নিম হচ্ছে একটি ভেষজ গাছ। এটার খাঁজকাটা সবুজ পাতা, মধুগন্ধযুক্ত সাদা ফুল, ছোট্ট ডিম্বাকৃতির সবুজ ফল যা পাকলে হলুদ রঙ ধারণ করে। নিম চার হাজার বছরের বেশি সময় ধরে ভারত উপমহাদেশে ব্যবহার হয়ে আসছে। নিম গাছের প্রতিটা অংশ উপকারী। প্রত্যেকটা বিভিন্ন ঔষধি গুগ সম্পন্ন।
নিম গাছে প্রচুর পাতা হয়। বাতাসে যখন এর পাতাগুলো নড়তে থাকে তখন দেখলেও আনন্দ লাগে। বলা হয়ে থাকে যে বাড়িতে একটি নিম গাছ লাগানো আছে, সেখানে রোগবালায় প্রবেশ করতে পারে না। বালাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় যার ছদ্মনাম বনফুল, উনি তো নিমগাছ নিয়ে একটি দারুণ কবিতা লিখে ফেলেছেন।
আমাদের গ্রাম বাংলার কবিরাজগণ বিভিন্ন উদ্ভিদের মাধ্যমে রোগের চিকিৎসা করে থাকেন। এরমধ্যে নিম হচ্ছে অন্যতম। নিম এমন একটি বৃক্ষ যা ত্বকের সংক্রমণ, সেপটিক ক্ষত, সংক্রমিত পুড়ে যাওয়া ক্ষত এবং কিছু ফাঙ্গাল সংক্রমণ যা মানুষের শরীরকে অস্থির করে তোলে, এইসকল বিভিন্ন উপসর্গ প্রতিরোধ করতে নিমের প্রয়োগ করা হয়।
নিমের তেল থেকে বিভিন্ন প্রকার সাবান, শ্যাম্পু, ফেসওয়াশ ও প্রভৃতি প্রসাধনী প্রস্তুত করা হয়। মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতেও নিম পাতা কার্যকর। যক্কৃতের কার্যকারিতার উন্নতি করতে এবং রক্তে শর্করার অনুপাতের ভারসাম্য বজায় রাখতেও নিমের ভূমিকা অপরিসীম।
জলবসন্তে তো নিম পাতা ঈষদুষ্ণ পানিতে হালকা সিদ্ধ করে গোসল করলে অনেক উপকার হয়। বিভিন্ন এলার্জিজনিত চর্ম রোগে নিম পাতা বেটে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
শুধু বাংলাদেশ নয়, সুদূর আফ্রিকা, দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ভেষজ চিকিৎসায় নিমের ব্যবহার হয়ে থাকে। নিমের পাতা, বাকল, শিকড়, ফুল ও ফল সকল কিছুই কোনো না কোনো চিকিৎসার ব্যবহৃত হয়। এমনকি এটার কাঠও খুবই মূল্যবান। কারণ এর কাঠে পোকার আক্রমণ হয় না, ঘুণে ধরে না।
‘নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা’ প্রবন্ধে নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা তুলে ধরা হচ্ছে।
নিম পাতার উপকারিতা

নিম পাতা যে কতটা উপকারিতা আধুনিক যুগের অনেকেই জানে না। কারন আমরা সবাই এলোপ্যাথি ঔষধে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। সামান্য কিছু হলেই ফার্মেসিতে গিয়ে ওষুধ ক্রয় করি। ওই সকল ঔষধে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। কিন্তু নিম পাতায় তেমন একটা পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না।
‘নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা’ আর্টিকেলে নিম পাতার কিছু উপকারিতা তুলে ধরা হলো।
১. খোস পাচড়া বা চুলকানি হলে নিম পাতার ব্যবহার
নিম পাতা পানিতে সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গোসল করলে খোসপাচড়া দূর হয়। নিম পাতা বা ফুল বেটে গায়ে কয়েকদিন মাখলে চুলকানিও ভালো হয়। পাতা শুকিয়ে গুড়া করে সরিষার তেলের সাথে মিশিয়ে চুলকানিতে লাগালে জাদুকরী ফলাফল পাওয়া যায়।
নিম পাতা ও সামান্য কাঁচা হলুদ পিষে খোস-পাঁচড়া আক্রান্ত স্থানে ৭-১০ দিন প্রলেপ দিলে খোস-পাঁচড়া ও পুরনো ক্ষতের উপশম হয়। এছাড়া নিম পাতা ঘিতে ভেজে সেই ঘি ক্ষত স্থানে লাগালে ক্ষত অতি দ্রুত ভালো হয়।
আরও পড়ুন: জাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
২. কৃমিনাশক হিসেবে নিম পাতা
পেটে কৃমি হলে শিশুরা শুকিয়ে যায় যায়। পেটে ফুলে যায়। কৃমি সকল পুষ্টির শোষণের ফলে চেহারা ফ্যকাশে হয়ে যায়। এই কৃমি দূর করার জন্য দুই চামচ পরিমাণ নিম গাছের মূলের ছালের গুঁড়া দিনে ৩ বার সামান্য গরম পানিতে গুলিয়ে খেতে হবে।
এছারা আধা চামচ নিম ছাল চূর্ণ সামান্য পরিমাণ বিট লবণের সাথে কুসুম গরম পানিতে গুলিয়ে সকালে খালি পেটে পান করলে কৃমির তান্ডব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৩. ত্বকের যত্নে নিমপাতা
অতীতকাল থেকেই রূপচর্চায় নিমের ব্যবহার হয়ে আসছে। ত্বকের দাগ দূরীকরণে নিম খুব ভালো কাজ করে। এটি ত্বকের ময়েশ্চারাইজার হিসেবেও কাজ করে। মাথার ত্বকে চুল্কানি হলে, নিমপাতার রস মাথায় নিয়মিত লাগালে এই চুলকানি কমে যায়। নিমপাতার সাথে কাঁচা হলুদ পেস্ট করে ত্বকে লাগালে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি ও স্কিন টোন ঠিক থাকে।
৪. দাতের রোগে নিমের ব্যবহার
গ্রামাঞ্চলে অনেকে সকালবেলা নিমের ডাল দিয়ে দাঁত ব্রাশ করে অথবা মেসওয়াক করে। এটা খুবই ভালো একটি অভ্যাস।
নিম পাতা ও ছালের গুঁড়া কিংবা নিমের ডাল দিয়ে নিয়মিত দাত মাজলে দাঁত হয় মজবুত এবং দাঁতের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
মুখে দুর্গন্ধ তৈরি হয় মুখে থাকা ব্যাকটেরিয়ার জন্য। নিমের রস দিয়ে কুলি-কুচি করলে মুখের খারাপ ব্যাকটেরিয়া নাশ এবং মুখ থেকে দুর্গন্ধ দূর হয়।
৫. রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে নিম পাতা
নিম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে তথা রক্তের সুগার লেভেল কমাতে বিস্ময়কর কাজ করে। এর জন্য প্রতিদিন সকালে ১০ থেকে ১৫ টি কচি নিমপাতা ওর সাথে দুই তিনটি গোল মরিচ দানা পেস্ট করে পানির সাথে গুলিয়ে খেতে হবে।
আরো জেনে নিন: লিচু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
৬. চুলের যত্নে নিমপাতা
চুলকে উজ্জ্বল ও চকচকে রাখার জন্য এবং চুলের গোঁড়া ও মাথার ত্বক সুস্থ রাখার জন্য নিম পাতার গুরুত্ব অপরিসীম। যাদের মাথায় খুশকি আছে তাদের জন্য একটি পরামর্শ হলো— কচি নিমপাতার রস, আমলকির রস, সামান্য পরিমাণ টক দই একসাথে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ও মাথার ত্বকে মালিশ করতে হবে। সপ্তাহে দুইদিন এভাবে মালিশ করলে খুব দ্রুত খুশকি চলে যাবে। যদি একটু লেবুর রস ব্যবহার করা যায় তাহলে চুল আরও চকচকে ও উজ্জ্বল হবে।
৭. উকুন বিনাশে কার্যকরী নিম পাতা
নিম পাতার ব্যাবহারে উকুনের যন্ত্রণা দূর হয়। নিম পাতার পেস্ট তৈরি করে মাথার তালুতে ভালোভাবে মাখাতে হবে। এরপর আধাঘন্টা অপেক্ষা করে ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। মাসে দুই তিনবার এমন করলে খুব দ্রুত উকুন মরে যাবে।
৮. খুশকি বিনাশে নিম পাতা
