আমের উপকারিতা

আমের উপকারিতা ও অপকারিতা

এখন চলছে গ্রীষ্মকাল। স্কুলে গ্রীষ্মকালীন ছুটি দেওয়া হয়। গ্রামের অনেকে এটাকে আম-কাঁঠালের ছুটি বলে সম্বোধন করে। কেননা এই সময় গাছে পাকা শুরু করে আম। বাঙালি ভীষণ আমপ্রিয় জাতি। শুধু বাঙালি নয়— পুরো ভারত উপমহাদেশ জুড়ে রয়েছে আমের কদর। আজকের এই প্রবন্ধে ‘আমের উপকারিতা ও অপকারিতা’ বিষয়ক কিছু কথা হবে। সেই সাথে আমের উৎপত্তিস্থল, জাত, স্বাদ ও আম বিষয়ক বিভিন্ন গল্প আলোচনা করা হবে।

আমের প্রাচীন ইতিহাস

বাংলা ভাষায় আম শব্দটি সংস্কৃত ‘আম্র’ শব্দ থেকে আগত। এই আম সারা বিশ্বময় খুবই জনপ্রিয়। এমন পছন্দের ফল জগতে আর দ্বিতীয়টি খুঁজে পাওয়া যাবে না। বিশ্বে এমন কোনো মানব সম্প্রদায় নেই যার কাছে আম পছন্দ নয়। তাই তো আমকে ʼফলের রাজাʼ বলে ডাকা হয়।

আমের জন্মস্থান নিয়ে আছে নানান বিতর্ক। ‘আমের উপকারিতা ও অপকারিতা’ প্রবন্ধে আমের জন্মস্থান নিয়ে কিছু আলোচনা করা হয়েছে।
আমের বৈজ্ঞানিক নাম ‘ম্যাঙ্গিফেরা ইন্ডিকা’। এই ফল ভারতবর্ষের কোন অঞ্চলে প্রথম দেখা গেছে, সেটা নিয়ে বিতর্ক আছে। কিন্তু আম যে আমাদের এ জনপদেরই, আমের আদিবাস এখানেই— এই সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা ঐক্যমত পোষণ করে।

ইতিহাসের পাতা থেকে জানা যায়, খ্রিস্টপূর্ব ৩২৭-এ আলেকজান্ডার সিন্ধু উপত্যকায় আক্রমণ চালানোর সময় আম দেখে ও খেয়ে মুগ্ধ হয়েছিলো। এই সময়কালেই আম ছড়িয়ে পড়ে মালয় উপদ্বীপ, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জ ও আফ্রিকার মাদাগাস্কারে।

চীনা পর্যটক হিউয়েন সাঙ ৬৩২ থেকে ৬৪৫ সালের মধ্যে বাংলায় ভ্রমণে এসে বাংলার আমকে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচয় করিয়ে দেন।
১৬ শতাব্দীতে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে, ১৬৯০ সালে ইংল্যান্ডে কাচের ঘর অর্থাৎ গ্রিনহাউস পদ্ধতিতে আম চাষ হয়। ১৭ শতাব্দীতে ইয়েমেনে এবং ঊনবিংশ শতাব্দীতে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে আমের চাষ দেখা যায়। ১৮৬৫ সালের দিকে ইতালিতে আম চাষের খবর শোনা যায়। এভাবেই আম ফলটি বিশ্ববাসীর দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়।

কথিত আছে, মোগল বাদশাহ আকবর ভারতের উত্তরাখণ্ডের দেহরাদুন জেলায় এক লক্ষ আমের চারা রোপণ করে উপমহাদেশে প্রথম উন্নত জাতের আম বাগান তৈরি করে। পরে ওই বাগানের নাম হয় ‘লাখি বাগ’। আমের আছে বাহারি ধরণের নাম, বর্ণ ও গন্ধ এবং স্বাদ।

আমের প্রকারভেদ

অঞ্চল ভেদে নানান ধরনের আম চাষ হয়। এছাড়াও বিজ্ঞানীরা জেনেটিক্যাল পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে উন্নত জাতের আম তৈরি করেছেন। যেগুলো রয়েছে হরেক রকমের নাম।

আমের তো কয়েক শত জাত আছে। যাদের নামকরণও করা হয়েছে। আমের বাগানে পরাগায়নের সময় দুইটা ভিন্ন জাতের পরাগায়ন ঘটলে প্রায়শই বেশ কয়েকটি নতুন জাতের আম জন্মে। বেশ কিছু আম গাছ আছে, যেগুলো কলমের মাধ্যমে বংশবিস্তার করতে হয়। কেননা এগুলোর বীজ থেকে ভালো ফলন পাওয়া যায় না।

নিম্নে কিছু দেশীয় আমের নাম উল্লেখ করা হলো।
গোলাপখাস, ফজলি, আম্রপালি, হাড়িভাঙ্গা, হিমসাগর, আশ্বিনা, ল্যাংড়া, ক্ষীরশাপাতি, গোপালভোগ, কল্পনা ,মোহনভোগ জিলাপিভোগ, লক্ষণভোগ, মিছরিভোগ, বোম্বাই, চৌসা, ক্ষীরভোগ, বৃন্দাবনী, চন্দনী, হাজিডাঙ্গ, সিঁদুরা, গিরিয়াধারী, বউভুলানী, জামাইপছন্দ, বাদশভোগ, রানীভোগ, দুধসর, মিছরিকান্ত, বাতাসা, মধুচুসকি, রাজভোগ, মেহেরসাগর, কালীভোগ, সুন্দরী, পানবোঁটা, দেলসাদ, কালপাহাড় ইত্যাদি।

এগুলো ছাড়াও আরো প্রায় ৩০০ জাতের আম রয়েছে ভারতবর্ষে। কিন্তু এগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই এখন বিলুপ্তপ্রায়। এর কারণ হিসেবে বিজ্ঞরা বলেছেন, যে সকল আম ফলন বেশি দেয় সেগুলোই আজকাল চাষ করা হচ্ছে। তাই অন্যান্য সুস্বাদু কম ফলনশীল জাতের আমগুলো আর তেমনভাবে চাষাবাদ করা হয় না। তাই সেগুলোর সংখ্যা দিন দিন কমছে।

আম ফলের আকার, আকৃতি, মিষ্টতা, ত্বকের রঙ এবং ভেতরের ফলের বর্ণ— যেটা ফ্যাকাশে হলুদ, সোনালি বা কমলা রঙেরও হতে পারে— জাতভেদে আমের মধ্যে এই সকল গুণ পরিবর্তিত হয়।

ভারত, পাকিস্তান, চীন এবং মালয় দ্বীপপুঞ্জের দেশগুলোতে অনেক আম চাষ হয়ে থাকে। বাংলাদেশের এমন একটি গ্রাম খুঁজে পাওয়া যাবে না যেখানে আম গাছ নেই। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, দিনাজপুরসহ বেশ কয়েকটি জেলায় বাণিজ্যিকভাবে আম চাষ হয়।

সাহিত্যে ফলের রাজা আম

বাঙালির সংস্কৃতির সাথে আমের সম্পর্ক অনেকটা আমে-দুধে মাখামাখি। বলা হয়ে থাকে, আমের নাম কৃষ্ণের শতনামকেও ছাড়িয়ে যায়। রামায়ণের লেখক বাল্মীকি আমকে ‘চ্যুত’ বলেছেন। কালিদাস বলেছেন ‘আম্র’। বাৎস্যায়ন বলেছেন ‘সহকার’। সংস্কৃত ভাষায় আমকে আম্র, বাংলায় আম, তামিলে ‘মানকে’ এবং ইংরেজিতে বলা হয় ‘ম্যাঙ্গো’।

বাংলার প্রাচীন কাব্য শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে এই আমকে আমবু; ভারতচন্দ্রে আছে আম; ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত বলেন আঁব, মাইকেল মধুসূদনের রচনায় রসাল নামে অভিহিত করা হয়েছে। মৎস্যপুরাণ ও বায়ুপুরাণে কালো রঙেয়ের একটি বিশেষ আমের কথা উল্লেখ আছে। যার রস পান করলে মানুষ অমরত্ব লাভ করে।

ইংরেজি ‘ম্যাঙ্গো’ নামের উৎপত্তি হয়েছে ভারতের তামিল শব্দ ‘ম্যাঙ্গাই’ থেকে।
মুঘল সম্রাট বাবর আমকে বলেন ‘পোর-ই-হিন্দ’। চীনা পর্যটক হিউয়েন সাং আমকে ডাকেন ‘প্রিন্স অব ফ্রুট’ বলে। আমের অন্যান্য প্রতিশব্দ যেমন— মাকন্দ, মদির, সখ, কামাঙ্গ, সরস, মধুদূত, অঙ্গনপ্রিয়, পিকবল্লভ, মৃষালক ইত্যাদি। আম যে আমাদের এই উপমহাদেশেরই ফল, তা স্বীকার করেছেন ফা হিয়েন, হিউয়েন সাং, ইবনে বতুতাসহ আরো অনেকে। আকবরই প্রথম আমের গুণে প্রভাবিত হয়ে সরকারি সিলমোহর দেন। তিনিই এক লাখ বিভিন্ন প্রজাতির আমের চারা লাগিয়ে একটি বাগান তৈরি করেন যার নাম ‘লাখি বাগ’। তারই উদ্যোগে ১৫৯০ খ্রিস্টাব্দে আইন-ই-আকবরিতে আমের বিভিন্ন প্রজাতির তথ্য লিপিবদ্ধ করা হয়।

এই আম জড়িয়ে আছে বাঙালির ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও দেশপ্রেমের অনুভূতির সঙ্গে আম ও আমগাছের একটি সূক্ষ্ম সম্পর্ক রয়েছে। ১৭৫৭ সালে পলাশীর আমবাগানে ব্রিটিশদের হাতে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের ফলে যেই বেদনার ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছিল— ১৯৭১ সালে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আমবাগানে সেটার পরিসমাপ্তি ঘটে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৭ এপ্রিল প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার শপথ নেয় এই আমবাগানে। আমাদের জাতীয় সংগীতেও আছে… ‘ওমা ফাগুনে তোর আমের বনে, ঘ্রাণে পাগল করে…’— এখানে আমগাছের উপস্থিতি দেশপ্রেমের একটি চিত্র অঙ্কন করে।

আমাদের দেশে আমের বনজ প্রজাতি রয়েছে। অর্থাৎ যেগুলো চাষ ছাড়াই বনে জঙ্গলে হয়ে থাকে। সেই অর্থে আমরা আমের আদি মালিক। সৌভাগ্য যে বিশ্বের অন্য কোনো দেশ এখনো আমগাছকে জাতীয় বৃক্ষ হিসেবে ঘোষণা দেয়নি।

আমগাছ চিরসবুজ, ছায়াময়ী ও দীর্ঘজীবী। আম আমাদের সংস্কৃতির অপরিহার্য অংশ। আমপাতা হিন্দু ও বৌদ্ধরা ধর্ম ও সংস্কৃতিচর্চায় ব্যপকভাবে ব্যবহার হয়ে থাকে। আম আমাদের সাহিত্য ও লোকগাঁথায় নিবিড়ভাবে মিশে আছে।

পৃথিবীর অনেক দেশেরই জাতীয় বৃক্ষ রয়েছে। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, কানাডা ও জার্মানির জাতীয় বৃক্ষ হচ্ছে ওক গাছ। কানাডার ম্যাপল, ভারতের বট, পাকিস্তানের সেড্রাস ডিওডর, শ্রীলঙ্কার নাগেশ্বর, ভুটানের সাইপ্রেস, সৌদি আরব, লেবানন, আফগানিস্তান, ইতালি, নরওয়ে ও সুইডেনের খেজুরগাছ, লেবাননের সেডার এবং কিউবার জাতীয় বৃক্ষ কিউবান রয়েল পাম। আর বাংলাদেশের জাতীয় বৃক্ষ আমগাছ।

বাংলা সাহিত্যে যেমন আম নিয়ে গল্পের শেষ নেই, তেমনি লোক-ইতিহাসেও আমের অন্ত নেই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা জুড়ে আছে আম। শিশুশিক্ষার যে কয়টা বই তিনি লিখেছেন— তার প্রায় সবকটিতেই ফলের নাম মানেই হলো আম। বীথিকার নিমন্ত্রণ কবিতায় লিখেছেন,
‘বেতের ডালায় রেশমি-রুমাল–টানা
অরুণবরন আম এনো গোটাতক।’

বাংলার নারী জ্যোতিষী খনার বচনে বলা হয়েছে, ‘মাঘে বোল
ফাগুনে গুটি
চৈত্রে কাটিকুটি
বৈশাখে আটি
জ্যৈষ্ঠে দুধের বাটি’
খনার এই প্রবচনটি ছিল বাংলাদেশে আমের মুকুল ধরা থেকে শুরু করে আম পাকা এবং দুধ-মিষ্টি দিয়ে আম খাওয়ার সময়সীমা।

মির্জা গালিব আম খুব ভালোবাসতেন। একবার তিনি খুব আয়েশ করে আম খাচ্ছিলেন। তার একজন বন্ধু তাকে খোঁচা দিয়ে বললেন, “আম এমন একটি ফল যেটা গাধাও খায় না।”
মির্জা গালিব যেমন কবি ছিলেন তেমনি উনার উপস্থিত বুদ্ধিও ছিল প্রখর। তিনি জবাব দিলেন, “একদম সত্য কথা বলেছ, গাধারা আম খায় না।”
মির্জা গালিবের জবাব শুনে তার বন্ধুটি বেশ জব্দ হলো।

আরেকবার মিথ্যা গালিব মোগল বাদশাহের সাথে আম বাগানে হাঁটছেন। তিনি খুব মনোযোগ দিয়ে আমগুলোকে দেখছিলেন। এটা দেখে বাদশাহ বলল, “কী দেখছো অমন করে?”
মির্জা গালিব বলল, “শুনেছি প্রত্যেকটা ফলে তার খাদকের নাম লেখা থাকে। আমি আমার নাম লেখা আমটিকে খুঁজছি।”
বাদশাহ মির্জা গালিবের কথা শুনে বেশ আমোদ পেলেন। তিনি তখনই বেশ কিছু আম মির্জা গালিবের বাসায় পাঠিয়ে দিলেন।

আমের উপকারিতা

আমের উপকারিতা

বাঙালি যখন আম খায় তখন কিন্তু সে এটার উপকারিতা সম্পর্কে না জেনেই খায়। আম সামনে আসলে এত কিছু ভাবার সময় কোথায়। কিন্তু আমাকে তো আর শুধু শুধু ফলের রাজা বলা হয়নি। এটা যেমন সুস্বাদু, মিষ্টি, রসালো, কোমল— তেমনি এর আছে নানান পুষ্টিগুণ। ‘আমের উপকারিতা ও অপকারিতা’ শীর্ষক প্রবন্ধে আমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত লেখা হয়েছে।

পাকা আমে প্রচুর ভিটামিন ‘এ’ থাকে। তাছাড়া খনিজ পদার্থ, আঁশ, শক্তি, আমিষ, ক্যালসিয়াম, লৌহ, ক্যারোটিন, ভিটামিন বি-২, শর্করা ইত্যাদি তো রয়েছেই।

প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা আমে রয়েছে

  • ৯০ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি
  • ৮৩০০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন
  • ৭৮ দশমিক ৬ গ্রাম পানি
  • ২০ গ্রাম শর্করা
  • ১ গ্রাম আমিষ
  • শূন্য দশমিক ৭ গ্রাম স্নেহ
  • শূন্য দশমিক ৭ গ্রাম আঁশ
  • ২০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম
  • ১ দশমিক ৩ মিলিগ্রাম লোহা
  • ৪১ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি
  • শূন্য দশমিক ১ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-১

আমি থাকা ভিটামিন দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ত্বক ভালো রাখে। এর মধ্যে থাকা আঁশ খাদ্য পরিপাক করতে সাহায্য করে। সর্বোপরি আম একটি সুষম পুষ্টিগুণে ভরা ফল।

আমের ঔষুধি গুণ: আয়ুর্বেদ ও ইউনানি পদ্ধতির চিকিৎসায় পাকা আম ল্যাকজেটিভ, রোচক ও টনিক বা বলকারকরূপে ব্যবহৃত হয়। রাতকানা ও অন্ধত্ব প্রতিরোধ করতে পাকা আম এমনকি কাঁচা আম মহৌষধ। কচি পাতার রস দাঁতের ব্যথা উপশম করে। আমের শুকনো মুকুল পাতলা পায়খানা, পুরনো আমাশয় এবং প্রস্রাবের জ্বালা-যন্ত্রণা উপশমে উপকারী। জ্বর, বুকের ব্যথা, বহুমূত্র রোগের জন্য আম পাতার চূর্ণ ব্যবহার হয়।

আমের অপকারিতা

পরিমিত পরিমাণে আম খেলে মানুষের কোনো ক্ষতি হয় না। কিন্তু অনেক মানুষ আছে যাদের ডায়াবেটিস বা এলার্জি থাকতে পারে। তাদের জন্য বেশি পরিমাণে আম খেলে রোগের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। আমি থাকা বিপুল পরিমাণ চিনি বহুমূত্র রোগীর জন্য ক্ষতিকর।

এছাড়া আম বেশি পরিমাণে খাওয়ার ফলে বদ হজম হতে পারে। যেটা ক্রমে ডায়রিয়ায় রূপান্তর হয়ে যায় অনেক সময়। তবে সুস্থ স্বাভাবিক মানুষজন বেশি পরিমাণে আম খেলেও তাদের তেমন ক্ষতি হয় না।

আম গাছের কষ, বিশেষ করে আমের পাতায় এবং আম ফলের বোটায় থাকা কষ মানুষের ত্বকের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। মানুষের ত্বকে, মুখে যদি সেই কস লেগে যায় তাহলে ত্বক পুড়ে যায়। তাই বাচ্চাদেরকে খুব সাবধানে রাখতে হবে, যাতে ওরা গাছ থেকে আম পারার সময় কষ চোখে-মুখে না লাগে।

‘আমের উপকারিতা ও অপকারিতা’ প্রবন্ধটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।

About Juyel Ahmed Liton

সুপ্রিয় “প্রোবাংলা” কমিউনিটি, ছোটবেলা থেকেই প্রযুক্তির প্রতি আকর্ষণ ছিলো এবং হয়তো সেই আকর্ষণটা অন্য দশ জনের থেকে একটু বেশি। ওয়েবসাইট, টাইপিং, আর্টিকেল লেখাসহ টেকনোলজি সবই আমার প্রিয়। জীবনে টেকনোলজি আমাকে যতটা ইম্প্রেস করেছে ততোটা অন্যকিছু কখনো করতে পারেনি। আর এই প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ থেকেই লেখালেখির শুরু.....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Pro Bangla-প্রো বাংলা