google-highest-paid-jobs

গুগলের সর্বোচ্চ বেতন কত?

গুগল তাদের প্রতিষ্ঠানের অফিসার বা কর্মীদের মাসিক বেতন দেওয়ার জন্য একটা লিস্ট আপডেট করে থাকে। সাধারণত তাদের কর্মীরাই বিশ্বের সবচেয়ে বেশী বেতন ভোগ করে থাকেন। তাই গুগলের সর্বোচ্চ বেতন এবং google এ নিয়োগ পাওয়ার উপায় জানতে যাদের আগ্রহ ও কৌতূহল রয়েছে,  তাদের জন্য সামগ্রিক তথ্য থাকছে এই লেখাতে।

গুগলের সর্বোচ্চ বেতন দেওয়া পদ গুলো এবং সংক্ষিপ্ত বিবরণী

১। ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টরঃ বেতন- ২ লাখ ৮৩ হাজার ডলার ৫৯১ ডলার (প্রায়-২ কোটি ৪০ লাখ টাকা)
একজন প্রকৌশল পরিচালক প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলের সব দিক দেখাশোনা করেন। গুগল তাদের বিভিন্ন সেক্টর; যেমনঃ সিকিউরিটি, গেমিং, মার্কেটেনিং রিসার্চ ইত্যাদি অনেক সেক্টরে এই ডিরেক্টর নিয়োগ করে থাকে। এই পদের জন্য প্রয়োজন ১০ বছরের অভিজ্ঞতা। এছাড়াও কোম্পানির সিনিয়র ও দক্ষরাই এই পদ পেয়ে থাকেন।

২। গ্রুপ প্রোডাক্ট ম্যানেজারঃ বেতন- ২ লাখ ৫৩ হাজার ৯০৫ ডলার (প্রায় ২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা)
গ্রুপ প্রোডাক্ট ম্যানেজার গুগলের সেলিং, সফ্টওয়্যার প্রকৌশলী, বিপণন ব্যবস্থাপনা বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন।

৩। ডিরেক্টর বা পরিচালকঃ বেতন- ২ দুই লাখ পঁচাত্তর হাজার ৫০০ ডলার (প্রায় ২ কোটি ৯ লাখ টাকা)
যেকোনো বিভাগের একজন পরিচালক দলের নেতৃত্ব দেন এবং প্রত্যেককে একটি সাধারণ লক্ষ্যের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখতে সাহায্য-সহযোগিতা করেন।

৪। সিনিয়র স্টাফ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারঃ বেতন ২ লাখ ৪২ হাজার ৫০০ ডলার (প্রায় ২ কোটি ৫ লাখ টাকা)
সিনিয়র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররা সবচেয়ে বেশি বেতন পান। এদের কাজ গুগলের সফটওয়ার সংক্রান্ত যে কোন ধরনের উন্নতি, সেট আপ, বিশ্ব মার্কেটে কম্বাইন করা।

আরও পড়ুন: ভূল করেও গুগলে সার্চ করবেন না যে ১০ জিনিস

৫। মার্কেটিং ডিরেক্টরঃ বেতন ২ লাখ ৩৪ হাজার ৭৪১ ডলার (প্রায় ১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা)
এই জাতীয পদের ব্যক্তিকে বিজ্ঞাপন, কনফারেন্স প্রেজেন্টেশন ও এই সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়গুলো দেখতে হয়। মার্কেটিং বিভাগ গুগলের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম।

Marketing Director

৬। সিনিয়র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ম্যানেজারঃ বেতন ২ লাখ ৫ হাজার ২৯০ ডলার (প্রায় ১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা)
এই পদের চাহিদা অনেক বেশি। প্রতিষ্ঠানের সকল কোডাররা এর অধীনে কাজ করেন। বিভিন্ন দেশের কোডাররা এই চাকরীতে সবসময়ই জয়েন করছেন।

highest-paying jobs at Google

৭। সিনিয়র প্রোডাক্ট ম্যানেজারঃ বেতন ২ লাখ ১ হাজার ৬০০ ডলার (প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা)
এই পদের প্রধান কাজ হলো গুগলের প্রোডাক্ট সেলিং, প্রোডাক্ট ইম্প্রুভমেন্ট এই জাতীয় কাজ দেখাশুনা করা।

৮। স্টাফ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারঃ বেতন-২ লাখ ৯২৩ ডলার (প্রায় ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা)
জটিল সমস্যাগুলো সমাধান করতে হয় এই পদের ব্যক্তিকে। গুগলের বিশ্ব বাণিজ্য দেখে থাকেন।

৯। সিনিয়র স্টাফ ডিজাইনারঃ বেতন ২ লাখ ৯২৩ ডলার (প্রায় ১ কোটি ৬২ লাখ টাকা)
গুগলের টেকনিক্যাল সাইডের ডিজাইনের বিশয়াদি দেখাশোনা সহ এর যে কোন ধরনের উন্নতিও করে থাকেন।

১০। ইঞ্জিনিয়ার ম্যানেজারঃ বেতন ১ লাখ ৯২ হাজার ডলার (প্রায় ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা)
ইঞ্জিনিয়াররা এমন ফাউন্ডেশন তৈরি করে যা গুগলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পণ্যগুলিকে সমর্থন করে। একজন ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজার নতুন পণ্য বিকাশ, পরীক্ষা, এবং বিদ্যমানগুলি উন্নত করতে ইঞ্জিনিয়ারদের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকবেন।

১১। প্রোডাক্ট ম্যানেজারঃ বেতন ১লাখ ৮৫ হাজার ডলার
এই পদের ব্যক্তি কোম্পানির পণ্যগুলির সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রকল্পের তদারকি করা এবং প্রত্যেককে একই পৃষ্ঠায় জড়িত রাখা।

Here are 15 highest-paying jobs at Google

১২। স্টাফ ব্যবহারকারী অভিজ্ঞতা ডিজাইনারঃ বেতন ১ লাখ ৮৪ হাজার ৭২০ ডলার
কোনও পণ্যের পিছনে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা ডিজাইন করা হ’ল যে কোনও প্রযুক্তি সংস্থার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ, যার কারণেই গুগল দুর্দান্ত ডিজাইনারদের জন্য শীর্ষ ডলার প্রদান করতে ইচ্ছুক। ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা ডিজাইনারগণ মূলত গুগলের পণ্যগুলি দেখতে সুন্দর এবং সহজেই ব্যবহারযোগ্য তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

১৩। সিনিয়র টেকনিক্যাল প্রোগ্রাম ম্যানেজারঃ ১ লাখ ৭৪ হাজার ৫০০ ডলার
গুগলের প্রযুক্তিগত প্রোগ্রাম পরিচালকদের তাদের পুরো জীবন চক্রের মাধ্যমে প্রকল্পগুলি সূচনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়, যার মধ্যে রয়েছে প্রকল্পের সময়সূচি পরিচালনা করা, জড়িত কোনও ঝুঁকি চিহ্নিত করতে এবং দলগুলির মধ্যে প্রকল্পের লক্ষ্যগুলি যোগাযোগ করাই এই কর্মকর্তাদের কাজ।

১৪। বিক্রয় কৌশল পরিচালকঃ ১ লাখ ৭৩ হাজার ৭৭ ডলার
গুগলের বিজ্ঞাপন ব্যবসায় তার ব্যবসায়ের মূল ভিত্তি সহ, গ্রাহকদের কাছে বিক্রয়ের সর্বোত্তম উপায়গুলি সন্ধান করার দায়িত্ব পান এ পদের লোক।

Here are 15 of the highest-paying jobs at Google

১৫। সিনিয়র রিসার্স সাইন্টিস্টঃ ১ লাখ ৭২ হাজার ডলার
গুগলের গবেষণা বিজ্ঞানীরা মেশিন লার্নিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কিত প্রকল্পগুলি গ্রহণ করেন, গুগলের একটি কাজের তালিকা অনুসারে তারা গুগলের সফ্টওয়্যার এবং পরিষেবাদিগুলিকে আরও চৌকস করে তুলুন।

