি।
- পেয়ারাতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শরীরকে রাখে সুস্থ সবল। বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে ভিটামিন সি।
- তারুণ্য ধরে রাখতে পেয়ারা খাওয়া উচিত। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি কোষের মৃত্যুহার হ্রাস করে। ত্বকে আনে উজ্জ্বলতা।
- পেয়ারাতে থাকে ফাইবার। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম পরিমাণে থাকার ফলে পেয়ারা খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে কম হয়ে থাকে।
- পেয়ারাতে আছে লাইকোপেন (Lycopene), কোয়ারকেটিন (Quercetin), ভিটামিন সি এবং আরো কিছু পলিফেনল। যেটা শক্তিশালী এন্টি-অক্সিডেন্ট হয়ে কাজ করে। এই এন্টি-অক্সিডেন্ট ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বহু শতাংশ কম করে। বিশেষ করে প্রোস্টেট ক্যান্সার রোধ করতে বেশ সাহায্য করে পেয়ারা। এছাড়া পেয়ারা খেলে নারীর ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কম হয়।
- পেয়ারাতে আছে সোডিয়াম ও পটাশিয়াম। যা দেহের সোডিয়াম ও পটাশিয়াম এর ভারসাম্য রক্ষা করে। ফলে ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকে। যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের জন্য পেয়ারা খুবই প্রয়োজনীয় একটি ফল।
- পেয়ারা হৃদপিণ্ডের রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। পেয়ার ট্রাইগ্লিসারাইড নামক খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ফেলে। এতে করে হৃদপিণ্ডের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়। রক্তে খারাপ কোলেস্ট্রলের মাত্রা কমার ফলে রক্তনালিতে চর্বি কম জমে। ফলে রক্তনালী দিয়ে রক্ত প্রবাহ নির্বিঘ্ন থাকে। হার্ট সুস্থ থাকে। সেই সাথে এই পেয়ারা ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে। যেটা হৃদপিণ্ডের জন্য ক্ষতিকর নয় বরঞ্চ মানব দেহের জন্য উপকারী।
- পেয়ারা প্রচুর ফাইবার সমৃদ্ধ ফল। ফলে এটি দ্রুত হজম হয়। সেই সাথে পেটে থাকা অন্যান্য খাদ্য হজম করতে সাহায্য করে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে, তারা পেয়ারা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে।
- পেয়ারাতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ। ভিটামিন এ চোখের জন্য অনেক ভালো। এটা দৃষ্টি শক্তি প্রখর করে। চোখে ছানি পড়া রোধ করে। তাই যাদের দৃষ্টি শক্তি নিয়ে সমস্যা তারা পেয়ারা খেতে পারেন।
- পেয়ারায় ফলিক এসিড থাকে। একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য ফলিক এসিড খুবই দরকার। গর্ভবতীদের ডাক্তারগণ ফলিক এসিড সমৃদ্ধ বিভিন্ন মিনারেল ও ভিটামিনের ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কেননা ফলিক এসিড বাচ্চার নার্ভাস সিস্টেমকে করে উন্নত। এছাড়া বাচ্চাদের নিউরোলোজিক ডিজঅর্ডার থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে ফলিক এসিড।
- পেয়ারাতে ভিটামিন সি আছে প্রচুর পরিমাণে। এছাড়া আছে আয়রন। যা রক্তশূন্যতা দূর করে। ভিটামিন সি কফ দূর করতে বেশ বড় ভূমিকা পালন করে। কারো যদি কফ জমে তাহলে সে নিয়মিত পেয়ারা খেলে কফ দূর হবে।
- পেয়ারাতে আছে ম্যাগনেসিয়াম। ম্যাগনেসিয়াম মাংশপেশিকে এবং নার্ভকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে। তাই কোন পরিশ্রমের কাজ অথবা মানসিক অবসাদ কিংবা মানসিক পরিশ্রমের সময় পেয়ারা খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
- পেয়ারাতে আছে প্রচুর ভিটামিন বি৩ এবং ভিটামিন বি৬। এই ভিটামিন সমূহ মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালনকে সচল রাখতে সাহায্য করে।
- অনেক মানুষের মুখের ভেতর শাদা দাগের মতো এক ধরনের আলসার দেখতে পাওয়া যায়। এটা হয়ে থাকে ভিটামিন সি এর অভাবে। এমতাবস্থায় এই গুরুতর সমস্যা থেকে পেয়ারা দিতে পারে মুক্তি। কেননা পেয়ারাতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি।
- গ্লুকোজ থেকে তৈরি হয় গ্যালারি। অতিরিক্ত ক্যালরি মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর। পেয়ারাতে গ্লুকোজের পরিমাণ কম। তাই এটি খেয়ে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা কম। যারা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চান এবং সেই সাথে কম ক্যালরিযুক্ত ফল খেতে চান তাদের জন্য পেয়ারা হচ্ছে উৎকৃষ্ট।
- পেয়ারার মধ্যে আছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। যা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে। মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- অনেক নারীর মাসিককালীন প্রচুর পেট ব্যথা হয়ে থাকে। প্রচণ্ড ব্যথার ফলে কোনো উপায়ন্তর খুঁজে না পেয়ে শেষ অবধি অনেকেই ব্যাথার ঔষধ খেয়ে থাকেন। তবে এই ঔষধ বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু চমৎকার ব্যাপার হলো, পেয়ারা পাতার রস অথবা পেয়ারা পাতা যদি কেউ চিবিয়ে খায় তাহলে মাসিককালীন ব্যথা দ্রুত সেরে যায়। এটার কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
তাই নারীদের জন্য পেয়ারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ফল।
পেয়ারার অপকারিতা
পেয়ারা নানান ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের সমৃদ্ধ। কিন্তু অনেক সময় কিছু কিছু মানুষের জন্য এই পেয়ারা ক্ষতিকর হতে পারে। তাই ‘পেয়ারার উপকারিতা ও অপকারিতা’ প্রবন্ধে আমরা পেয়ারার অপকারিতা গুলো তুলে ধরলাম।
- পেয়ারা ঠাণ্ডা জাতীয় ফল। গরমে এটা খেলে শরীরে প্রশান্তি আনে। কিন্তু অধিক পরিমাণে খেলে সর্দির সমস্যা হতে পারে। এছাড়া যারা আগে থেকেই ঠান্ডা জনিত সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।
- গর্ভবতী নারীর জন্য পেয়ারা অনেক উপকারী কিন্তু এই পেয়ারা অনেক সময় গর্ভবতী নারীর ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। গর্ভবতীদের অধিক পরিমাণে পেয়ারা খাওয়া ঠিক না। অতিরিক্ত পেয়ারা খেলে ফাইবার বৃদ্ধি পায়। যেটা হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
অতিরিক্ত পরিমাণে পেয়ারা খেলে পেট ফাঁপা হতে পারে। জেনে নিন: জাম্বুরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - পেয়ারার বিচি সহজে হজম হয় না। তাই ডায়রিয়া, আমাশয়— পেটের কোনো সমস্যা থাকলে পেয়ারা খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে। পেয়ারার মধ্যে আছে পটাসিয়াম এবং প্রচুর ফাইবার থাকে। তাই যাদের কিডনির সমস্যা আছে তাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। কেননা পটাশিয়াম কিডনি রোগের জন্য ক্ষতিকর।
- পেয়ারা পাতার রস বেশি পরিমাণে পান করলে তা মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পেয়ারা রসে থাকা পটাশিয়াম কিডনি রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। তাই যাদের কিডনি রোগ রয়েছে তারা ডাক্তারের পরামর্শক্রমে পেয়ারার রস সেবন করবেন।
- পেয়ারার মাঝে চিনি থাকে। বিশেষ করে পাকা পেয়ারাতে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে। যেটা ফ্রুক্টোজ বলা হয়। এই ফ্রুকটোজ হজম ও শোষণ করতে সমস্যা হতে পারে অনেকের। এর ফলে পেটে গ্যাসের সৃষ্টি হতে পারে। পেট ফুলে থাকতে পারে। এছাড়া এই চিনি ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ক্ষতিকর। তাই পাকা পেয়ারা খাওয়ার আগে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।