নিম পাতার মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়া নাশক ও ছত্রাক নাশক উপাদানের জন্য খুশকির চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা রাখে। নিম মাথার তালুর শুষ্কতা ও চুলকানি দূর করে।
১ লিটার পানিতে দুই কাপ পরিমাণ নিম পাতা দিয়ে অল্প আঁচে সিদ্ধ করতে হবে। ওই পর্যন্ত সিদ্ধ করতে হবে যতক্ষণ না পানির রঙ সবুজ হচ্ছে। এরপর ওই পানি ঠান্ডা করে মাথার তালু ভালোভাবে ধুতে হবে। এভাবে সপ্তাহে তিন চার দিন করলে খুব দ্রুত খুশকি দূর হবে।
৯. ওজন কমাতে নিম পাতার ব্যবহার
ওজন কমাতে নিমের গুরুত্ব অপরিসীম। অনেকে ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন রাসায়নিক ঔষধ সেবন করে। যেগুলোর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। কিন্তু মিমের তেমন কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
একমুঠো নিমের ফুল পেস্ট করে এক গ্লাস পানিতে গোলাতে হবে। এরপর এতে এক চামচ মধু ও এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে একগ্লাস করে পান করতে হবে। নিমের ফুলের মধ্যে আছে এমন একটি উপাদান যা পেটের চর্বি দূর করে।
১০. রক্ত পরিষ্কার করে নিম পাতা
রক্ত পরিষ্কার করার জন্য নিম পাতা বহু আগে থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। অনেক সময় রক্ত দূষিত হয়ে পড়লে ব্রণ ও এলার্জির মতো সমস্যা দেখা দেয়। তাই নিমর পাতার রস নিয়মিত সেবন করা উচিত। এতে করে রক্ত পরিষ্কার থাকবে। শারীরিক সুস্থতা বজায় থাকবে।
১১. ঠাণ্ডাজনিত বুকের ব্যথা দূরীকরণে নিমপাতা
অনেক সময় ঠান্ডায় বুকে ব্যথা করে। এই সময় নিম পাতার রস, সামান্য আদার রস, তুলসী পাতার রস ও এক চামচ মধু একত্রে মিশিয়ে পান করলে কমজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
*তবে এটা গর্ভবতীদের জন্য নিষেধ।
১২. পোকা-মাকড়ের কামড়ে নিম পাতা
পোকা মাকড় কামড় দিলে বা হুল ফোঁটালে নিমের মূলের ছাল বা পাতা বেটে ক্ষত স্থানে লাগালে ব্যথা উপশম হয়।
১৩. জন্ডিসের সমাধান নিম পাতা
জন্ডিস হলে নিম পাতার রস ও মধু একত্রে মিশিয়ে সকালেও দুপুরে একগ্লাস করে খেতে হবে। সেই সাথে প্রচুর পরিমাণে পানি, রসালো ফল খেতে হবে। এভাবে দুই তিন সপ্তাহ খেলে খুব দ্রুত জন্ডিস রোগ মুক্তি হবে।
১৪. মশার উৎপাত থেকে বাঁচতে নিম পাতা
মশার উৎপাত থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন রাসায়নিক সমৃদ্ধ স্প্রে মানুষজন ব্যবহার করে। কিন্তু বিদেশে অনেকে প্রাকৃতিক উপায়ে স্প্রে তৈরি করছে— যেগুলো মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয় তবে মশার উপদ্রব থেকে মানুষকে রক্ষা করে। দশ চামচ নিমের রস এক লিটার পানিতে গুলিয়ে সেটা বাড়ির আশেপাশে স্প্রে করলে মশা কিছুটা কম আসবে।
১৬. বাতের ব্যথা নিরাময়ে নিম পাতা
বাতের ব্যথা সারাতে নিমপাতা, নিমের বীজ ও বাকল ওষুধ হিসেবে কাজ করে। বাতের ব্যথায় নিমের তেলের মালিশ বেশ উপকারী।
১৭. চোখ চুলকানিতে নিম পাতা
চোখে চুলকানি হলে দুই গ্লাস পানিতে নিমের রস আধাকাপ দিয়ে হালকা কুসুম গরম করতে হবে। এরপর সেই কুসুম গরম পানি দিয়ে চোখে ঝাপটা দিলে চুলকানি কিছুটা কমে যায়।
১৮. ব্রণ দূর করতে খুব কার্যকরী নিম পাতা
ব্রণের চিকিৎসায় নিম খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করে। নিম থেকে বিভিন্ন কসমেটিক্স কোম্পানি ব্রণ দূরীকরণের প্রসাধনী সামগ্রী তৈরি করছে। কিন্তু সেগুলোতে রাসায়নিক উপাদান থাকায় তা মাঝেমধ্যে ত্বকের বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
আবার অনেকে আছেন যারা চাকরি জীবনে ব্যস্ততার কারণে নিম বেটে মুখে লাগাতে পারে না অথবা প্রতিনিয়ত নিমের রস পান করতে পারে না।
তাই তাদের জন্য একটি উপায় বলে দিচ্ছি।
নিম পাতা বেটে ছোট ছোট ট্যাবলেট এর মতো গোল গোল করে একটি বড় প্লেটে সাজাতে হবে এবং ফ্যানের বাতাসে শুকাতে হবে। ভালোভাবে শুকিয়ে গেলে একটি বায়ু নিরোধক বোয়ামে রেখে বেশ কিছুদিন ব্যবহার করা যায়। রোজ একটি করে বড়ি খেলে খুব দ্রুত ব্রন থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
১৯. ছত্রাকের ইনফেকশন দূর করতে নিম পাতা
গ্রামাঞ্চলে কাঁদায় চলাফেলা করার কারণে আঙুলের মাঝে এক ধরনের ছত্রাক জনিত ইনফেকশন তৈরি হয়। এটা রোধের জন্য নিম পাতা বেটে সেখানে প্রলেপ লাগাতে হবে। নিমের মধ্যে থাকা এন্টি ফাঙ্গাস উপাদান খুব দ্রুত সেই ক্ষত নিরাময় করবে।
২০. অ্যালার্জি সমাধানে নিমপাতা
প্রাচীনকাল থেকে এলার্জি বা চুলকানি দূরীকরণে নিমের ব্যবহার হয়ে আসছে। নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ একত্রে পেটে পুরো শরীরে মাখতে হবে। এরপর রোদে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে সম্পূর্ণ শরীর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে কিছুদিন করলে এলার্জি দূর হবে।
‘নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা’ প্রবন্ধে আমরা ২০টি সমস্যার সমাধান কিভাবে নিমপাতা দিয়ে করতে হয় তা বলে দিয়েছি।
নিম পাতার অপকারিতা
নিম পাতার যেমন অশেষ গুণ রয়েছে তেমনি অতিরিক্ত পরিমাণে নিমের নির্যাস পান করলে যকৃত ও কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সাধারণত বয়স্কদের ক্ষেত্রে নিমের বিষক্রিয়া পরিলক্ষিত হয় না, তবে শিশুদের ক্ষেত্রে এ ধরনের বিষক্রিয়ার ঘটনা ঘটেছে। গবেষণায় জানা গেছে, নিমের একটি উপাদান অ্যাজারডির্যাকটিন— যা বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে। এর বিষক্রিয়ার সাধারণ উপসর্গের মধ্যে থাকে বমি হওয়া, খিঁচুনি, বিশেষ স্নায়ুবিক সমস্যা, কিডনি শরীর থেকে অ্যাসিড অপসারণে ব্যর্থ হওয়া।
নিমের তেলের মধ্যে ব্যাকটিরিয়া ও ফাঙ্গাস প্রতিরোধী উপাদান থাকে, তবে কখনও কখনও সেই তেল ব্যবহারে অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। যদিও এ ধরনের ঘটনা বেশি একটা ঘটে না তবু কিছু ব্যক্তি বিশেষের ক্ষেত্রে নিমের তেল ব্যবহারে অ্যালার্জি হতে পারে।
উপসংহার
এই আধুনিক যুগে এসে মানুষজন সবাই রাসায়নিক প্রসাধনী ও এলোপ্যাথি ওষুধের উপর ঝুঁকে পড়েছে। কিন্তু চাইলেই মানুষজন ভেষজ ওষুধ ব্যবহার করতে পারে। তাই আমাদের উচিত ভেষজ উদ্ভিদের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া।