আমরা আপনাদের জন্য প্রতিনিয়ত বাছাইকৃত কিছু গেজেট নিয়ে হাজির হই। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আমাদের জীবনে কাজে আসতে পারে এমন অসংখ্য গেজেট বাজারে রয়েছে। এমন অসংখ্য গেজেট আছে যা আমাদের জীবনকে সহজ করে দেয়। কিন্তু আমরা তা জানি না। না জানার কারণে কি সেই সকল গেজেট ব্যবহার থেকে বঞ্চিত থাকবো?
না, probangla আপনাদের জন্য সর্বদা নতুন নতুন গেজেটের রিভিউ নিয়ে হাজির হবে। নতুন নতুন গেজেটের সম্পর্কে জানতে চোখ রাখুন এই ওয়েবসাইটে।
১. NBC Raptor
সাইকেল চালানোর সময় আমরা সানগ্লাস ব্যবহার করি। এর কারণ বাতাসে অনেক ধুলাবালি থাকে এবং উড়ন্ত ছোট ছোট পোকামাকড়ও থাকে। সাইকেল চলন্ত অবস্থায় এগুলো যদি হঠাৎ চোখে এসে পড়ে তাহলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাই আমরা অনেকেই সানগ্লাস ব্যবহার করি এবং অন্যকেও উৎসাহিত করি।
কিন্তু বাজারে এমন একটি সানগ্লাস রয়েছে যেটা দেখতে স্টাইলিশ সানগ্লাস এর মতো মনে হলেও এটা তার চেয়েও বেশি কিছু। এটা স্টাইলিশের পাশাপাশি স্মার্ট এবং এডভান্স। এই সানগ্লাসের গ্লাস এমনভাবে তৈরি যে, এটা একটি ডিসপ্লের মতো কাজ করে। এটা স্বচ্ছ তবে এখানে কয়েকটা তথ্য সুস্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে। সাইকেল চালানোর গতি কত সেটা এখানে লেখা থাকে। আপনার ব্লাড প্রেসার কত সেটাও জানতে পারবেন। কতটুকু দূরত্ব অতিক্রম করেছেন সেটাও এখানে উল্লেখ্য করা থাকে এবং সময় তো অবশ্যই।
আরো পড়ুন: অবাক করে দেওয়ার মতো তিনটি গেজেট
২. Quanta Vcl
আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা মোটরসাইকেলে যাতায়াত করেন। অনেক সময় দেখা যায় দীর্ঘ সময় আমাদের মোটরসাইকেলে যাতায়াত করতে হয়। এতে করে ঠান্ডা বাতাস শরীরে লাগে, হাতে লাগে। এছাড়া শীতকালে মোটরসাইকেলের যাতায়াত করাটা তো আরো কষ্টের। হাতে প্রচন্ড বাতাস লাগার কারণে হাত অবশের মতো হয়ে যায়। এর ফলে দেখা যায় মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ আর আমাদের হাতে থাকে না।
যা বড় একটি দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য আমরা অনেকে গ্লাভস ব্যবহার করি। কিন্তু প্রচণ্ড ঠাণ্ডা বাতাসে সেই গ্লাভস কোনো কাজেই আসে না। বাইকারদের এই সমস্যা সমাধানের জন্য বাজারে এসেছে Quanta Vcl
এটা আপনি আপনার মোবাইলে অ্যাপের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। এটা আপনার হাতকে উষ্ণ রাখবে। এটা রিচার্জেবল। এতে করে আপনার হাত থাকবে সুরক্ষিত।
৩. FPV Drone
আজকাল ভিডিও করার ক্ষেত্রে ড্রোন খুবই জনপ্রিয়। একটা সময় এই ড্রোন যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার হতো। কিন্তু এখন এটা সাধারণ মানুষের হাতে চলে এসেছে। সিনেমায় যে ধরনের ফুটেজ গুলো হেলিকপ্টার দিয়ে নেওয়া হতো আগে; সেগুলো এখন ড্রোন এর মাধ্যমে নেওয়া হচ্ছে আরো কম খরচে।
বিশেষ করে ইউটিউবারদের তো আর এই ড্রোনের কথা বলতে হবে না। তারা এর উত্তম ব্যবহার জানে। তবে প্রচলিত ড্রোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে খুবই সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। এই ড্রোন গুলো খুবই নাজুক প্রকৃতির হয়। এগুলোর স্পিডও কম। ক্যামেরার মান অতটাও ভালো হয় না। নিয়ন্ত্রণ করাটাও একটু কঠিন।
আপনি যদি প্রফেশনাল ভিডিওগ্রাফি করতে চান তাহলে এই FPV drone ড্রোনের চেয়ে ভালো মানের ছোট ড্রোন আপনি বাজারে পাবেন না।
এটার আছে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি গগল। অর্থাৎ VR গগল পরিধান করে আপনি এটাকে খুব সহজে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। এর আছে 4K কোয়ালিটির ভিডিও করার সক্ষমতা। আপনি জেনে অবাক হবেন, ভিডিওগ্রাফিতে এটা প্রতি সেকেন্ডে ১২০টি করে ছবি তোলে। এর মানে আপনি স্লো মোশন করলে খুব ভালো পারফরম্যান্স পাবেন।
আশ্চর্য হবেন এর গতি শুনে। মাত্র ২ সেকেন্ডে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতি তুলতে সক্ষম। এটার রেঞ্জ হচ্ছে ১০ কিলোমিটার। অর্থাৎ ১০ কিলোমিটারের মধ্যে আপনি এটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। ১৫০° ঘুরতে পারে এর ক্যামেরা। আপনি এটা দিয়ে একদম সিনেমাটি ভিডিও ধারণ করতে পারবেন।