Online khajna payment with mobile banking

অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম ২০২৩

বর্তমানে বাংলাদেশে জমির খাজনা পরিশোধ করা বাধ্যতামূলক এবং শুধুমাত্র অনলাইনেই জমির খাজনা দেওয়ার উপায় রয়েছে। তাই আপনার জমির খাজনা পরিশোধ করতে জেনে নিন, অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম ২০২৩ সম্পর্কে।

দেশে বসবাসকৃত প্রতিটি নাগরিকেরই তাদের জমির মালিকানা অনুযায়ী জমির রাজস্ব আদায় করতে হয়। জমির খাজনা পরিশোধ না করলে সে জমির ভোগ দখলের ক্ষেত্রে সমস্যা হলে পরবর্তীতে সরকারি সহযোগিতা পাওয়া যায় না। এছাড়াও জমির খাজনা দিলে আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে।

বাংলাদেশ ভূমি উন্নয়ন মন্ত্রণালয় বর্তমানে অনলাইনে জমির খাজনা দিতে হবে বলে ঘোষণা করেন। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য- অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম ২০২৩ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে আজকের আলোচনায়।

জমির খাজনা বা ভূমি উন্নয়ন কর কি?

ভূমি উন্নয়ন কর হলো জমি সংক্রান্ত সরকারি রাজস্ব। জমির খাজনা বা ভূমি উন্নয়ন কর প্রতিটি জমির নির্ধারিত মালিকের থেকে আদায় করে দেশের ভূমি সংক্রান্ত গবেষণা, উন্নয়ন ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি জমির একজন নির্দিষ্ট মালিক রয়েছে। বাংলাদেশের ভূমি মন্ত্রণালয়ের ম্যাপ এবং খতিয়ান ও দাগ নম্বর অনুযায়ী কোন মালিকের আওতায় কতটুকু জমি রয়েছে তা জানা যায়। সে জমির পরিমাণ অনুযায়ী খাজনা আদায় করা হয়।

কোন জমির ভোগ দখলের অধিকার, জমি সংক্রান্ত মামলার মোকদ্দমায় সরকারি সহযোগিতা এবং মালিকানা সুবিধা পাওয়ার জন্য জমির খাজনা বা ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করা বাধ্যতামূলক। পূর্বে জমিদারের আমলে জমিদারগণ কৃষকদের কাছ থেকে জমির খাজনা আদায় করতেন। বর্তমানে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত এবং অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম ২০২৩ অনুযায়ী সরকারিভাবে তা আদায় করা হয়।

জমির খাজনা কিভাবে দেব

ভূমি উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে কিংবা ভূমি উন্নয়ন কর মোবাইল অ্যাপসে নাগরিক কর্নার অপশনে রেজিস্ট্রেশন করে পেমেন্ট অপশন থেকে খতিয়ান ও দাগ নম্বর অনুযায়ী ভূমির তথ্য প্রদান করে নির্ধারিত পরিমাণ খাজনা পরিশোধ করতে পারবেন।

তারপর, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ সম্পন্ন হলে, দাখিলা অপশন থেকে খাজনা রশিদ ডাউনলোড করতে পারবেন। সরাসরি ওয়েবসাইটের পেমেন্ট অপশন থেকেও এনআইডি কার্ড ব্যবহার করে খাজনা/ কর পরিশোধ করা যায়।

বাংলাদেশ ২০২২ সাল পর্যন্ত স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ/ উপজেলা ভূমি অফিসে উপস্থিত হয়ে জমির খাজনা পরিশোধ করতে হতো। কখনো কখনো ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তার মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে তথ্য হালনাগাদ করে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হতো। তবে বর্তমানে বাংলাদেশ ভূমি উন্নয়ন মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেন ডিজিটাল বাংলাদেশ শুধুমাত্র অনলাইনে জমির খাজনা পরিশোধ করা যাবে।

অনলাইনে জমি থাকলে পরিশোধ করার ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক দুইটি উপায় রয়েছে। সেগুলো হলো –

  • ভূমি উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে
  • ‘ভূমি উন্নয়ন কর’ মোবাইল এপপ্সের মাধ্যমে।

উভয় ক্ষেত্রেই অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম ২০২৩ প্রায় একই।

অনলাইনে জমির খাজনা দিতে কি কি ডকুমেন্টস লাগে

পড়বে জমির খাজনা পরিশোধ করার জন্য উপজেলা ভূমি অফিসে অনেকগুলো কাগজপত্র নিয়ে সরাসরি উপস্থিত হতে হতো। বর্তমানে অল্প কিছু ডকুমেন্টস থাকলে নিজের মোবাইল দিয়ে ঘরে বসেই অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম ২০২৩ অনুসরণ করে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে পারবেন। সেগুলো হলো:

  • জমির অবস্থান অনুযায়ী – বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও মৌজার তথ্য।
  • জমির খতিয়ান
  • পেমেন্ট পরিশোধ করার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র
  • একটি অনলাইন পেমেন্ট মাধ্যম (বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায়, একপে, DBBL)।
  • একটি স্মার্টফোন, মোবাইল নাম্বার ও ইন্টারনেট কানেকশন।

অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম ২০২৩

অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার জন্য ভূমি উন্নয়ন কর ওয়েবসাইটে ভিজিট করে নাগরিক কর্নার অপশনে রেজিস্টার করুন। এবার, পেমেন্ট করুন- অপশনে প্রবেশ করে জমির ঠিকানা দিয়ে তথ্য বের করে নিন। তারপর, এনআইডি যাচাই করলে কত টাকা খাজনা পরিশোধ করতে হবে দেখতে পাবেন। এবার, খতিয়ানের বিস্তারিত পেইজে ‘অনলাইন পেমেন্ট’ অপশনে ক্লিক করে অনলাইন পেমেন্ট মাধ্যম নির্বাচন করে পেমেন্ট করতে পারবেন। বিস্তারিত প্রক্রিয়াটি নিচে ছবিসহ ধাপে ধাপে দেখানো হলো:-

ধাপ ১: ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে রেজিস্টার

ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে বাংলাদেশের ভূমি মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের https://ldtax.gov.bd এই লিংকে ভিজিট করুন। এবার, নাগরিক কর্নার অপশনে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য, মোবাইল নাম্বার, জন্মতারিখ ও পাসওয়ার্ড দিয়ে রেজিস্টার করুন। তারপর, পুনরায় তথ্য দিয়ে লগইন করুন।

অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম
online khajna payment

ধাপ ২: প্রোফাইল সেটিং

লগইন করার পর ড্যাশবোর্ড ওপেন হলে অনলাইনে কর পরিশোধের জন্য প্রথমেই, প্রোফাইল ১০০% নিশ্চিত করতে হবে। সেজন্য, প্রোফাইল অপশনে ক্লিক করে সম্পাদন বাটনে ক্লিক করুন। এখানে আপনার ইমেইল ও বর্তমান ঠিকানার অপশনটি অসম্পূর্ণ থাকবে। ধাপে ধাপে তথ্য দিয়ে আপনার প্রোফাইলটি ১০০% সম্পন্ন করে নিন।

জমির খাজন পরিশোধ করার নিয়ম

ধাপ ৩: খতিয়ান আপলোড করুন

অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম ২০২৩ অনুযায়ী খাজনা পরিশোধের পূর্বে আপনার জমির নতুন খতিয়ান যুক্ত করতে হবে। সেজন্য, আপনার একাউন্টের ড্যাশবোর্ড থেকে খতিয়ান অপশনে ক্লিক করুন। এবার একটি বিস্তারিত ফরম দেখতে পাবেন।
এই পেইজে ধারাবাহিকভাবে আপনার জমির অবস্থান অনুযায়ী-

  • বিভাগ নির্বাচন করুন (ডান পাশের ড্রপডাউন মেনু থেকে)
  • জেলা নির্বাচন করুন
  • উপজেলা বা সার্কেল নির্বাচন করুন
  • মৌজা সিলেক্ট করুন
  • খতিয়ান নং লিখুন
  • আপনার জমির হোল্ডিং নম্বর লিখুন
জমির খাজন পরিশোধ
  • এবার, খতিয়ান আপলোডের জন্য সংযুক্তি হিসেবে খতিয়ানের স্ক্যান কপি বা পূর্বের কর পরিশোধের দাখিলার স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে। সেজন্য Choose File অপশনে ক্লিক করে মোবাইল বা কম্পিউটারে পূর্বে সংগ্রহ করে রাখা ফাইল আপলোড করেন।
  • মালিকানার ধরন নির্বাচন করুন। নিজের মালিক না হয়ে উত্তরাধিকার হলে উত্তরাধিকার সনদ বা ওয়ারিশ সনদপত্রের স্ক্যান কপি আপলোড করুন।
  • সর্বশেষ ‘সংরক্ষণ করুন’ বাটনে ক্লিক করুন।

আরো পড়ুন: ePorcha খতিয়ান অনুসন্ধান বা অনলাইনে ই পর্চা দেখা

অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম ২০২৩ অনুযায়ী এই পেইজে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করার পর খতিয়ান আপলোড হতে ২৪ ঘন্টা থেকে ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তারপর সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিস প্রদানকৃত তথ্যের উপর ভিত্তি করে হোল্ডিং এন্ট্রি সম্পন্ন করবে।

ধাপ ৪: হোল্ডিং ও ভূমি উন্নয়ন করের তথ্য

খতিয়ান আপলোড সম্পন্ন হলে পুনরায় ভূমি উন্নয়ন কর ওয়েবসাইটে নাগরিক লগইন করে ড্যাশবোর্ডে চলে যান। তারপর ড্যাশবোর্ড থেকে হোল্ডিং অপশনে ক্লিক করুন। আপনার খতিয়ান টি সঠিকভাবে আপলোড হওয়ার পর হোল্ডিং নম্বর অনুযায়ী জমির পরিমাণ ও নিম্নোক্ত তথ্যগুলো দেখতে পাবেন:-

  • জমির অবস্থানের ঠিকানা
  • খতিয়ান ও দাগ নাম্বারের তথ্য
  • জমির মালিকের নাম
  • জমির পরিমান
  • জমির ধরন (নালা, ভিটা, নাল, বোরো ইত্যাদি)
  • ভূমিভেদে খাজনার পরিমাণ
  • সর্বশেষ কত সালে কর পরিশোধ করা হয়েছিল
  • মোট দাবি কত টাকা
  • বকেয়া দাবি কত টাকা
  • হাল দাবি কত টাকা
  • এবং বর্তমানে সর্বমোট কত টাকা খাজনা পরিশোধ করতে হবে ইত্যাদি বিস্তারিত তথ্য দেখতে পাবেন।
খাজনা অনলাইনে পরিশোধ
খাজনা অনলাইনে পরিশোধ

আরো পড়ুন: অনলাইনে জমি খারিজ করার পদ্ধতি ২০২৩ । ই নামজারি আবেদন

এখান থেকে অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম ২০২৩ অনুযায়ী কর পরিশোধ করতে অনলাইন পেমেন্ট অপশনে ক্লিক করুন।

ধাপ ৫: অনলাইন পেমেন্ট অপশন সিলেক্ট

অনলাইন পেমেন্ট বাটনে ক্লিক করার পর পরবর্তী পেইজে জমির মালিকের নাম ও কত টাকা পেমেন্ট করতে হবে তা দেখানো হবে। এছাড়াও নিচে বিভিন্ন পেমেন্ট অপশন দেখানো হবে। বাংলাদেশের সর্বত্র ব্যবহৃত হয় এমন পেমেন্ট অপশনগুলো ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের জন্য রাখা হয়েছে।

অনলাইন পেমেন্ট অপশন সিলেক্ট

অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম ২০২৩ অনুযায়ী এই পেমেন্ট অপশনগুলো থেকে আপনার সুবিধা অনুযায়ী বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায়, ekPay, DBBL (ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড এর অনলাইন ব্যাংকিং) ইত্যাদি থেকে একটি অপশন সিলেক্ট করে ই-পেমেন্ট করুন বাটনে ক্লিক করুন।

ধাপ ৬: ই-পেমেন্ট করুন

নির্দিষ্ট একটি পেমেন্ট অপশন (যেমন- বিকাশ) সিলেক্ট করলে তার মাধ্যমে পেমেন্ট করার জন্য একটি নতুন পেইজ ওপেন হবে। বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট পরিশোধ করার জন্য প্রথমেই আপনার বিকাশ নাম্বারটি লিখে কনফার্ম বাটনে ক্লিক করুন।

