ক্যাপসিকাম এর উপকারিতা – লাল/সবুজ ক্যাপসিকাম বেশি উপকারী?

ক্যাপসিকাম এর উপকারিতা: দেখতে অনেকটা টমেটোর মতো, তবে টমেটো নয়। যেন বড়সড় এক মরিচ! নজরকাড়া রঙের এই সবজির নাম ক্যাপসিকাম। ক্যাপসিকাম লাল, সবুজসহ বেশ কয়েক রঙের হয়ে থাকে। তবে বাংলাদেশে সাধারণত লাল ও সবুজ ক্যাপসিকাম বেশি পাওয়া যায়। বিদেশি সবজি হলেও এর চাহিদা আমাদের দেশে ইদানিং দিনদিন বেড়ে চলেছে। সেইসঙ্গে বাড়ছে এর চাষও।

ক্যাপসিকামের অনেক গুণ রয়েছে। এতে থাকে প্রচুর ভিটামিন সি। তাই এই সবজি কখনোই অতিরিক্ত তাপমাত্রায় রান্না করা উচিত নয়। এতে এর ভিটামিন নষ্ট হয়ে যায়।

ক্যাপসিকাম এর উপকারিতা

ক্যাপসিকামে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে, যা শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। ভিটামিন ই, এ-ও পাওয়া যায় ক্যাপসিকামে। তাছাড়া চোখ ভালো রাখতেও এটি উপকারী। হাড় ও হার্ট সহ চুল ও ত্বকের জন্যও খুব ভালো এই সবজি।

ক্যাপসিকামে পটাসিয়াম, ফোলেট ইত্যাদি উপাদানও প্রচুর পাওয়া যায়। তাই এটি খেলে শরীরের আয়রন গ্রহণ করার ক্ষমতাও বাড়ে। ক্যাপসিকাম দীর্ঘদিন ফ্রিজে না রেখে কিনে আনার দুই-তিন দিনের মধ্যে খেয়ে নিলেই উপকার বেশি। কোন ক্যাপসিকামে উপকার বেশি, সবুজ না-কি লাল? বিস্তারিত প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

ক্যাপসিকাম গাছের ছবি

লাল ক্যাপসিকাম

লাল ও সবুজ ক্যাপসিকামের মধ্যে ক্যাপসিকাম এর উপকারিতা লালটিতেই বেশি পুষ্টিগুণসম্পন্ন। এতে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও বেশি থাকে। ত্বক সুন্দর রাখতে লাল ক্যাপসিকাম খাওয়া জরুরী। তাছাড়া চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় এবং চোখও ভালো থাকে। কোলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকার কারণে মোটা হওয়ার প্রবণতা কমে যায়।

ত্বক পরিষ্কার রাখতে ক্যাপসিকাম বেশ উপকারী। ত্বকের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত রোগের ক্ষেত্রে ক্যাপসিকাম রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে। লাল ক্যাপসিকাম যেকোনো ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে সহায়ক। বিশেষ করে ত্বকের ব্রণের হাত থেকে রক্ষা করে।

খনিজের অভাব পূরণ করে। পটাশিয়াম বেশি থাকার কারণে বয়স্কদের জন্য লাল ক্যাপসিকাম খাওয়াই ভালো। ক্যাপসিকাম খেলে মাথার তালুর রক্ত চলাচল বজায় রাখতে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে এই সবজি। বিভিন্ন উপকরণ বেশি থাকার কারণে বাজারে লাল ক্যাপসিকামের চাহিদা তুলনামূলক বেশি।

ক্যাপসিকাম গাছের দাম

সবুজ ক্যাপসিকাম

সবুজ ক্যাপসিকামও বিভিন্ন পুষ্টি উপকরণে ভরপুর। এই ক্যাপসিকাম অল্পবয়সীদের জন্য বেশি উপকারী। এতে ক্যাপসাইসিনস নামক উপাদান ডিএনএর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদানের সংযুক্ত হওয়াতে বাধা দেয়। এটি ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে।

সর্বপরি ক্যাপসিকাম এর উপকারিতা বলতে গেলে সবুজ ক্যাপসিকাম সাইনাস, মাইগ্রেন, ইনফেকশন, দাঁতে ব্যথা, অস্টিওআর্থ্রাইটিস ইত্যাদি ব্যথা দূর করতে কাজ করে। এটি শরীরের বাড়তি ক্যালরি পূরণে কাজ করে। ফলে চর্বি জমে না এবং ওজনও বৃদ্ধি পায় না। সবুজ ক্যাপসিকাম রক্তের অণুচক্রিকা উদ্দীপিত করে সংক্রমণ রোধ করে থাকে। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে দৈনন্দিন খাবার তালিকায় সব রঙের ক্যাপসিকাম রাখুন।

About Juyel Ahmed Liton

সুপ্রিয় “প্রোবাংলা” কমিউনিটি, ছোটবেলা থেকেই প্রযুক্তির প্রতি আকর্ষণ ছিলো এবং হয়তো সেই আকর্ষণটা অন্য দশ জনের থেকে একটু বেশি। ওয়েবসাইট, টাইপিং, আর্টিকেল লেখাসহ টেকনোলজি সবই আমার প্রিয়। জীবনে টেকনোলজি আমাকে যতটা ইম্প্রেস করেছে ততোটা অন্যকিছু কখনো করতে পারেনি। আর এই প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ থেকেই লেখালেখির শুরু.....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *