সরকারি বিধবা ভাতা ও বিভিন্ন অনুদানের জন্য এবং পেনশন ভাতা পেতে একজন বিধবা নারীর ক্ষেত্রে পুনঃবিবাহ না হওয়ার প্রত্যয়ন পত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পুনঃবিবাহ না হওয়ার সনদ নমুনা ও প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নিন এখানে।
পুনঃবিবাহ না হওয়ার প্রত্যয়ন পত্র কি কাজে লাগে?
সাধারণত কোন ব্যক্তি সরকারি চাকরিজীবী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে, তার স্ত্রী/ নমিনীকে পেনশন ভাতা প্রদান করা হয়। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র সেই বিধবা নারী পুনরায় বিবাহ না করলেই সেই পেনশনের ভাতা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের এসকল নীতিমালা অনুযায়ী প্রমাণপত্র হিসেবে একটি পুনঃবিবাহ না হওয়ার সনদপত্র জমা দিতে হয়।
অন্যদিকে, বিভিন্ন সরকারি সেবা, বিধবা ভাতা এবং বেসরকারি সংস্থা থেকে আর্থিক অনুদান পেতেও এই সনদপত্রটি লাগতে পারে। এর দ্বারা একজন বিধবা নারীর অসচ্ছলতা প্রকাশ করা হয়।
পুনঃবিবাহ না হওয়ার সনদপত্র কোথায় পাবো
সরকারি বিভিন্ন প্রত্যয়ন পত্রের জন্য, https://prottoyon.gov.bd/ – এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। তারপর একটি নাগরিক অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করুন। ড্যাশবোর্ড থেকে আপনার প্রয়োজনীয় প্রত্যয়ন পত্র সিলেক্ট করে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে আবেদন করুন। পরবর্তীতে, একটি অনলাইন সার্টিফাইড সনদ পাবেন। তবে এক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হয় এবং মাঝে মাঝে সনদ পেতে দেরি হয়।
তাই, পুনঃবিবাহ না করার প্রত্যয়ন পত্র সাধারণত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, মেম্বার অথবা ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর কাছ থেকে সংগ্রহ করা যাবে। যেহেতু এটি ব্যক্তিগত তথ্যভিত্তিক তাই সবচেয়ে নিকটতম জনপ্রশাসন অফিস থেকে নেওয়াই ভালো।
যখন কোন বিধবা নারীর এই প্রত্যয়ন পত্রটির প্রয়োজন হবে, তখন সরাসরি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে উপস্থিত হবেন। আপনার বর্তমান অবস্থার বিস্তারিত তথ্য দিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে একটি প্রত্যয়ন পত্র চেয়ে আবেদন করুন। তিনি বিস্তারিত বিষয় বিবেচনা করে, পুনঃবিবাহ না করার প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম অনুযায়ী আপনাকে একটি প্রত্যয়ন পত্র দিবেন।
পুনঃবিবাহ না হওয়ার প্রত্যয়ন পত্র লেখার নমুনা
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
১ নং রাধানগর ইউনিয়ন পরিষদ
রাধানগর, মেঘনা, কুমিল্লা
স্মারক নং : ……………
তারিখ :….….……….
“পুনঃবিবাহ না হওয়ার প্রত্যয়ন”
এই মর্মে প্রত্যয়ন করা যাচ্ছে যে, নাম :.................... , পিতা / স্বামী :.................... , গ্রাম :......……….. , পোস্ট অফিস :................. , থানা : মেঘনা, জেলা : কুমিল্লা। তিনি জন্মসূত্রে একজন বাংলাদেশের নাগরিক। তিনি ১ নং রাধানগর ইউনিয়নের একজন স্থায়ী বাসিন্দা। আমার জানামতে তার স্বামী মৃত মো :.............. , ১৪/১১/২০২০ ইং তারিখে মৃত্যু বরণ করেন। তার মৃত্যুর পর মোসা :.............. , আর কোন দ্বিতীয় বিবাহ করেন নাই ইহা সত্য এবং বর্তমানে তিনি তার ০২ ছেলে সন্তান নিয়ে স্বামীর বাড়িতে অবস্থান করিতেছেন।
আমি তার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল ও উন্নতি কামনা করছি।
সাক্ষর :……………
ইউনিয়ন পরিষদ / চেয়ারম্যানের সিলমহর।
এ ধরনের প্রত্যয়ন পত্র বিনামূল্যে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অফিস থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।
শেষকথা
একজন বিধবা নারীর পরিবারের জন্য সরকারি ও বেসরকারি আর্থিক সহায়তা ও অনুদান পেতে উপরোক্ত প্রত্যয়ন পত্রটি গুরুত্বপূর্ণ। অনলাইনে এসকল প্রত্যয়ন পত্র পাওয়া জটিল তাই প্রতিষ্ঠান থেকেই সংগ্রহ করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান উপরোক্ত পুনঃবিবাহ না হওয়ার প্রত্যয়ন লেখার নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যয়ন দিবেন।