ইনপুট ডিভাইস

ইনপুট ডিভাইস কাকে বলে? ইনপুট ডিভাইসের প্রকারভেদ ও ব্যবহার

ইনপুট ডিভাইস (Input Device) আমাদের কম্পিউটারকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ইনপুট ডিভাইস কাকে বলে এবং ইনপুট ডিভাইসের প্রকারভেদ ও ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন এই আলোচনায়।

কম্পিউটারে তথ্য ইনপুট করার জন্য বিভিন্ন ইনপুট ডিভাইস রয়েছে। একেকটি ইনপুট ডিভাইসের কাজ একেক রকম। প্রযুক্তির যুগে এই সকল ডিভাইস গুলো সম্পর্কে সকলেরই প্রাথমিক ধারণা থাকা প্রয়োজন। তাই কম্পিউটার ইনপুট ডিভাইস কাকে বলে এবং ইনপুট ডিভাইসের বিস্তারিত তথ্য এই লেখাতে জেনে নিতে পারবেন।

ইনপুট ডিভাইস কাকে বলে?

কম্পিউটারকে তথ্য প্রদান বা দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য যে সকল ডিভাইস গুলোর সাহায্য নেওয়া হয়, সেগুলোকে ইনপুট ডিভাইস বলে।

একটি কম্পিউটার তার ব্যবহারকারীর কাছ থেকে তথ্য ও ইনস্ট্রাকশন নিয়ে সেগুলোকে প্রসেসিং করে আউটপুট বা ফলাফল দিয়ে থাকে। এই প্রক্রিয়ার জন্য কম্পিউটারের কাছে ডাটা প্রেরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর ডাটা প্রদানের জন্য ব্যবহৃত হয় বিভিন্ন প্রেরণকারী ডিভাইস। কম্পিউটারের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ইনপুট ডিভাইস হলো মাউস ও কিবোর্ড।

ইনপুট ডিভাইসের বৈশিষ্ট্য

প্রতিটি ইনপুট ডিভাইসই কোন কম্পিউটার বা অন্য কোন সিস্টেমে বিশেষ তথ্য ইনপুট বা কমান্ড করার জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে সকল ইনপুট ডিভাইসেরি কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই বৈশিষ্ট্যসমূহ হলো:

  • ইনপুট ডিভাইস গুলো কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের জন্য কম্পিউটার সিস্টেমের ডাটা ইনপুট করার প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি শব্দ, লেখা, সংখ্যা, কমান্ড ইত্যাদি বিভিন্ন ফরম্যাটে হতে পারে।
  • অধিকাংশ ইনপুট ডিভাইসই সাধারণত ভৌত পদার্থের হয়ে থাকে। তবে কিছু কম্পিউটার সফটওয়্যারও ইনপুট ডিভাইস হিসেবে কাজ করতে পারে।
  • ইনপুট ডিভাইস গুলো কম্পিউটার ও ব্যবহারকারীদের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে। একটি কম্পিউটার বা অন্যান্য ডিভাইসের সিস্টেমের সাথে যোগাযোগ করতে এবং নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
  • প্রতিটি ইনপুট ডিভাইস একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য অনুসরণ করে কাজ করে এবং নির্দিষ্ট ফরম্যাটের তথ্য ইম্পোর্ট করে।
  • ইনপুট ডিভাইসের নকশা এবং কার্যকারিতা গুলো সাধারণত সংবেদনশীল এবং নির্ভুল হয়।
  • ইউএসবি, ব্লুটুথ ইত্যাদি সংযোগ ইন্টারফেস ব্যবহার করে ইনপুট ডিভাইসগুলো তারযুক্ত বা বেতার মাধ্যমে একটি কম্পিউটার বা সিস্টেমের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারে।
  • কিছু কিছু বিশেষ ইনপুট ডিভাইস রিয়েল-টাইম ইন্টারঅ্যাকশন সুবিধা প্রদান করে। যার ফলে ব্যবহারকারীর ইনপুটের উপর ভিত্তি করে সিস্টেম থেকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া সম্ভব।

এছাড়াও প্রতিটি ইনপুট ডিভাইসের কিছু নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা তাদেরকে অন্যান্য Input Device থেকে স্বতন্ত্র করে তোলে।

কম্পিউটার ইনপুট ডিভাইস গুলো কি কি

কম্পিউটারের বহুল ব্যবহৃত ইনপুট ডিভাইস গুলো হলোঃ

(১) কীবোর্ড (Keyboard)
(২) মাউস- পয়েন্টিং ডিভাইস (Mouse – pointing device)
(৩) মাইক্রোফোন (Microphone)
(৪) জয়স্টিক (Joystick)
(৫) লাইট পেন (Light Pen)
(৬) স্ক্যানার (Scanner)
(৭) ক্যামেরা (Cameras)
(৮) ওয়েবক্যাম (Webcam)
(৯) টাচপ্যাড (Touchpad)
(১০) গেমপ্যাড (Gamepad)
(১১) ইলেকট্রিক হোয়াইটবোর্ড (Electronic Whiteboard)
(১২) MIDI keyboard (Musical Instrument Digital Interface Keyboard)
(১৩) গ্রাফিক্স ট্যাবলেট (Graphics Tablet)
(১৪) ট্র্যাকবল (Trackball)
(১৫) বারকোড রিডার (Barcode reader)
(১৬) ভিডিও ক্যাপচার হার্ডওয়্যার (Video Capture Hardware)
(১৭) পাঞ্চ কার্ড রিডার (Punch card reader)
(১৮) MICR (Magnetic Ink character reader)
(১৯) OMR (Optical Mark Recognition)
(২০) OCR (Optical Character Recognition)
(২১) ম্যাগনেটিক টেপ ড্রাইভ (Magnetic Tape Drive)
(২২) ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার (Fingerprint Scanner)
(২৩) মেডিকেল ইমেজিং ডিভাইস (Medical Imaging Device, X-ray, Ultrasound Imaging)
(২৪) ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেট ও গ্লাভস (Virtual Reality Headset and Gloves)
(২৫) থ্রিডি স্ক্যানার (3D scanner)
(২৬) সেন্সর (Sensor)
(২৭) টাচ স্ক্রীন (Touch Screen)
(২৮) মডেম (Modem)

জনপ্রিয় কিছু ইনপুট ডিভাইস এর ব্যবহার

ইনপুট ডিভাইস কাকে বলে তা জেনে কোনটি ইনপুট ডিভাইস তা চিহ্নিত করা যায়। এ সকল ইনপুট ডিভাইস গুলো বিভিন্নভাবে কম্পিউটারে তথ্য ইনপুট করে বা ইনস্ট্রাকশন দেয়।

কম্পিউটারের সকল ইনপুট ডিভাইসের মধ্যে বেশ কিছু জনপ্রিয় ইনপুট ডিভাইস রয়েছে, যেগুলো প্রতিনিয়তই কম্পিউটার পরিচালনায় ব্যবহৃত হয়।

কীবোর্ড (keyboard)

কীবোর্ড-কে কম্পিউটারের প্রধান ইনপুট ডিভাইস বলা হয়। ইনপুট ডিভাইসের মধ্যে এটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত। কম্পিউটারে লেখালেখি করতে, দিকনির্দেশনা দিতে, এমনকি সব ধরনের ইনপুট দিতে কীবোর্ডের বিভিন্ন বাটন ব্যবহার করা যায়। একটি কীবোর্ডে বিভিন্ন ধরনের প্রতীক, বর্ণ, সংখ্যা এবং কম্পিউটার ম্যানেজমেন্টের জন্য প্রয়োজনীয় বাটন থাকে। ভিন্ন ভিন্ন ইন্সট্রাকশন দিতে কীবোর্ডের ভিন্ন ভিন্ন ‘কী’ বা বাটন ব্যবহৃত হয়।

মাউস (Mouse)

কম্পিউটারের জনপ্রিয় ইনপুট ডিভাইস গুলোর মধ্যে মাউস অন্যতম। ইনপুট ডিভাইস কাকে বলে- তার সংজ্ঞানুযায়ী, মাউস এর কাজ হলো বিভিন্ন নির্দেশ প্রদান করা। মাউসের সাহায্যে, কম্পিউটারের নির্দিষ্ট কোন কিছু নির্বাচন করতে পয়েন্টার নিয়ে সিলেক্ট করা যায়।

আরও পড়ুন: Input and output devices of computer

কম্পিউটার মনিটরের কোন নির্দিষ্ট জায়গায় পয়েন্ট করতে ব্যবহৃত হয় বলে, এটিকে পয়েন্টার ডিভাইসও বলা হয়। কম্পিউটারের সকল সাধারণ এবং স্বাভাবিক কার্যক্রমে মাউসের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এছাড়াও ছবি আঁকা ও গ্রাফিক্সের কাজে মাউস বেশি ব্যবহৃত হয়।

মাইক্রোফোন (Microphone)

মাইক্রোফোন কম্পিউটারসহ বেশ কয়েকটি ইলেকট্রনিক ডিভাইসে শব্দ রেকর্ডিংয়ের জন্য জনপ্রিয় ইনপুট ডিভাইস। এটি একটি বিশেষ ধরনের সেন্সর হিসেবে কাজ করে আমাদের মুখের শব্দকে ইলেকট্রনিক্স সিগন্যালে রুপান্তরিত করে কম্পিউটারে ইনপুট করে। ফোনে কম্পিউটার এই তড়িৎশক্তিতে তার মেমোরিতে সংরক্ষণ করতে পারে।

মাইক্রোফোনের ইলেকট্রনিক্স সিগন্যালটি কম্পিউটার সহ মোবাইল, এমপ্লিফাইয়ার বা অন্য কোন ডিভাইসে এনালক এবং ডিজিটাল সিগন্যালে পরিবর্তিত হতে পারে। ফলে অন্য কোন ডিভাইস সংযুক্ত থাকলে, সেই ডিভাইসের ব্যবহারকারীরা সঠিক ও নির্দিষ্ট আওয়াজ শুনতে পারে।

স্ক্যানার (Scanner)

ইনপুট ডিভাইস কাকে বলে তার সংজ্ঞানুযায়ী, স্ক্যানার একটি কম্পিউটারের ইনপুট ডিভাইস। কোন কিছু স্ক্যান করার জন্য এই ইনপুট ডিভাইসটি ব্যবহৃত হয়। এই ডিভাইসে প্রয়োজনীয় ও তথ্যবহুল কিছু রেখে ছবি, লেখা ও কাগজের অনুলিপি সংগ্রহ করে কম্পিউটারে ইনপুট করা হয়। পরবর্তীতে তা প্রয়োজন অনুসারে এডিট করা যায়। ডকুমেন্ট স্ক্যানার ব্যবহার করে কম্পিউটারে ইনপুট করার পর তা সহজেই অন্যত্র প্রেরণ করা যায়।

লাইট পেন (Light Pen)

লাইট পেন হলো হাই কনফিগারেশনের কম্পিউটার বা ল্যাপটপে ব্যবহৃত এক ধরনের বিশেষ ইনপুট ডিভাইস। এটি এক ধরনের আলোক সংবেদনশীল ইলেকট্রনিক পেন। এটি ব্যবহার করে কম্পিউটার স্ক্রিনে টাচপ্যাড এর মতো কাজ করা যায়। বর্তমানে বিশেষ করে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং, মোশন গ্রাফিক্স ইত্যাদি কাজের সাথে জড়িত ব্যক্তিরা টাচস্ক্রিন কম্পিউটার এবং লাইট পেন ব্যবহার করে থাকে।

জয়স্টিক (Joystick)

কম্পিউটার গেমস খেলার জন্য অন্যতম জনপ্রিয় ইনপুট ডিভাইস হলো জয়স্টিক। এই ডিভাইস থেকে গেম কার্ডের সাথে যুক্ত করে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা বা সংকেত কম্পিউটারে প্রেরণ করা যায়। জয় স্টিকের খাড়া দন্ড হাত দিয়ে নাড়াচাড়া করলে কম্পিউটারের মাউস পয়েন্টারও নাড়াচাড়া করে।

ওয়েবক্যাম (Webcam)

ইনপুট ডিভাইস কাকে বলে তার সংজ্ঞানুযায়ী, কম্পিউটার ইনপুট ডিভাইস। ওয়েবক্যাম একটি ভিডিও ক্যামেরা। এটি কম্পিউটারকে রিয়েল টাইম/ বাস্তব/ সরাসরি ছবি বা ভিডিও ইনপুট দিতে পারে। সাধারণত ইন্টারনেটে ভিডিও রেকর্ডিং, ভিডিও চ্যাটিং, কনভার্সেশন, অনলাইন মিটিং অ্যাটেন্ড করার জন্য এই ইনপুট ডিভাইসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার (Fingerprint Scanner)

বর্তমানে সিকিউরিটি সিস্টেমের জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় বায়োমেট্রিক্স সিকিউরিটি। ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার সবচেয়ে সহজলভ্য এবং সহজে ব্যবহারযোগ্য বায়োমেট্রিক সিকিউরিটির মাধ্যম। সাধারণত আমরা ন্যাশনাল আইডি কার্ড কিংবা পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে এ ধরনের ইনপুট ডিভাইসের ব্যবহার দেখে থাকি।

বর্তমানে দুই ধরনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার দেখতে পাওয়া যায়। যথা: (১) অপটিক্যাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার, (২) ক্যাপাসিটিভ স্ক্যানার। অপটিক্যাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার আঙ্গুলের উপর উজ্জ্বল আলো দিয়ে ইমেজ সেন্সরের মাধ্যমে ডিজিটাল ফটো ক্যাপচার করে। অন্যদিকে, ক্যাপাসিটিভ স্ক্যানারের উপর আঙ্গুল রাখলে ইলেকট্রিক্যালভাবে আঙ্গুলের ছাপ ক্যাপচার করে।

মেডিকেল ইমেজিং ডিভাইস (Medical Imaging Device)

মেডিকেল ইমেজিং সিস্টেম গুলো চিকিৎসা ক্ষেত্রে কম্পিউটারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইনপুট ডিভাইস। মেডিকেল ইমেজিং সিস্টেমের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: এক্স-রে, রেডিওগ্রাফি, ম্যাগনেটিক রিসুন্যান্স ইমেজিং, আল্ট্রাসাউন্ড, ইলাস্ট্রোগ্রাফি, টোমোগ্রাফি, ইকোকার্ডিওগ্রাফি ইত্যাদি। এ সকল ডিভাইস গুলো মানবদেহে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে তা কম্পিউটারে ইনপুট করে।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেট ও গ্লাভস (Virtual Reality Headset and Gloves)

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি আধুনিক বিশ্বে বিনোদনের অন্যতম বড় মাধ্যম হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে বিভিন্ন কম্পিউটার গেমসে এই ডিভাইসের ব্যবহার বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যায়। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেট ব্যবহার করে আপনি বিভিন্ন কম্পিউটার গেমসের মধ্যে নিজেকে ফিজিক্যালি ফিল করতে পারবেন এবং কমান্ড দিতে পারবেন। গ্লাভস ব্যবহার করেও কম্পিউটারকে ইনপুট ও ইনস্ট্রাকশন দেওয়া যায়। ইনপুট ডিভাইস কাকে বলে এবং এর বৈশিষ্ট্যসমূহ ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেট ও গ্লাভসে ফুটে ওঠে।

বারকোড রিডার (Barcode reader)

বারকোড রিডার কম্পিউটারের একটি অপটিক্যাল বা আলোক ইনপুট ডিভাইস। সাধারণত বারকোডে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন প্রস্থের কিছু ‘বার’ বা রেখা থাকে। এটি যেকোন পণ্য, প্রতিষ্ঠান, বস্তু, সিকিউরিটি সিস্টেমের অংশ এমনকি জাতীয় পরিচয়পত্রের স্বত্বাধিকারী নিশ্চিতকরণে ব্যবহৃত হতে পারে। এই বারকোডে নির্দিষ্ট তথ্য সংরক্ষণ করা হয়।

বারকোড রিডার ব্যবহার করে যেকোনো বারকোডের অভ্যন্তরে থাকা তথ্যাবলী কম্পিউটারে ইনপুট করা যায়।

ট্র্যাকবল (Trackball)

নোটবুক বা ল্যাপটপ কম্পিউটারে মাউসের পরিবর্তে পয়েন্টার ইনপুট ডিভাইস হিসেবে ট্র্যাকবল ব্যবহার করা হয়। এই ডিভাইসটি একটি বলের সাহায্যে পয়েন্টারের নাড়াচাড়া করে। বলের অর্ধেকটি মাউসের ঢোকানো থাকে এবং বলের উপরের অংশ নাড়িয়ে পয়েন্টারটি সরিয়ে কম্পিউটারে দিকনির্দেশনা দেওয়া যায়।

MICR (Magnetic Ink character reader)

এই ইনপুট ডিভাইসটি বারকোড এবং অনুরূপ অন্যান্য ডিভাইসে ব্যবহৃত ব্যবহৃত হয়। এটি সরাসরি ডাটা সংগ্রহের ডিভাইসে তথ্য স্ক্যান করতে ও পড়তে পারে। ফরোসোফেরিক অক্সাইডযুক্ত কালির সাহায্যে MICR ইনপুট ডিভাইসে লেখা হয়, যা চৌম্বকীয় গুণসম্পন্ন হয়। বিশেষভাবে ব্যাংকের চেক নম্বর পড়ার জন্য এটি ব্যবহৃত হয়। তাই বাংলাদেশের সকল তফসিলভুক্ত ব্যাংকে MICR যুক্ত চেক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

এছাড়াও আরো বহু ইনপুট ডিভাইস রয়েছে যা আমাদের দৈনন্দিন কম্পিউটার ব্যবহারের সাথে যুক্ত।

ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস এর মধ্যে পার্থক্য

কম্পিউটার পরিচালনায় ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস ব্যবহৃত হয়। নিচে আউটপুট ও ইনপুট ডিভাইস কাকে বলে তার সংজ্ঞা অনুসারে, দুই ধরনের ডিভাইসের মধ্যকার পার্থক্যগুলো তুলে ধরা হলোঃ

ইনপুট ডিভাইসআউটপুট ডিভাইস
কম্পিউটারকে দিকনির্দেশনা দিতে ব্যবহৃত হয়।কম্পিউটারের অভ্যন্তরীণ ফলাফল প্রকাশ করতে ব্যবহৃত হয়।
এটি ব্যবহারকারী দ্বারা কন্ট্রোল করা যায়।এটি কম্পিউটার দ্বারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কন্ট্রোল হয়।
এই ডিভাইসের মাধ্যমে কম্পিউটার তথ্য গ্রহণ করে।এই ডিভাইসের মাধ্যমে কম্পিউটার তথ্য প্রকাশ করে।
কিবোর্ড, মাউস, স্ক্যানার ইত্যাদি ডিভাইস।মনিটর, প্রিন্টার, স্পিকার ইত্যাদি আউটপুট ডিভাইস।

শেষকথা

উপরোক্ত ইনপুট ডিভাইস গুলো ছাড়াও আরো বহু যন্ত্র আমরা ব্যবহার করে থাকি। ইনপুট ডিভাইস কাকে বলে তা জেনে, কোনটি ইনপুট ডিভাইস এবং কোনটি আউটপুট ডিভাইস তা চিহ্নিত করতে পারবেন। প্রাথমিক ডিভাইস গুলো সম্পর্কে আপনি যত বেশি জ্ঞান ও দক্ষতাসম্পন্ন হতে পারবেন, তথ্য প্রযুক্তিতে ততটাই এগিয়ে থাকতে পারবেন।

About Juyel Ahmed Liton

সুপ্রিয় “প্রোবাংলা” কমিউনিটি, ছোটবেলা থেকেই প্রযুক্তির প্রতি আকর্ষণ ছিলো এবং হয়তো সেই আকর্ষণটা অন্য দশ জনের থেকে একটু বেশি। ওয়েবসাইট, টাইপিং, আর্টিকেল লেখাসহ টেকনোলজি সবই আমার প্রিয়। জীবনে টেকনোলজি আমাকে যতটা ইম্প্রেস করেছে ততোটা অন্যকিছু কখনো করতে পারেনি। আর এই প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ থেকেই লেখালেখির শুরু.....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *