দুবাই টুরিস্ট ভিসা খরচ | দুবাই ভিজিট ভিসা খরচ, দুবাই টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং | দুবাই ভিজিট ভিসা প্রসেসিং, Visit Visa For Dubai | tourist visa for Dubai দুবাই টুরিস্ট ভিসা করার নিয়ম সম্পর্কে আজ আমরা জানতে চলেছি।
বাংলাদেশীদের জন্য দুবাই প্রশাসন সর্বোচ্চ তিন মাস মেয়াদি টুরিস্ট ভিসা চালু করেছে। উল্লেখ্য যে এই ভিসায় সেখানে গেলে আপনি সেখানে কোনো কাজ করতে পারবেন না। দুবাই খুবই বিলাসী একটি শহর। সেখানে দৈনন্দিন জীবন যাপন ব্যয় অনেক বেশি। তাই যারা সেখানে ঘুরতে যাওয়ার কথা ভাবছেন তাদের নিশ্চয়ই বাজেট বেশি।
দুবাই টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং
দুবাই টুরিস্ট ভিসার আবেদন আপনি দুইভাবে করতে পারবেন,
- ১. এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে
- ২. ট্রাভেল এজেন্টের মাধ্যমে
এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে দুবাই টুরিস্ট ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া:-
এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে দুবাই টুরিস্ট ভিসার আবেদন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই এই একই এয়ারলাইন্সের টিকিট কিনতে করতে হবে। যেসকল এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে টুরিস্ট ভিসার আবেদন করতে পারবেন:-
- ফ্লাই দুবাই ( Fly Dubai)
- এয়ার এরাবিয়া (Air Arabia )
- ইত্তিহাদ এয়ারওয়েজ (Etihad Airways )
- আমিরাতস এয়ারলাইন ( Emirates Airline)
উদাহরণস্বরূপ এখানে দুইটি আর লাইসেন্সের টুরিস্ট ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া দেখানো হলো:-
• ইত্তিহাদ এয়ারওয়েজ ভিসা সার্ভিস •
ইত্তিহাদ এয়ারওয়েজ এর মাধ্যমে ভিসা আবেদন করলে, তিন থেকে চার কর্ম দিবস সময় লাগে ভিসা পেতে তবে এই ভিসা ফি ফেরতযোগ্য নয়। সকল ধরণের ভিসার মেয়াদ ৩০ দিন করে সর্বোচ্চ ২ বার বাড়ানো যায়। প্রত্যেক দফা ভিসার মেয়াদ বাড়াতে খরচ পরে ৯৬০ দিরহাম।
টুরিস্ট ভিসার ধরণ | ভিসার মেয়াদ | প্রবেশাধিকার | ভিসা ফি |
সিঙ্গেল এন্ট্রি | ৩০ দিন | ১ বার | ৩৫০ দিরহাম |
মাল্টিপল এন্ট্রি | ৩০ দিন | ১ এর অধিকবার | ৬৫০ দিরহাম |
সিঙ্গেল এন্ট্রি (লং টার্ম) | ৯০ দিন | ১ বার | ১০০০ দিরহাম |
মাল্টিপল এন্ট্রি (লং টার্ম) | ৯০ দিন | ১ এর অধিকবার | ২৫০০ দিরহাম |
দুবাই টাকার রেট জেনে নিন।
দুবাই টুরিস্ট ভিসা আবেদন করতে যেসকল কাগজপত্র প্রয়োজন:
- ১ কপি ছবি। সাইজ:- ৬x৬ সে.মি. (ব্যাকগ্রাউন্ড হবে সাদা।)
- ৬ মাস মেয়াদ রয়েছে এমন পাসপোর্ট।
- ১ কপি পাসপোর্টের স্ক্যান কপি।
- কনফার্ম টিকিট কপি। রিটার্ন টিকেট কপি।
- পরিবারের সদস্যদের ক্ষেত্রে যেমন: স্ত্রী
- ১৮ বছরের কম বয়সী সন্তান
- ষাট বছরের বেশি বয়সী মা-বাবা
তাদের জন্য অবশ্যই সহায়ক প্রমানপত্র জমা দিতে হবে। যা সম্পর্কের অবস্থা সত্যায়িত করা যায়। যেমন, কাবিননামা বা জন্ম নিবন্ধন।
আমিরাতস এয়ারলাইনে দুবাই টুরিস্ট ভিসা আবেদন করার নিয়ম:-
আমিরাতস এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে ভিসা আবেদন করার পর ৩ থেকে ৪ কর্ম দিবসের মধ্যে ভিসা পেয়ে যাবেন। এটারও ভিসা ফি ফেরতযোগ্য নয়। এই ভিসার মেয়াদ ৩০ দিন করে সর্বচ্চো ২ বার বাড়ানো যায়। প্রত্যেক দফা ভিসার মেয়াদ বাড়াতে ৮৫০ দিরহাম খরচ হবে।
নিচে দুবাই টুরিস্ট ভিসার আবেদন করতে আমিরাত এয়ারলাইন্সকে যে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে হবে:-
টুরিস্ট ভিসার ধরণ | ভিসার মেয়াদ | প্রবেশাধিকার | ভিসা ফি |
সিঙ্গেল এন্ট্রি | ৩০ দিন | ১ বার | ৩৫০ দিরহাম |
মাল্টিপল এন্ট্রি | ৩০ দিন | ১ এর অধিকবার | ৬৫০ দিরহাম |
সিঙ্গেল এন্ট্রি (লং টার্ম) | ৯০ দিন | ১ বার | ১০০০ দিরহাম |
মাল্টিপল এন্ট্রি (লং টার্ম) | ৯০ দিন | ১ এর অধিকবার | ২৫০০ দিরহাম |
দুবাই টুরিস্ট ভিসা আবেদন করতে যে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে:
- ১ কপি ল্যাব প্রিন্ট রঙ্গিন ছবি।
- ৩ মাস মেয়াদ পাসপোর্ট ও পাসপোর্টের স্ক্যান কপি।
- আমিরাতস এয়ারলাইনের রিটার্ন টিকিট কপি।
- পরিবারের সদস্যদের ক্ষেত্রে যেমন: স্ত্রী
- ১৮ বছরের কম বয়সী সন্তান
- ষাট বছরের বেশি বয়সী মা-বাবা
তাদের জন্য অবশ্যই সহায়ক প্রমানপত্র জমা দিতে হবে। যা সম্পর্কের অবস্থা সত্যায়িত করা যায়। যেমন, কাবিননামা বা জন্ম নিবন্ধন।
বাকি দুইটি এয়ারলাইন্সেরও প্রায় একই প্রক্রিয়া। এজন্য আমরা এখানে সেগুলো উল্লেখ্য করিনি।
এজেন্সির মাধ্যমে দুবাই টুরিস্ট ভিসার আবেদন:
এজেন্সির মাধ্যমে যদি আপনি দুবাই যেতে চান তাহলে কিছু বাড়তি ডকুমেন্ট দরকার। যেমন:
- দুবাই থাকার হোটেল বা অ্যাপার্টমেন্টের বুকিং রিসিট।
- সেখানে কোনো আত্মীয় থাকলে আত্মীয়র ডকুমেন্ট।
- আত্মীয় যদি আপনার জন্য ভিসার দরখাস্ত করে তাহলে আত্মীয় মাসিক উপার্জনের উপর ভিত্তি করে আপনাকে ভিসার মেয়াদ দেওয়া হবে।
সর্বোপরি টুরিস্ট এজেন্সিরা আপনাকে সকল কিছু সম্পর্কে অবগত করবে।