ই-পেমেন্ট

তারপর আপনার দেওয়া বিকাশ নাম্বারে একটি ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হবে। ভেরিফিকেশন কোডটি পরবর্তী পেজে লিখে কনফার্ম বাটনে ক্লিক করলেই আপনার অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম ২০২৩ সম্পন্ন হবে।

ধাপ ৭: খাজনা রশিদ ডাউনলোড

জমি খাজনা পরিশোধ করার ভূমি উন্নয়ন কর ওয়েবসাইট থেকে একটি খাজনা রশিদ বা দাখিলা প্রদান করা হয়। মূলত উক্ত রশিদ টিই জমির টেক্স পরিশোধের কপি। এই কপিটি সংগ্রহ করতে ভূমি উন্নয়ন কর ওয়েবসাইটে আপনার অ্যাকাউন্টের ড্যাশবোর্ডে প্রবেশ করে মেন্যু থেকে দাখিলা অপশনে ক্লিক করুন।

খাজনা রশিদ ডাউনলোড

অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম ২০২৩ অনুযায়ী দাখিলা আপলোড হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। আপলোড সম্পন্ন হলে তার পিডিএফ কপি ডাউনলোড করতে পারবেন অথবা প্রিন্ট অপশন এ ক্লিক করে কম্পিউটারের সংযুক্ত প্রিন্টার দিয়ে প্রিন্ট করে সংরক্ষণ করতে পারবেন।

জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে সরাসরি খাজনা পরিশোধ

এনআইডি কার্ড ব্যবহার করে নিজের বা অন্যের জমির খাজনা পরিশোধ করতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন-

ধাপ ১: ভূমি উন্নয়ন কর ওয়েবসাইটের পেমেন্ট করুন অপশনে যান

ভূমি উন্নয়ন কর ওয়েবসাইটের https://ldtax.gov.bd এই লিংকে ভিজিট করে হোম পেইজ থেকে- ‘সরাসরি জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে পেমেন্ট করুন’ অপশনে ক্লিক করুন।

জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে সরাসরি খাজনা পরিশোধ

ধাপ ২: জমির তথ্য অনুসন্ধান

আপনার জমির অবস্থান অনুযায়ী বিভাগ, জেলা, উপজেলা, মৌজা ও হোল্ডিং নাম্বার সঠিকভাবে দিন। তারপর ‘অনুসন্ধান করুন’ বাটনে ক্লিক করুন।
তথ্য সঠিক হলে,

  • হোল্ডিং নং,
  • জমির মালিক,
  • সর্বশেষ কর পরিশোধের সাল দেখতে পাবেন।

এখান থেকে কর পরিশোধের জন্য এমন.আই.ডি. যাচাই বাটনে ক্লিক করুন।

জমির তথ্য অনুসন্ধান

ধাপ ৩: এনআইডি যাচাই

অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম ২০২৩ অনুযায়ী এই পেইজে, পেমেন্ট করার জন্য প্রদানকারীর মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।

এনআইডি যাচাই

তথ্য সঠিক হলে পরবর্তী পেইজে আপনার দেওয়া জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেখতে পাবেন। এবার, পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।

ধাপ ৪: হোল্ডিংয়ের তথ্য অনুযায়ী পেমেন্ট পরিশোধ

ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করার বাকি নিয়মগুলো উপরের নাগরিক নিবন্ধন করে পেমেন্ট পরিশোধের নিয়মের অনুরূপ। পরবর্তী পেইজে হোল্ডিং অনুযায়ী জমির বিস্তারিত তথ্য ও কত টাকা পেমেন্ট করতে হবে তা দেখতে পাবেন। ই-পেমেন্ট অপশন এ ক্লিক করে একটি পেমেন্টের মাধ্যম নির্বাচন করে পেমেন্ট পরিশোধ করুন।

তবে এক্ষেত্রে, সরাসরি কোন দাখিলা প্রদান করা হবে না। আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে উপজেলা ভূমি অফিস থেকে দাখিলা সংগ্রহ করতে হবে।

জমির খাজনা কত টাকা

ভূমি মন্ত্রণালয়ের ঘোষনা অনুযায়ী, ৫-১০ একর পর্যন্ত জমির ক্ষেত্রে প্রথম ৫ একরের জন্য ৫১ টাকা এবং পরবর্তী প্রতি শতক ৩৬ পয়সা। ১০-১৫ একর পর্যন্ত প্রথম ১০ একরের জন্য ২৩১ টাকা এবং পরবর্তী প্রতি শতক ৬০ পয়সা। ১৫-২৫ একর পর্যন্ত প্রথম ১৫ একরের জন্য ৫৩১ টাকা এবং পরবর্তী প্রতি শতক ৬০ পয়সা করে অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম ২০২৩ অনুযায়ী পরিশোধ করতে হবে।

