সরকারি চাকরির প্রত্যয়ন পত্র

সরকারি চাকরির প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম

সরকারি চাকরি পেতে প্রত্যয়ন পত্র লাগে। এছাড়াও একজন সরকারি কর্মচারীর, সরকারি দপ্তরে কর্মরত থাকাকালে প্রত্যয়ন পত্র প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে দপ্তর প্রধানের নিকট হতে প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করতে হয়।

সরকারি চাকরির জন্য কি কি প্রত্যয়ন পত্র লাগে?

সরকারি চাকরিতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রত্যয়ন পত্র লাগে। যেমন-

  • চারিত্রিক সনদ
  • নাগরিকত্ব সনদ
  • পূর্ব অভিজ্ঞতার প্রত্যয়ন পত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)

এছাড়াও চাকরি পাওয়ার পর বিভিন্ন সরকারি কর্মচারীদের নানা ধরনের ভাতা ও সম্মানী দেওয়া হয়। এ সকল ভাতার ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা প্রত্যয়ন পত্র লাগে। মাঝে মাঝে সরকারি কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্তির জন্য যেই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন সেই প্রতিষ্ঠানের দপ্তর প্রধান থেকে প্রত্যয়ন পত্র নিতে হয়।

তার জন্য আপনি যে দপ্তরে কর্মরত আছেন সেখানে দপ্তর প্রধানের কাছে একটি প্রত্যয়ন পত্রের দরখাস্ত করুন। দপ্তর প্রধানের প্রদানকৃত সরকারি চাকরির প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম হবে নিম্নরূপ:

সরকারি চাকরির প্রত্যয়ন পত্রের নমুনা

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন বিভাগ, মৌলভীবাজার
স্মারক নং: প্র. পি. কা/
তারিখ:_

প্রত্যয়ন পত্র

এই মর্মে প্রত্যয়ন করা যাচ্ছে যে, নাম:_ পিতা:_ মাতা:_ গ্রাম:_ পোস্ট অফিস:_ থানা:_ জেলা:__। তিনি বিগত ৫ বছর যাবত অত্র প্রতিষ্ঠানে একজন অফিস সহকারি হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি তার দায়িত্ব ও কর্তব্য অত্যন্ত নিষ্ঠা, সততা ও দক্ষতার সাথে পালন করে আসছেন। তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ভালো এবং তিনি প্রতিষ্ঠানের জন্য বিনয়ী।

আমি একান্ত আশাবাদী, তিনি সর্বদা কর্মস্থানের আরোকৃত নীতি ও দায়িত্ব যথাযথভাবে সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে পালন করবেন।

স্বাক্ষর:……….
দপ্তর প্রধান
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন বিভাগ, মৌলভীবাজার।

এখানে আপনাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সিলমোহর সহ প্রত্যয়ন পত্র প্রদান করা হবে।

সরকারি চাকরির প্রত্যয়ন পত্র ফরমেট ডাউনলোডসরকারি চাকরির প্রত্যয়ন পত্র পিডিএফ ডাউনলোড

শেষকথা

সরকারি চাকরির প্রত্যয়ন পত্র বলতে নাগরিকত্ব সনদ, পূর্ব অভিজ্ঞতার সনদ ও দাপ্তরিক সনদকেই বোঝায়। অনলাইনে এসকল সনদ পাওয়া যায় না। তাই সরাসরি প্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহ করুন।

About Juyel Ahmed Liton

সুপ্রিয় “প্রোবাংলা” কমিউনিটি, ছোটবেলা থেকেই প্রযুক্তির প্রতি আকর্ষণ ছিলো এবং হয়তো সেই আকর্ষণটা অন্য দশ জনের থেকে একটু বেশি। ওয়েবসাইট, টাইপিং, আর্টিকেল লেখাসহ টেকনোলজি সবই আমার প্রিয়। জীবনে টেকনোলজি আমাকে যতটা ইম্প্রেস করেছে ততোটা অন্যকিছু কখনো করতে পারেনি। আর এই প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ থেকেই লেখালেখির শুরু.....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *