আপনি কি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে চান? তাহলে ফলো করুন এই মোবাইল দিয়ে অনলাইনে টাকা ইনকাম এর এই লেখাটি। এটিতে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায় অত্যন্ত সহজ ও সাবলীল ভাষায় কীভাবে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করবেন তা আলোচনা করা হয়েছে। তবে উল্লেখ্য যে সম্পূর্ণ নিজ দায়িত্বে এই পদ্ধতিগুলো চেষ্টা করতে পারেন।
মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায়
মোবাইল দিয়ে টাকা উপার্জন করার একাধিক উপায় রয়েছে। এর জন্য শুধুমাত্র একটি স্মার্ট ফোন এবং ইন্টারনেট কানেকশন থাকে তবেই এখনি আপনি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম শুরু করে দিতে পারেন। মোবাইল দিয়ে টাকা আর্নিং করার উপায় সমূহ নিম্নরূপঃ-
- ব্লগিং করে
- ইউটিউব ভিডিও তৈরী করে ইনকাম
- ফেসবুক ই-কমার্স দ্বারা আয়
- ইন্সটাগ্রাম থেকে
- মাইক্রোওয়ার্ক সাইট থেকে
- টাকা ইনকাম করার অ্যাপস দিয়ে
- মোবাইল দিয়ে বিকাশ থেকে ইনকাম
- ফ্রিল্যান্সিং করে
- ফটোগ্রাফ বা ভিডিও বিক্রি করে
আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি যথেষ্ট শক্তিশালী এবং বহু কিছু ব্যবহার করতে সক্ষম। ভিডিও রেকর্ডিং থেকে শুরু করে ভিডিও এডিট আপলোডসহ প্রায় কম্পিউটারের মত ব্যবহার উপযোগী। মোবাইল দিয়ে ভিডিও রেকর্ড করে তা আপলোড অবধি পোছানো এখন মোবাইলেই সম্ভব। পরবর্তীতে এডসেন্স প্রোগ্রাম চালু করে প্রচুর পরিমাণের আয় করা সম্ভব। একই পদ্ধতি অনুসরণ করে ফেসবুকে ভিডিও আপলোডের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এক পর্যায়ে যদি আপনার ইউটিউব সাবস্ক্রাইবার এবং ফেসবুকের পেইজের ফলোয়ার অনেক বেশি সংখ্যক হয়, তাহলে আপনি স্পন্সরড ভিডিও তৈরি করেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
♥ আরো পড়ুনঃ জেনে নিন অনলাইনে আয় করার কয়েকেটি সহজ মাধ্যম
ব্লগিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
প্রতিনিয়ত অনলাইনে ইনকামের চাহিদা বাড়ছে। তাছাড়া ইন্টারনেটে লেখার চাহিদাটা অনেক। সে ধারাবাহিকতায় আপনি আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি দিয়ে অনায়াসে চালু করতে পারেন একটি ব্লগ। ব্লগিং শুরু করে গুগল ইনকাম সার্ভিস এডসেন্স অনুমোদন হলেই শুরু হয়ে যাবে আপনার ইনকাম।
ব্লগিং বা আর্টিকেল লেখা শুরু করতে সর্বপ্রথম ওয়ার্ডপ্রেস অথবা ব্লগার বা ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। তারপর সেই সাইটকে সুন্দর করে সেপআপ করে নিতে হবে। এরপর ধীরস্থির ভাবে কপিরাইট মুক্ত অর্থাৎ ইউনিক পোস্ট করুন। প্রতিদিন মানসম্মত, তথ্যবহুল এবং গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল লিখুন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এডসেন্স এর জন্য আবেদন করুন।
গুগল এডসেন্স অনুমোদন বা এপ্রুভ হয়ে গেলে গুগল কর্তৃক আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগে বিজ্ঞাপন দেখানো শুরু হবে। এতে আপনাকে গুগল কিছু পরিমাণ অর্থ আপনাকে প্রদান করবে যার পরিমাণ গুগল মোট বিজ্ঞাপনের মূল্যের ৬৮% আপনাকে পেমেন্ট করবে। এছাড়াও ব্লগে স্পন্সরড এবং অ্যাফিলিয়েট এর মাধ্যমেও উপার্জন করার সুযোগ রয়েছে।
বিঃদ্রঃ মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করে আয় করতে হলে প্রথমে কিছু অর্থ খরচ করতে হবে। এই মুহুর্তে আপনি যদি এই অর্থ খরচ ব্যর্থ হন, তাহলে অন্যের ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমেও অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
ইউটিউব ভিডিও তৈরী করে মোবাইল দিয়ে টাকা আয়
আমরা জানি এখন আপনি কি জানতে চাচ্ছেন? আপনি হয়ত ভাবছেন যে, ইউটিউব ভিডিও বানাবেন কি নিয়ে? বর্তমানে ইউটিউবে প্রায় সকল ধরনের ভিডিও এর চাহিদা এবং ভিউয়ার অনেক বেশি। আপনি যে বিষয়ে এক্সপার্ট সে বিষয় নিয়ে ক্রমাগত ভিডিও তৈরি করতে থাকুন একদম প্রফেশনাল ভাবে। একসময় দেখবেন আপনার ভিডিও থেকেও লক্ষ লক্ষ টাকা আয় হচ্ছে।
♥ ইউটিউবে আপলোড করা প্রথম ভিডিও এবং প্রথম ব্যক্তি!
গুগল এডসেন্স সংযুক্ত করার মাধ্যমে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে টাকা আয় করতে পারবেন, গুগলের এই পদ্ধতির নাম হচ্ছে ইউটিউব মনিটাইজেশন নামে পরিচিত। একটি ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজ এর যোগ্য হতে যা যা প্রয়োজন তা নিম্নরূপঃ
- সর্বশেষ ৩৬৫ দিনে ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকতে হবে।
- আপনার চ্যানেলে মোট ১০০০ সাবস্ক্রাইবার হতে হবে।
উপরোল্লিখিত দুটি শর্ত পূরণ হয়ে গেলেই ইউটিউব হতে আপনার ইনকাম শুরু। এছাড়াও আপনার এই ইউটিউব চ্যানেল হতে আরো দুটি পদ্ধতিতে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। যেমন- আপনার চ্যানেল কিছুটা ভাইরাল বা বড় হলে বিভিন্ন কোম্পানী স্পন্সর করতে তাদের প্রোডাক্টস এবং সার্ভিসসমূহ এতেও আপনার অনেক ইনকাম বেড়ে যাবে। তাছাড়াও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেও প্রচুর পরিমাণের কমিশন ভিত্তিক ইনকাম করাও সম্ভব।
ফেসবুক ই-কমার্স দ্বারা মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
ফেসবুক ই-কমার্স দ্বারা আয় করতে হলে প্রথমে জানতে ফেসবুক ই-কমার্স কি? ফেসবুক ই-কমার্স হলো- অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় এবং ব্যবসা পরিচালনা করাকে ফেসবুক ই-কমার্স বলা হয়। আরও একটু পরিষ্কার করি- কোন ব্যবসা শুরু করার পূর্বে অনেক প্রস্তুতি নিতে হয়। কিন্ত আপনি এই ফেসবুক ই-কমার্স এর মাধ্যমে খুব সহজে আপনার পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। এই পণ্য বিক্রয়ের যে সুবিধাটি ফেসবুক এর মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয় সেটিই মুলত ফেসবুক ই-কমার্স। বর্তমানে অগণিত ফেসবুকের ব্যবহারকারী। প্রত্যেক ইউজার হয়ে যেতে পারে আপনার পণ্যের ক্রেতা।
ফেসবুক ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করতে হলে আপনার প্রথমে কিছু টাকা বিনিয়োগ করতে হবে শুধুমাত্র প্রোডক্ট ক্রয়ের জন্য। তারপর উক্ত পণ্যগুলো ফেসবুক ই-কমার্স ক্যাটালগে যুক্ত করে দিতে। পরবর্তীতে আপনার কাজ হচ্ছে যে সকল স্থান হতে আপনার বিক্রয় হবে বলে আপনি মনে করেন সেই গ্রুপ/পেজ/প্রোফাইলে শেয়ার করুন। আপনার পণ্য মানসম্মত আর সবার পছন্দের জিনিস হলে বিক্রি হতে তেমন সময় লাগবে না।
ফেসবুক মনিটাইজেশন দ্বারা মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
ফেসবুক মনিটাইজেশন দ্বারা ইনকাম করতে হলে আপনাকে যে বিষয় জানতে হবে তা হচ্ছে ফেসবুক মনিটাইজেশন কি? ফেসবুকে নির্ধারিত কিছু শর্তাদি পূরণ করে টাকা ইনকামের যোগ্যতা অর্জনের মাধ্যমে ফেসবুকের পার্টনারশিপের আওতাভুক্ত হওয়ার নামই হচ্ছে ফেসবুক মনিটাইজেশন।
আপনার জানা যে কোন নিজের তৈরি করা ভিডিও সবার সাথে শেয়ারের মাধ্যমে আয় করা সম্ভব। ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন পেতে আপনার যা যা প্রয়োজন হবে তা নিম্নরূপঃ
- সর্বশেষ ৬০ দিনের মধ্যে ৬০০,০০০ মিনিট (ওয়াচ টাইম)
- সর্বনিম্ন ৫টি সক্রিয়/একটিভ ফেসবুক ভিডিও
- পেজ ফলোয়ার থাকতে হবে ১০ হাজার।
তাছাড়াও আপনি আপনার ইউটিউব এর জন্য যে ভিডিও তৈরি করবেন সেই ভিডিও ফেসবুকে আপলোড দিতে পারবেন। এতে আপনার কষ্ট কম হলো আর দুটি প্লাটফর্মে ইনকাম শুরু হলো।
ফেসবুক থেকে ইনকাম এর অনেক মডেল রয়েছে- যেমনঃ ইন-স্ট্রিম এড, ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল, ফ্যান সাবস্ক্রিপশন, ব্র্যান্ডেড কনটেন্ট ও সাবস্ক্রিপশন গ্রুপ। বর্তমানে ইউটিউবের তাল মিলিয়ে ফেসবুকেও ভিডিও অনেক বেশি শেয়ার এবং ভাইরাল হচ্ছে, সুতরাং ফেসবুক তুলনামূলক সহজ হবে এখান থেকে আয় করা।
ইন্সটাগ্রাম থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা আয়
ইন্সটাগ্রাম কেবলমাত্র ছবি অথবা ভিডিও শেয়ারি স্যোসাল মিডিয়া নয়। ইন্সটাগ্রাম ব্যবহার এখন অনলাইন ইনকাম করাও সম্ভব। ইন্সটাগ্রাম থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে হলে প্রথমে আপনাকে একটি সুন্দর, গোছানো, প্রফেশনাল প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। এছাড়াও আরো যা যা প্রয়োজন হবে তা নিচে তুলে ধরা হলো-
- একটি আকর্ষণীয় ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইল তৈরী করুন
- প্রতিনিয়ত নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর সুন্দর আঙ্গিকে পোস্ট করুন
- সবসময় আপনার পোস্ট এর কোয়ালিটি বজায় রাখুন
- আপনার প্রোফাইল যে বিষয়ের উপর সাজিয়েছেন ঠিক সে রকম প্রোফাইলের সাথে সম্পর্ক অথবা ফলো করুন।
- ফলোয়ারদের সাথে এনগেজমেন্ট স্থাপন করুন (যেমন- কমেন্টের উত্তর দিন নিয়মিত)
ইন্সটাগ্রাম থেকে টাকা আয় করতে আপনার প্রয়োজন হবে একটি মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগ। ইন্সটাগ্রাম থেকে টাকা আয় করার কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপায় নিচে উপস্থাপন করা হলো-
- অর্থের বিনিময়ে অন্যের প্রোফাইল প্রোমোট করে
- বিজ্ঞাপন করে
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে
- নিজের প্রোডাক্ট বিক্রি করে, ইত্যাদি
অন্য সকল প্ল্যাটফর্মের মতই ইন্সটাগ্রাম কনটেন্ট এর অনেক চাহিদা রয়েছে। প্রতিনিয়ত ইন্সটাগ্রামে একটিভ থাকলে কিছুদিনের মধ্যে ইন্সটাগ্রাম আইডি ভাইরাল বা জনপ্রিয় হতে থাকবে। তারই সাথে সাথে আপনার আয়ও বাড়বে।
মাইক্রোওয়ার্ক সাইট থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম আর্টিকেলের এ পর্যায়ে আমরা শেয়ার করতে যাচ্ছি মাইক্রোওয়ার্ক সাইট থেকে আয় সম্পর্কে আলোচনা। ছোটোখাটো প্রচুর কাজ রয়েছে অনলাইনে- ভিডিও দেখা, কমেন্ট করা, অ্যাপ ইন্সটল, পোস্ট শেয়ার, সার্ভে ইত্যাদি। এ সকল ছোট ছোট কাজের বিনিময়ে কিছু সাইট টাকা প্রদান করে। এসব সাইটকে বলা হয় মাইক্রোওয়ার্ক সাইট। এ সাইটগুলোর সুবিধা হচ্ছে যেকোনো ডিভাইস বা মোবাইল দিয়ে কাজ করে আয় করা সম্ভব। নিচে কিছু মাইক্রোওয়ার্ক সাইট- যেমন মাইক্রোওয়ার্কার্স, পিকোওয়ার্কার্স, ইত্যাদি।
অ্যাপস দিয়ে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
এ পর্যায়ে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার অ্যাপস সম্পর্কে আমরা আলোচনা করতে চলেছি। স্মা্ট ফোন দিয়ে টাকা আয় করার অগনিত অ্যাপ থাকলেও অল্প সংখ্যক অ্যাপ রয়েছে যা বিস্বস্ত। ফুল টাইম হিসেবে এগুলো না নিলেও হাত খরছের টাকাটা অন্ততপক্ষে পাওয়া যায়। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে আয় করার কিছু অ্যাপের তালিকা ও বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
পকেট মানিঃ এই অ্যাপটিতে বিভিন্ন প্রকারের গেম খেলা, সার্ভে ফর্ম সম্পন্ন করে ও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আয় করা সম্ভব। তাছাড়াও এপসটির লিংক রেফার করে বোনাস হিসেবে ১৬০ টাকা পেতে পারেন আপনি। টাকা পেমেন্ট পাবেন রিচার্জের মাধ্যমে।
পোল পেঃ এই এপসটি সাধারণ ব্যবহারকারী মতামত, মন্তব্য, রিভিউ প্রদানে ব্যবহার হয়ে থাকে। আপনার অর্জনকৃত টাকা তুলতে পারবেন গুগল প্লে, নেটফ্লিক্স, আমাজন, এক্সবক্স এর গিফট কার্ড হিসেবে। আপনি চাইলে গিফট কার্ডটি বিক্রিও করে দিতে পারেন বা কোন কিছু অনলাইন থেকে ক্রয় করে নিতে পারেন।
গুগল অপিনিওন রিওয়ার্ডঃ এই অ্যাপটিও প্রায় পোল পে অ্যাপের মতো হুবহু কাজ। বিভিন্ন সার্ভে সম্পন্ন করার মাধ্যমে গুগল প্লে টাকা প্রদান করে থাকে।
অ্যামাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
এফিলিয়েট মার্কেটিং অনলাইন থেকে ইনকামের এক বিস্তৃত উপায়। বিশ্বে বহু এফিলিয়েট/ ই-কমার্স সাইট রয়েছে। তন্মধ্যে বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ই-কমার্স সাইট হচ্ছে Amazon.com। এই Amazon -এর কথা আমরা সকলেই কম-বেশি শুনেছি। প্রায় সকল ধরনের প্রোডাক্ট ও সেবার ব্যবস্থা রয়েছে এই Amazon এ। অ্যামাজন -এ প্রতি মাসে প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ভিজিটর আসে। Amazon এর প্রতি ঘন্টায় সেল হয় প্রায় ১৭ মিলিয়ন ডলার, যা সেকেন্ডের সেল ৪৭২২ ডলার। প্রতিবছর এর আয়ের পরিমান ৪৭ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পায় পূর্বের বছর থেকে।
বর্তমানে প্রায় ৩,৭০,০০০ মানুষ এর এফিলিয়েট পার্টনার হয়ে ঘরে বসে ইনকাম করছে লক্ষ টাকা। মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায়ে সেরা হতে পারে এই এফিলিয়েট মার্কেটিং। বিভিন্ন সাইটে অথবা ফেসবুক মার্কেটিং করে প্রডাক্ট সেল করে ইনকাম করা যায় এখানে। তবে একজন প্রফেশনাল এফিলিয়েট মার্কেটার হতে হলে প্রয়োজন একটি ব্লগ সাইট অথবা একটি ফেইসবুক পেজ, ইন্সটাগ্রাম ফলোয়ার, ইউটিউব চ্যানেল। এখান থেকে যাই হোক না কেনো আপনার মূল লক্ষ হিউজ পরিমান ট্রাফিক/জনবল। যত বেশি ট্রাফিক তত বেশি সেল ও তত বেশি ইনকাম।
বিগত কয়েক বছর ধরে অ্যামাজন তাদের বিশেষ একটি প্রোডাক্ট- Bounty Programme চালু করেছে। এখানে মূলত অফার প্রমোট করে নির্দিষ্ট ইনকাম করা যায়। প্রডাক্ট সেল হোক বা না হোক কাস্টমার আপনার ট্রাকিং লিংক থেকে এখানে প্রডাক্ট ক্রয়ের উদ্দেশ্যে একাউন্ট খুলে প্রডাক্ট ভিজিট করলেই আপনি পেয়ে যাবেন আপনার ইনকাম। শুধু মার্কেটিং নলেজ থাকলেই মোবাইল দিয়ে এই সহজ উপায়ে অধিক পরিমাণ উপার্জন করা সম্ভব।
বিকাশ থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা আয়
আমরা জানি বিকাশ একটি টাকা লেনদেনের অ্যাপস মাত্র। কিন্তু এই বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করেও চাইলে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন। তো চলুন জেনে কিভাবে মোবাইল দিয়ে বিকাশ থেকে ইনকাম করবেন। বিকাশ দিয়ে টাকা আয় করা একদম সহজ একটি কাজ। সাধারণত বিকাশ অ্যাপ রেফারের মাধ্যমে ইনকাম করা সম্ভব। প্রতিটি রেফার সম্পন্ন ভাবে করতে পারলে বিকাশ আপনার ১০০ টাকা বোনাস দেবে।
বিকাশ অ্যাপ দিয়ে টাকা আয় করার পদ্ধতিঃ
প্রথমে বিকাশ অ্যাপে প্রবেশ করে ডানদিকের লগোতে ক্লিক করুন। তারপর রেফার বিকাশ অ্যাপ অপশন হতে রেফার এ ক্লিক করুন। প্রাপ্ত রেফার লিংকটি আপনি আপনার বন্ধুদের শেয়ার করুন। যেমন- এসএমএ, ই-মেইল, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো, মেসেঞ্জার এর মাধ্যমে শেয়ার করুন।
শেয়ারকৃত রেফার ব্যবহার করে কেউ যদি বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করে ভোটার আইডি কার্ডের ছবি তুলে একটি একাউন্ট খুলেন এবং লগিন করেন তাহলে যিনি লগিন করবেন তিনি পাবেন তাৎক্ষনিক ভাবে ২৫ টাকা। তাছাড়া যেকোনো পরিমান মোবাইল রিচার্জ বা ক্যাশ আউট করলে পাবেন তিনি আরও ২৫ টাকা ক্যাশব্যাক। এতে আপনি পাবেন সমপরিমাণ বোনাস।
ফ্রিল্যান্সিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা এমন নয় যে, সরকারি বা বেসরকারি কোন প্রতিষ্ঠানে কাজ করা। এটি সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে নিজের যোগ্যতা ও দক্ষতা দিয়ে করে টাকা উপার্জনকে বলা হয় ফ্রিল্যান্সিং। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইট আছে যাতে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। মোবাই দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় কিছু কাজ নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
- কনটেন্ট রাইটিং
- কপিরাইটিং
- ব্লগ কমেন্টিং
- ফোরাম পোস্টিং
- ট্রান্সলেশন
- ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
- প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন রাইটিং
- প্রুফরিডিং
- ট্রান্সক্রিপশন, ইত্যাদি
♥ আরো পড়ুনঃ আয়কর রিটার্ন দাখিলের নিয়ম
ভিডিও বা ছবি বিক্রি করে মোবাইল দিয়ে টাকা আয়
এখনকার সময় ক্যামেরা ব্যবহার করার কোন দরকারই হয় না কোন মানুষের। প্রযুক্তি বিবর্তনে আজ প্রত্যেকের হাতেই ভালো ক্যামেরার ফোন রয়েছে। এই ফোন ব্যবহার করেই ভালো ছবি বা ভিডিও করাও সম্ভব। পরবর্তীতে এই ভিডিও বা ছবি বিক্রি করে টাকা আয় করা সম্ভব।
আপনার শখের বসে একটি ছবিও হতে পারে আপনার টার্নিং পয়েন্ট। শুরু হয়ে যেতে আপনার ইনকাম। তাই ছবি ও ভিডিও বিক্রি অসংখ্য ওয়েবসাইট রয়েছে তন্মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য সাইটের তালিকাভুক্ত করলামঃ
- শাটারস্টক
- ফোপ
- আইএম
- স্ন্যাপওয়্যার
- ড্রিমসটাইম
এ জাতীয় সাইটে ছবি, ভিডিও কেনা বেচা হয়ে থাকে। একটি ছবিই হতে আপনার ইনকামে প্রধান সোর্স। তাই ছবি তুলুন আর উপরের সাইটগুলো বিক্রয়ের মাধ্যমে ইনকাম করুন।
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম এর ১০ টি পদ্ধদ্ধির মধ্যে কোন পদ্ধতিটি আপনার সবচেয়ে ভালো লেগেছে? কমেন্ট সেকশনের মাধ্যমে আমাদের জানান। এছাড়া আপনার নিকট এর ভালো আইডিয়া থাকলে আমাদের সাথে শেয়ার করুন।
প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন রাইটিং
01811428659 Nagad
01811428659
Best useful,
nice…!