বয়স প্রমাণের প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম

বয়স প্রমাণের প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম

বয়স প্রমাণের প্রত্যয়ন পত্র একটি সরকারি প্রত্যয়ন/সনদ। বয়স প্রমাণের প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন এখানে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি কর্মকাণ্ডের বয়সসীমার বিধান আরোপ করা আছে। যেমন-১৮ বছর হলে NID Card করা, ৬৫ বছর হলে বয়স্ক ভাতা প্রাপ্তিসহ অন্যান্য। বিশেষ করে প্রবীণ/ বয়স্ক ভাতা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বয়স প্রমাণের প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম জানতে হয়। নিচে বয়স প্রমাণের প্রত্যয়ন পত্রের নমুনা সহ প্রয়োজনীয় তথ্য তুলে ধরা হলো-

বয়স প্রমাণের প্রত্যয়ন পত্র পাওয়ার উপায়

আপনার বয়স প্রমানের জন্য এ শ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তার সত্যায়িত প্রত্যয়ন প্রয়োজন। তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কৃষি অফিসে উপস্থিত হয়ে এই প্রত্যয়ন পত্রের কথা উল্লেখ করতে হবে। অতঃপর সরকারি কর্মকর্তা আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যাদি বিচার-বিশ্লেষণ করে একটি প্রত্যয়ন পত্র দিবেন।

বয়স প্রমাণের প্রত্যয়ন পত্র নমুনা

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়
মেঘনা, কুমিল্লা।

স্মারক নং: প্র. পি. কা/_ তারিখ_

প্রত্যয়ন পত্র

এই মর্মে প্রত্যয়ন করা যাচ্ছে যে, নাম:___, পিতা:_, মাতা:_, গ্রাম:_, পোস্ট অফিস:_, ইউনিয়ন পরিষদ, থানা:_, জেলা:__ একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তি। তার জন্ম ০২/০৮/১৯৬২ ইং তারিখে। তার আনুমানিক বয়স ৬০ বছর। তার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর -১৮৩৭৩৭২৯৩৭। তিনি কোন রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত নেই।

আমি তাহার সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল ও সাফল্য কামনা করছি।

স্বাক্ষর:
সীলমোহর

বয়স প্রমাণের প্রত্যয়ন পত্র নমুনা ওয়ার্ড ফাইল ডাউনলোড বয়স প্রমাণের প্রত্যয়ন পত্র নমুনা পিডিএফ ডাউনলোড

বয়স প্রমাণের উপরোক্ত প্রত্যয়ন পত্রের সত্যায়িত কপি যেকোনো বয়স ভিত্তিক সরকারি কর্মকান্ডে ব্যবহার করতে পারবেন।

আরো পড়ুন: প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম

শেষকথা

বাংলাদেশের প্রবীণ সমাজের জন্য বয়স প্রমাণের প্রত্যয়ন পত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি। সহজেই এই প্রত্যয়ন পেতে উপজেলা পরিষদের স্বাস্থ্য বা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ে যোগাযোগ করুন। বিনামূল্যে বয়স প্রমাণের প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম অনুযায়ী সনদ দেওয়া হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top