জমির খাজনা রশিদ

নাগরিক অ্যাকাউন্টের দাখিল অপশন থেকে জমির খাজনা রশিদ ডাউনলোড করলে খাজনা রশিদ টির পিডিএফ কপি নিম্নোক্ত ছবির মত দেখতে পাবেন।
খাজনা রশিদের নমুনা-

খাজনা রশিদের নমুনা

উপরোক্ত অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম ২০২৩ অনুযায়ী ঘরে বসেই আপনার জমির খাজনা পরিশোধ করতে পারবেন।

ভূমি উন্নয়ন কর সম্পর্কে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্নোত্তর (FAQ’s)

জমির খাজনা চেক করবো কিভাবে?
ভূমি উন্নয়ন কর ওয়েবসাইটের https://ldtax.gov.bd এই লিংকে ভিজিট করে ‘পেমেন্ট করুন’ অপশনে ক্লিক করে জমিন ঠিকানা দিয়ে হোল্ডিং তথ্য বের করে, এনআইডি যাচাই করে পরবর্তী অপশনে ক্লিক করলেই জমির খাজনার পরিমাণ কত টাকা তা চেক করতে পারবেন।

জমির খাজনা দেওয়ার এপস কোনটি?
জমির খাজনা দেওয়ার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় করছি নিয়ন্ত্রিত মোবাইল এপ্স হলো- ‘ভূমি উন্নয়ন কর’। প্লে-স্টোর থেকে এই এপ্স টি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন।

ভূমি অফিসে জমির খাজনা পরিশোধ করা যাবে কি?
বর্তমানে ভূমি মন্ত্রণালয় ঘোষণা করে- শুধুমাত্র অনলাইনে জমির খাজনা পরিশোধ করা যাবে। তাই উপজেলা ভূমি অফিস/ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জমির খাজনা পরিশোধ করা যাবে না।

About Juyel Ahmed Liton

সুপ্রিয় “প্রোবাংলা” কমিউনিটি, ছোটবেলা থেকেই প্রযুক্তির প্রতি আকর্ষণ ছিলো এবং হয়তো সেই আকর্ষণটা অন্য দশ জনের থেকে একটু বেশি। ওয়েবসাইট, টাইপিং, আর্টিকেল লেখাসহ টেকনোলজি সবই আমার প্রিয়। জীবনে টেকনোলজি আমাকে যতটা ইম্প্রেস করেছে ততোটা অন্যকিছু কখনো করতে পারেনি। আর এই প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ থেকেই লেখালেখির শুরু.....

4 comments

  1. বিলকিস জাহান

    সব তথ্য এন্ট্রি দেওয়ার পর পেন্ডিং দেখায়।

  2. ফরিদ আহম্মদ

    আমি গত ৪-১০-২০২৩ সালে ১৫০ শতাংশ জমির খাজনা দেওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করি, এর পর দেখা গেল আমার খাজনা ৩৬ বছরের মোট প্রায় ৬৫০০০ টাকা দাবী আসল।এর আগে ঐজমির ২৯৯ শতাংশ ১৩৮৩ থেকে ১৩৯৩ পর্যন্ত খাজনা দিয়েছি মাত্র ১০৭ টাকা।তখন খতিয়ানে বাড়ি লেখা ছিল, এখনো খতিয়ানে জমির শ্রেণি কৃষি বাড়ি লেখা।এখন কেন অর্ধেক সম্পত্তির এত বেশি টাকা আসল।এখন আবাসিক লিখে ৬৫০০০ টাকা কর ধার্য করে।গ্রামের জমির যদি এই রকম খাজনা আসে,তাহলে এদেশে থাকি লাভ কি?

  3. Khatian.no.30900.name.dilipkarmakar.father.ajitkarmakar.j.l.no.020.mouja.nabadwip.nabadwip.nadia.khajna.amount.10.taka.4.years.40taka.total.45taka.khata.no.6779.phone.no.9734372569.khajna.receipt.delevery.7days.speed.post.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *