Weather point 2.0

জীবনকে সহজ করে দেয় এমন ৩টি গেজেট

প্রযুক্তি; এই প্রযুক্তির কাজই হচ্ছে মানুষের জীবনকে সহজ করে দেওয়া। মানুষের সমস্যাগুলোর সহজ সমাধান দেওয়া। মানুষের কর্মজীবনকে আরো দ্রুতগতিসম্পন্ন করতে প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়ে থাকে। প্রযুক্তির কল্যাণে ছোট ছোট এমন অনেক গেজেট বা ডিভাইস বাজারে এসেছে যেগুলো আমাদের অনেক বড় ধরণের উপকার করছে। আজ এমনই তিনটি গেজেটের কথা আপনাদের বলবো। এই গেজেট সম্পর্কে জানতে Probangla-র সাথেই থাকুন।

১. Weather point 2.0

আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কিংবা পিকনিক বা ভ্রমণে যাওয়ার আগে আবহাওয়া সংবাদ জেনে তারপর বের হই। কেননা পথিমধ্যে যদি আবহাওয়া খারাপ হয়ে যায় তাহলে যাত্রাটাই বৃথা। সেই সাথে সময় ও অর্থ খরচ অতিরিক্ত। অনেক ঝামেলাও পোহাতে হয়।

আমরা সাধারণত ইন্টারনেটের মাধ্যমে আবহাওয়ার সংবাদ জেনে থাকি। কিন্তু এখানে একটি সমস্যা হচ্ছে, আবহাওয়া নির্ণয়ের স্টেশনগুলো অনেক দূরে দূরে থাকে। এছাড়া প্রতিনিয়ত আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে। এজন্য অনেক সময় আপনার নির্দিষ্ট অঞ্চলের ভুল আবহাওয়া সংবাদ প্রদান করে। এখন চাইলে আপনি নিজেই নিজের এলাকার আবহাওয়া কেমন তা নির্ণয় করতে পারবেন।

Weather point 2.0

Weather point 2.0 এই ডিভাইসে চারটি সেন্সর আছে। এগুলো চারটি ভিন্ন জিনিস পরিমাপ করে। যেমনঃ
• তাপমাত্রা
• আর্দ্রতা
• বায়ুচাপ
• আল্ট্রাভায়োলেট রেডিয়েশন

তাপমাত্রা, আর্দ্রতা ও বায়ুচাপ, এই তিনটি বিষয়ে সঠিক তথ্য পেলে মোটামুটি আবহাওয়া নির্ণয় করা সম্ভব। এই গ্যাজেটের সাথে একটি বিশেষ অ্যাপ থাকবে। সেই অ্যাপে অতি সূক্ষ্মভাবে আবহাওয়ার বর্তমান অবস্থা বলে দেবে। আলট্রাভায়োলেট রেডিয়েশন পরিমাপের মাধ্যমে বোঝা যাবে এই এলাকায় কোনো নিউক্লিয়ার বিস্ফোরক আছে কি না।

এই ডিভাইসটা এত ছোট যে, আপনি আপনার চাবির রিং এর সাথে ঝুলিয়ে রাখতে পারবেন। এটাকে স্মার্টফোনের হেডফোন জ্যাকে সংযোগ করে ব্যবহার করতে হয়। এটি খুবই অ্যাডভান্স একটি ডিভাইস। এটাকে ব্যবহার করতে ইন্টারনেটের প্রয়োজন পড়ে না। এটা ক্রয় করতে হলে ৬৫ ডলার খরচ করতে হবে।

আরো পড়ুন: জীবনকে সহজ করে দেয় এমন ৩টি গেজেট

২. Walk Car

আমাদেরকে অনেক সময় খুব দ্রুত স্বল্প দূরত্বের গন্তব্যে যেতে হয়। এছাড়া মাঝেমধ্যে বিকেল বেলা একটু ঘুরতে মন চায়। এখন যদি আপনার কাছে এমন একটি ডিভাইস থাকে যেটার উপর দাঁড়িয়ে আপনি ঘুরতে পারবেন তাহলে কেমন হবে?
আপনার কথা কথা চিন্তা এমন একটি ডিভাইস বাজারে এসেছে। যেটা দেখতে অনেকটা ল্যাপটপের মতো। এটা কার্বন মেটেরিয়াল দিয়ে তৈরি। তাই এটা প্রচুর মজবুত।

Walk Car

এটার উপর দাঁড়িয়ে ঘণ্টায় ১৬ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারবেন। চলন্ত অবস্থায় আপনি যেদিকে ভার দেবেন সেদিকেই এর চাকার মোড় ঘুরে যাবে। এটাকে চালাতে হয় মসৃন সমতল রাস্তায়। এর মধ্যে আছে রিচার্জেবল ব্যাটারি। একবার চার্জ দিয়ে পাঁচ থেকে সাত কিলোমিটার অনায়াসে পাড়ি দিতে পারবেন। এটা ব্যবহার করলে আপনাকে অনেক স্মার্ট দেখাবে। এটা আপনি হাতে করে বা স্কুল ব্যাগেও বহন করতে পারবেন। এর ওজন মাত্র তিন কেজি।

আরো পড়ুন: শিক্ষার্থীদের জন্য চমৎকার কয়েকটি গেজেট

৩. Tiny light

কোনো অন্ধকার স্থানে যেতে হলে আমাদের টর্চের প্রয়োজন হয়। কিংবা আলমারি পেছনে কোনো কিছু আছে কি না সেটা দেখার জন্য টর্চ দরকার হয়। কিংবা হঠাৎ পথ চলতে চলতে রাত হয়ে গেলে আলোর ব্যবস্থা না হলে পথ চলা দায়। মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট হয়তো সবারই আছে। কিন্তু ফ্ল্যাশ লাইটের আলো ছড়িয়ে যায়। সোজা সামনের দিকে টর্চলাইট এর মতো আলো প্রবাহিত হয় না। এছাড়া সব সময় তো সাথে টর্চলাইট রাখাও সম্ভব নয়।

Tiny light

এরই সমাধান হচ্ছে এই tiny light
এটা পেন্সিল ব্যাটারির চেয়েও ছোট। এর মাঝে আছে রিচার্জেবল ব্যাটারি। যেটা একবার চার্জ করে অনেকক্ষণ ব্যবহার করা যায়। এটা জ্বালালে কেউ বুঝতেও পারবে না যে, আপনার হাতের টর্চলাইটটি এত ছোট। এর আলো এত তীব্র যে, স্বাভাবিক আবহাওয়ায় ৫০ মিটার অবধি আলো যায়। এটার আরেকটি বিশেষত্ব হচ্ছে এটা ওয়াটার প্রুফ। এটা ক্রয় করতে হলে ১৪ ডলার খরচ করতে হবে।

About Juyel Ahmed Liton

সুপ্রিয় “প্রোবাংলা” কমিউনিটি, ছোটবেলা থেকেই প্রযুক্তির প্রতি আকর্ষণ ছিলো এবং হয়তো সেই আকর্ষণটা অন্য দশ জনের থেকে একটু বেশি। ওয়েবসাইট, টাইপিং, আর্টিকেল লেখাসহ টেকনোলজি সবই আমার প্রিয়। জীবনে টেকনোলজি আমাকে যতটা ইম্প্রেস করেছে ততোটা অন্যকিছু কখনো করতে পারেনি। আর এই প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ থেকেই লেখালেখির শুরু.....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *