বেসরকারি চাকরির প্রত্যয়ন পত্র

বেসরকারি চাকরির প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম

সরকারি বা বেসরকারি প্রাতিষ্ঠানিক চাকরির জন্য বহু ডকুমেন্টস জমা দিতে হয়। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই নির্দিষ্ট কাজে ব্যক্তির পূর্ব অভিজ্ঞতা সম্পর্কে প্রত্যয়ন পত্র চায়। তাই বেসরকারি চাকরির প্রত্যয়ন পত্র সম্পর্কে আজকের লেখাটি।

আপনি পূর্বে যেই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন, সেই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর বা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার কাছে প্রত্যয়ন পত্রের জন্য আবেদন করতে হবে। এবং তিনি আপনার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও গুনাবলি উল্লেখ করে একটি প্রাতিষ্ঠানিক প্রত্যয়ন পত্র প্রদান করবে।

চাকরির প্রত্যয়ন পত্র লেখার নমুনা

উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার প্রত্যয়ন পত্র নিম্নলিখিত প্রত্যয়নের মত হবে:

স্মারক নং: প্র. পি. কা/
তারিখ

প্রত্যয়ন পত্র

এই মর্মে প্রত্যয়ন করা যাচ্ছে যে, নাম:_ পিতা:_ মাতা:_ গ্রাম:_ পোস্ট অফিস:_ থানা:_ জেলা:_ একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান কর্মী হিসেবে আমার কোম্পানিতে/ প্রতিষ্ঠানে বেশ কৃতিত্বের সহিত, বিগত ৫ বছর যাবত, _ পদে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে আসছে। তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এবং কর্মদক্ষতা ভালো।

আমি একান্ত আশাবাদী, তিনি ভবিষ্যৎ যে কোম্পানি/ প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত হবেন সেই কোম্পানি/ প্রতিষ্ঠানে তার প্রতি আরোপকৃত সকল দায়িত্ব তিনি নিষ্ঠা ও সততার সাথে সম্পাদন করবেন।

স্বাক্ষর
সিলমোহর

চাকরির প্রত্যয়ন পত্রের গুরুত্ব

কোন প্রতিষ্ঠানিক চাকরি পেতে প্রত্যয়ন পত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে কাজ করে। একজন ব্যক্তির পূর্ব অভিজ্ঞতা, তার আচার, ব্যবহার, চরিত্র, সততা প্রত্যয়ন পত্রে প্রকাশ পায়। ফলে নতুন প্রতিষ্ঠান সেই ব্যক্তির প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়।

ফলে চাকরির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই নতুন চাকরি পেতে চাকরির প্রত্যয়ন পত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

বেসরকারি চাকরির প্রত্যয়ন পত্র ফরমেট ডাউনলোডবেসরকারি চাকরির প্রত্যয়ন পত্র পিডিএফ ডাউনলোড

শেষকথা

চাকরির জন্য জন্য আগে থেকেই প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করুন। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার কাছে ‘প্রত্যয়ন পত্র পাওয়া জন্য আবেদন’ এই বিষয়ে একটি দরখাস্ত লিখুন। তাহলে তিনি গুরুত্বের সাথে আপনার প্রয়োজনীয় প্রত্যয়ন পত্রটি প্রদান করবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top