ঢেঁড়সের উপকারিতা ও অপকারিতা

ঢেঁড়স, ভেন্ডি, ভিন্ডি— আমরা একেক অঞ্চলে এটাকে একেক নামে ডাকি। কিন্তু এই সুস্বাদু সবজিটাকে সবাই আমরা পছন্দ করি। এটা পিচ্ছিল ও হালকা ধরনের সবজি। আমাদের দেশে এটা খুবই জনপ্রিয়।

এই সবজি ভর্তা, ভাজি, তরকারি সব ভাবেই খাওয়া যায়। ঢেঁড়সের ফুল দেখতে অসাধারণ। খুবই সুন্দর দেখা যায় এর ফুলটাকে।

আমাদের দেশে বিপুল পরিমাণে ঢেঁড়স চাষ হয়। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না ঢেঁড়সের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। প্রো-বাংলার ‘ঢেঁড়সের উপকারিতা ও অপকারিতা’ আর্টিকেলে ঢেঁড়সের উপকারিতা, পুষ্টিগুণ, চাষ, অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।

ঢেঁড়সের আদি নিবাস

আমরা হয়তো অনেকেই জানি না, ঢেঁড়স এই বাংলার কোনো সবজি নয়। ‘ঢেঁড়সের উপকারিতা ও অপকারিতা’ প্রবন্ধে আমরা ঢেঁড়সের আদি নিবাস সম্পর্কে কিছুটা ধারণা নিতে পারি।

ইংরেজিতে ঢেঁড়সকে ওকরা (Okra) বলা হয়। অনেকে এটিকে লেডিস ফিঙ্গার (Lady’s Fingers) বলেও ডাকে।

ইথিওপিয়ার উচ্চভূমি অঞ্চলে ঢেঁড়শের আদি নিবাস। ওখান থেকে কীভাবে এটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে, তা জানা যায়নি। মিশরীয় বিভিন্ন রচনায় ১২শ ও ১৩শ শতকে আরবি ভাষায় ঢেঁড়শের কথা উল্লেখ আছে। তাই ধারণা করা যায় যে— মধ্যপ্রাচ্যের নিকটবর্তী দেশের ইথিপিয়ায় এর জন্ম।

আরব থেকে বিভিন্ন বণিকের মাধ্যমে এটা ইউরোপে পৌঁছায়। এরপর এটা ভারতবর্ষেও আসে। কেননা ভারতবর্ষের প্রাচীন ভাষায় এটার কোনো নাম পাওয়া যায় না। তাই অনুমান করা যায় খ্রিস্টের জন্মের পর কোনো এক সময় এটা এসেছে ভারতবর্ষে। ভারতবর্ষের পশ্চিম ও দক্ষিণ অঞ্চলে এটাকে ভিন্ডি বলে ডাকা হয়। আমাদের দেশে এটাকে ঢেঁড়স ও ভেন্ডি উভয় নামেই ডেকে থাকে।

ঢেঁড়সের পুষ্টিগুণ

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ঢেঁড়স খেতে খুবই ভালোবাসেন। কিন্তু জানেন না ঢেঁড়সের মধ্যে কী পরিমাণ পুষ্টিগুণ রয়েছে। ‘ঢেঁড়সের উপকারিতা ও অপকারিতা’ প্রবন্ধে ঢেঁড়সের পুষ্টিগুণ সমূহ উল্লেখ করা হলো।

প্রতি ১০০ গ্রাম ঢেঁড়সে থাকা পুষ্টিমান—

  • শক্তি১৪৫ কিজু (৩৫ kcal)
  • শর্করা৭.৬ g
  • খাদ্য তন্তু৩.২ g
  • স্নেহ পদার্থ০.১ g
  • প্রোটিন২.০ g
  • ফোলেট (বি৯)৮৭.৮ μg
  • ভিটামিন সি২১ মিগ্রা
  • ক্যালসিয়াম৭৫ মিগ্রা
  • ম্যাগনেসিয়াম৫৭ মিগ্রা

ঢেঁড়স চাষ

গ্রাম বাংলার অনেকেই বাড়ির আঙিনায় ঢেঁড়স চাষ করে থাকে। তবে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করার জন্য কিছু বৈজ্ঞানিক উপায় অবলম্বন করতে হয়। সংক্ষিপ্ত আকারে ঢেঁড়স চাষের পদ্ধতি বর্ণনা করা হলো।

আরও পড়ুন: জাম্বুরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

ঢেঁড়সের উন্নত জাত: বারি ঢেঁড়স-১, অলক, গ্রিন এলাজি।

বপনের সময়: মাঘ থেকে চৈত্র।

চাষপদ্ধতি: বোনার আগে বীজ ২৪ ঘন্টা ভিজিয়ে নিতে হয়। লাঙ্গল বা ট্রাক্টর দিয়ে মাটি চাষ করতে হবে এরপর মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করতে হবে। প্রতিটি সারির মধ্যে দূরত্ব থাকবে ৩০ ইঞ্চি। প্রতিটি সারিতে ১৮ ইঞ্চি পর পর তিন থেকে চারটি বীজ বপন করতে হবে। চারা গাছগুলো যখন ৫-৬ ইঞ্চি বড় হবে তখন সুস্থ সবল একটি বা দুটি চারা রেখে বাকিগুলো উপড়ে ফেলতে হবে। ফলে ওই গাছগুলো দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।

সার ব্যবস্থাপনা: প্রতি শতকে নিম্নোল্লেখ্যিত পরিমাণে সার ব্যবহার করতে হবে।

  • কম্পোস্ট ৭৫ কেজি
  • ইউরিয়া ২৩০ গ্রাম
  • টিএসপি ৩৫০ গ্রাম
  • পটাশ ২৩০ গ্রাম

সেচ: নিয়মিত পানি দিতে হবে। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই পানি জমতে দেওয়া যাবে না। যদি কখনো ভারী বৃষ্টিপাত হয়— দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিতে হবে।

আগাছা: কখনোই আগাছা জন্মাতে দেওয়া যাবে না। এতে করে ঢেঁড়স গাছের পুষ্টির অভাব ঘটবে।

পোকামাকড়: পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষার জন্য কিছু টিপস।

ফ্লি বিটল পোকা— সাইপারমেথ্রিন কীটনাশক পানিতে গুলিয়ে স্প্রে করতে হবে।

মাজরা পোকা— মাজরা পোকা আক্রমণ করলে সাইপারমেথ্রিন স্প্রে করতে হবে তবে তা দুইদিন পর পর।

শ্যামা পোকা— শ্যামা পোকার আক্রমণ হলে ইমিডাক্লোরোপ্রিড কীটনাশক স্প্রে করতে হবে।

লেদা পোকা— এই পোকার আক্রমণ বেশি হলে এমামেক্টীন বেনজোয়েট জাতীয় কীটনাশক স্প্রে করতে হবে।

রোগ: ঢেঁড়স ক্ষেতে নানান ধরনের রোগ হতে পারে। এজন্য নিকটস্থ কৃষি অধিদপ্তরে যোগাযোগ করে ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে। না জেনে ঔষধ প্রয়োগ করলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

ফলন: জাত ভেদে শতক প্রতি ফলন ৬০–৭০ কেজি।

উত্তোলন: ঢেঁড়স কচি থাকতেই উত্তোলন করতে হয়। কেননা একটু দেরি হয়ে গেলেই ঢেঁড়সের মধ্যে শক্ত আঁশ তৈরি হয়। যা খাওয়ার অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে।

ঢেঁড়সের উপকারিতা

ঢেঁড়সের উপকারিতা
ঢেঁড়সের উপকারিতা

ঢেঁড়স একটি সুস্বাদু সবজি হওয়াতে আমরা অনেকেই এটা শখ করে খাই। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না ঢেঁড়সে আছে নানাবিদ উপকারিতা। ‘ঢেঁড়সের উপকারিতা ও অপকারিতা’ প্রবন্ধে আমরা ঢেঁড়সের উপকারিতা গুলো তুলে ধরছি।

  • প্রচুর পুষ্টি সমৃদ্ধ এই ঢেঁড়স আয়োডিনের অভাবে সৃষ্টি হওয়া গলগণ্ড রোগ সারাতে সাহায্য করে।
  • মস্তিষ্ক ও হৃৎপিণ্ডের দুর্বলতার প্রতিরোধে দারুণ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
  • ঢেঁড়সে রাইবোফ্লাভিন উপাদান বেগুন, মূলা, টমেটো আর শিমের থেকে পরিমাণে অনেক গুণ বেশি। এছাড়া ছাড়া ঢেঁড়স কোষ্ঠকাঠিন্য, শুকনো কাশির দূরীকরণে সাহায্য করে।
  • বীজ কফির বিকল্প হিসেবে তুরস্কে এর ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
  • ঢেঁড়স পাকলে পরে এর খোসা ও কাগজ তৈরি করতে ব্যবহার করা যায়। কেননা এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ।
  • ঢেঁড়স গ্রীষ্মকালীন সবজি। তবুও এটা প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। তাই এটার চাহিদা সারা বছর থাকে। যারা ঢেঁড়স চাষ করতে চান তাদের জন্য এই চাহিদা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
  • বহু মানুষের প্রিয় সবজি এই ঢেঁড়স। স্বাদের যেমন বাহার, তেমনি ভর্তা, ভাঁজি, চচ্চড়িতে, মাছের ঝোলেও এর ব্যবহার। দেশের জনপ্রিয় সবজিগুলোর মধ্যে ঢেঁড়স হচ্ছে অন্যতম।
  • ঢেঁড়সকে সাধারণ কোন সবজি মনে করা উচিত নয়। এটায় আছে অনেক পুষ্টিগুণ। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ফসফরাস এবং ভিটামিন এ, বি এবং সি। যা মানব দেহের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে ঢেঁড়স খুব কার্যকরী। প্রথমে বীজ ফেলে দিয়ে দু’তিনটা কাঁচা ঢেড়স প্রায় আধা লিটার পানিতে সেদ্ধ করুন। যাতে করে এক কাপ পরিমাণ পানি অবশিষ্ট থাকে। এবার পানিটুকু ছেঁকে নিয়ে একঘণ্টা পর পর দুইবার রোজ পান করুন। এতে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হবে না। কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর হবে।
  • রক্তচাপ কমাতে ঢেঁড়স খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঢেঁড়স রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে কোনো প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া। রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকলে কালো জামের বিচি চূর্ণ করতে হবে‌। এরপর এক গ্রাম সেই জামের বিচি চূর্ণের, তিন-চারটা কচি ঢেঁড়সের সেদ্ধ করা পানির সাথে মিশিয়ে কয়েকদিন সেবন করলে ব্লাড সুগার কমে যেতে থাকবে‌।
  • কাশি দূরীকরণে ঢেঁড়স খুবই কাজে দেয়। ঢেঁড়স খেলে খুসকুসে কাশি দূর হয়। এইজন্য প্রথমে বিচি ফেলে দিয়ে কয়েকটা কাঁচা ঢেঁড়স ভালো করে রোদে শুকাতে হবে। পরে তা গুঁড়ো করতে হবে। পাঁচ থেকে ছয় গ্রাম ঢেঁড়সের শুকনা গুঁড়া আর চিনির ক্যারামেল দিয়ে বড়ি বানাতে হবে। বড়িটি চুষে চুষে খেলে অতি অল্প সময়ের মধ্যেই ফলাফল পাওয়া যাবে।
  • প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের ক্ষরণ দূরীকরণে ঢেঁড়স বেশ ভালো কাজ করে। ঢেঁড়সের মধ্যে থাকা উপাদান প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের ক্ষরণ দুর করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে‌
    অনেক সময় প্রচুর পরিমাণ পানি পান করলেও প্রস্রাবের পরিমাণ কম হতে পারে এবং জ্বালাপোড়া হতে পারে। এমন হলে বিচি ফেলে দিয়ে তিন থেকে চারটি কাঁচা ঢেঁড়স আধা কেজি পানিতে সেদ্ধ করতে হবে‌। ওই পানি যখন প্রায় অর্ধেক পরিমাণ হবে তখন তা নামিয়ে ছেঁকে নিতে হবে। এই ঢেঁড়স সেদ্ধ পানিটি হবে খুবই পিচ্ছিল। এই পিচ্ছিল পানি পান করলে প্রস্রাবের সময় আর জ্বালাপোড়া করবে না এবং প্রস্রাবের পরিমাণেও বেড়ে যায়।
    এভাবে কয়েকদিন এটা সেবন করতে হবে। ‌ তাহলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
  • ঢেঁড়স খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। ঢেঁড়সের মধ্যে আছে সলিউবল ফাইবার (আঁশ) পেকটিন— এটা রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলকে বৃদ্ধি পেতে দেয় না বরঞ্চ কমাতে সাহায্য করে এবং অ্যাথেরোসক্লোরোসিস প্রতিরোধ করে দেহকে রাখে সুস্থ।
  • এই ঢেঁড়স মায়েদের গর্ভাবস্থায় ভ্রূণ তৈরির জন্য ভালো ভূমিকা পালন করে। গর্ভাবস্থায় ভ্রূণের মস্তিষ্ক তৈরি করতে সাহায্য করে এবং গর্ভপাত হওয়া প্রতিরোধ করে।
  • জেনে নিন: করলার উপকারিতা ও অপকারিতা
  • ঢেঁড়স কিন্তু রূপচর্চার কাজেও ব্যবহৃত হয়। ত্বকের বিষাক্ত পদার্থ সমূহ দূর করে ঢেঁড়স। ত্বকের বিষাক্ত পদার্থ সমূহ দূর করে ত্বকের টিস্যুর পুনর্গঠন ও ব্রণ না হওয়া এবং ব্রণ দূর করতে দারুন ভূমিকা পালন করে।
  • শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে ঢেঁড়সের ব্যবহার হয়ে থাকে। ঢেঁড়সের মধ্যে আছে ভিটামিন সি, অ্যান্টি ইনফ্লামেটোরি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান। এই সকল উপাদান অ্যাজমার বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। অ্যাজমার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতেও ঢেঁড়স বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
  • ঢেঁড়স কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। ঢেঁড়সের মধ্যে থাকা উচ্চমাত্রার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ক্ষতিকর ফ্রি রেডিকেলসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ফলে কোলন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমে যায় ‌
  • দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় ঢেঁড়স। ঢেঁড়সের মধ্যে থাকা পুষ্টিগুণ মানব দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এর মধ্যে আছে উচ্চ পরিমাণ ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এ ছাড়া আছে আরো প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান। যেমন: ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ— যেগুলো রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
  • উচ্চমাত্রার আঁশ আছে ঢেঁড়সে। উচ্চ পরিমাণে আঁশ থাকার ফলে এটা হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। পেকটিন অন্ত্রের ফোলাভাব কমায়। অন্ত্র থেকে বর্জ্য খুব সহজেই পরিষ্কার করে।
  • ঢেঁড়স একটি পিচ্ছিল সবজি। এর মধ্যে আছে এক প্রকার পিচ্ছিল রস। যেটা চুলের জন্য দারুন উপকারি। চুলের যত্ন নিতে ঢেঁড়স চুলের কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এটা খুশকি দূরীকরণে সাহায্য করে। ঢেঁড়সের ওই পিচ্ছিল রস শুষ্ক মাথার ত্বকের জন্য দারুন উপকারী।
  • মানুষের বিষণ্ণতা দূর করে ঢেঁড়স। বিষণ্ণতা, দুর্বলতা এবং মানসিক অবসাদ দূর করতে ঢেঁড়স ভালো একটি ভূমিকা পালন করে।
  • দৃষ্টি ভালো রাখতে ঢেঁড়স খুবই কার্যকরী। ঢেঁড়সে আছে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, লিউটিন— এগুলো চোখের গ্লুকোমা ও চোখের ছানি পরা প্রতিরোধে বেশ সাহায্য করে।