কিভাবে গুগলে নিয়োগ পাওয়া যায় 

কাজে নিয়োজিত হওয়ার জন্য Google একটি অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক কোম্পানি, যেখানে প্রতি বছর হাজার হাজার আবেদনকারী চাকরির নিয়োগ নিতে চায়। Google-এ বিভিন্ন বিভাগের চাকরিতে নিয়োগ পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য, আপনাকে আগে থেকেই ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে এবং একটি কৌশলগত পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। এছাড়াও নিম্নোক্ত কিছু টিপস ফলো করতে পারেন:

(১) নির্দিষ্ট কোন দক্ষতাভিত্তিক কাজে পারদর্শী হয়ে উঠা

গুগল এমন প্রার্থীদের মূল্য দেয় যারা তাদের নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ এবং সাফল্যের পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে। আপনার নিয়োগ পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়াতে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং কাজের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে আপনার দক্ষতা এবং পারদর্শীতা বৃদ্ধি করতে হবে।

(২) গুগলে চাকরির জন্য গবেষনা

গুগলে চাকরির জন্য আবেদন করার আগে, কোন কাজে চাকরির প্রয়োজনীয়তা বেশি এবং সেই পদের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বিস্তারিত গবেষণা করতে হবে।

(৩) গুগলের কর্মীদের সাথে যোগাযোগ

বর্তমানে গুগলের কোন পদে নিয়োজিত আছে এমন ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। গুগলের অভ্যন্তরীণ নিয়োগ কার্যক্রম এবং কার্য চাহিদার ক্ষেত্রে কোন কাজটি এগিয়ে রয়েছে সে বিষয়ে মার্কেট রিসার্চ করতে হবে। LinkedIn ব্যবহার করে এবং ইন্ডাস্ট্রি কনফারেন্সে যোগ দিয়ে যারা ইতোমধ্যেই গুগলে কাজ করেছেন তাদের সম্পর্কে জানতে পারবেন।

(৪) সিভি তৈরি 

উপযুক্ত তথ্য এবং দক্ষতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে একটি আকর্ষণীয় সিভি তৈরি করতে হবে গুগলের চাকরির জন্য।

(৫) চাকরির জন্য আবেদন

নিয়মিত গুগলের আপডেট অনুসরণ করতে হবে। গুগলে যখন কোন চাকরির জন্য নিয়োগ দেওয়া হয় তখন আপনার দক্ষতার উপর ভিত্তি করে সেখানে আবেদন করতে হবে। গুগল এর www.career.google.com এ বিভিন্ন চাকরি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া থাকে।

(৬) ইন্টারভিউতে সৃজনশীলতা প্রদর্শন

গুগলে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয় সৃজনশীল ব্যক্তিদের। তাই চাকরির জন্য নিয়োগ পেতে চাইলে গুগলের একাধিক রাউন্ড ইন্টারভিউ এবং মূল্যায়নের সময় নিজের অনন্য সৃজনশীলতার প্রকাশ ঘটাতে হবে।

তথ্যসূত্র: বিজনেস ইনসাইডার

About Juyel Ahmed Liton

সুপ্রিয় “প্রোবাংলা” কমিউনিটি, ছোটবেলা থেকেই প্রযুক্তির প্রতি আকর্ষণ ছিলো এবং হয়তো সেই আকর্ষণটা অন্য দশ জনের থেকে একটু বেশি। ওয়েবসাইট, টাইপিং, আর্টিকেল লেখাসহ টেকনোলজি সবই আমার প্রিয়। জীবনে টেকনোলজি আমাকে যতটা ইম্প্রেস করেছে ততোটা অন্যকিছু কখনো করতে পারেনি। আর এই প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ থেকেই লেখালেখির শুরু.....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *