বর্তমান বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি যে সমস্যা তার নামই হচ্ছে বেকারত্ব। তাই আজকের আলোচনা বেকারদের হাহাকার নিয়েই। আগেকার সময়ের তুলনায় এটা ইদানিং অনেকটাই বেশি। চাকরি প্রত্যাশী একজন ব্যক্তি চাইলেও ভালো থাকতে পারছে না, পরিবার ও সমাজে অবহেলিত। তাছাড়া আবার কিছু চাকরির পরীক্ষা স্থানীয় পর্যায়ে হলেও বেশিরভাগ পরীক্ষা রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। এতেও বেকাররা যখন আর্থিক সংকটে তার উপর ঢাকায় পরীক্ষা দিতে অনেক খরচ হবে বলে, অনেক পরীক্ষায় অংশগ্রহণও করতে পারছেন না।
বেকারদের হাহাকার
শব্দটা খুব হাস্যকর। আজ বেকার না হয়ে
জুকার হলেই ভালো হতো।
কারণ আজ বেকার আর জুকারের
কাজের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।
জুকার টাকার বিনিময়ে লোক হাসায়..
আর বেকারদের দেখে লোকেরা এমনিতেই হাঁসে।
লোক হাসানোর জন্য জুকারকে অনেক কিছু করতে হয়।
আর বেকারদের শুধুমাত্র বেকার শব্দটা
উচ্চারণ করতে পারলেই হলো।
জুকাররা সমাজে যে মান-সম্মান পায়,
একটা বেকার কখনোই তার ১% সম্মানও পায় না।
পার্টিতে একটা জুকার যতোটা পায়েরিটি পায়, একটা বেকার
তার চেয়ে অনেক অনেক বেশি লাঞ্চিত আর অপমানিত হতে হয়।
বাচ্চারা পর্যন্ত একটা জুকারকে ভালোবেসে কিন্তু
একটা বেকারকে ভালোবাসে না।
জুকারদের বাচ্চাদের মুখে হাসি ফুটানোর ক্ষমতা থাকলেও একটা বেকারের
ক্ষমতা নেই যে, ২০০ টাকা দিয়ে একটা খেলনা কিনে দিয়ে, কোনো বাচ্চার মুখে হাঁসি ফুটাবে।
একজন বাবা খুব সহজেই তার মেয়েকে জুকারের হাতে তুলে দিলেও
কখনোই অনার্স পাস বেকার ছেলের হাতে তুলে দেয় না।
আজ অনেক মানুষ পাওয়া যাবে যারা জুকারদের কদর করে,
আজ বেকার শব্দটা শুধু হাস্যকর না, সাথে অবহেলিতও।
অথচ চারপাশে শুধু বেকাররদের চাকরি চাকরি হাহাকার শুনা যায়।
কিন্তু তাদের বুক চাপড়ানো হাহাকার শুনে
অট্টহাসিতে ভেঙ্গে পড়ে অনেকেই।
প্রতিটিই বেকারের কথা একটাই
বেকার হয়ে বাঁচার চেয়ে জুকার হয়ে বাঁচা অনেক ভালো…
বেকারত্ব এক প্রকার যুদ্ধের মতো। বেকারদের এই যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে যেন সকল চাকরির পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে। বেকারদের হাহাকার এবং যন্ত্রণার জীবন থেকে মুক্তি পাক এ তরুণ প্রজন্ম।