ঢেঁড়সের অপকারিতা

ঢেঁড়স খুবই সুস্বাদু ও পুষ্টিকর সবজি। এটা খেলে ক্ষতি নেই। তবে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে এটা কারো জন্য সামান্য অসুবিধার সৃষ্টি করতে পারে।
ঢেঁড়স প্রচুর ফাইবার সমৃদ্ধ সবজি হওয়াতে এটা খুব দ্রুত হজম হয়ে যায়। সেই সাথে পেটে থাকা অন্যান্য খাদ্যকে হজম করতে সহায়তা করে। দ্রুত হজমের ফলে অনেক সময় মল কিছুটা পাতলা হতে পারে।

কিন্তু এখন পর্যন্ত এলার্জিজনিত কোনো সমস্যার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই বলা চলে— ঢেঁড়স খেলে কোনো ক্ষতি নেই।

উপসংহার

ঢেঁড়সের আদি নিবাস আমাদের এই দেশে না হলেও, এটা এখন আমাদের দেশে এতটাই জনপ্রিয় যে— এটাকে বিদেশি সবজি বললে কেউ বিশ্বাস করবে না। ঢেঁড়স খুব সহজে বাঙালির পাতে ঠাঁই করে নিয়েছে এবং আপন হয়ে গিয়েছে।

‘ঢেঁড়সের উপকারিতা ও অপকারিতা’ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পাঠ করার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top