করলার উপকারিতা

করলার উপকারিতা ও অপকারিতা

করলা, করল্লা, উস্তে, উইস্তা, উচ্ছা, উচ্ছে— যে নামেই ডাকুন না কেন, এগুলো সব এক প্রকার ফল জাতীয় সবজি। করোলা তিতা স্বাদের হলেও অনেকের নিকট এটা প্রিয় সবজি। অনেকে এটা খুব শখ করে খায়। এটা ভাজি করে অথবা তরকারি করে খাওয়া যায়। অনেকে তো আবার আলু ভর্তার সাথে এটাও ভর্তা করে খায়।

এটা সম্পূর্ণ দেশি একটি সবজি। তবে চৌদ্দশত শতাব্দীর দিকে এটার চীনে প্রসার ঘটে। গ্রাম বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্যের সাথে মিশে আছে এই সবজি। এটা বাড়িঘরের আশেপাশে, ঝোপ ঝাড়ে অনায়াসে জন্মাতে পারে। করলা লতা জাতীয় একটি উদ্ভিদ। সেই প্রাচীন আমল থেকেই তেমন একটা যত্ন ছাড়াই এটা বেড়ে ওঠে বাড়ির আঙিনায়। কিন্তু সাম্প্রতিকালে এটার বানিজ্যিক চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রায় সব রকমের মাটিতে— বিশেষ করে পানি জমে না এমন জমিতে করলার চাষ করা যায়। জৈব পদার্থসমৃদ্ধ দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটিতেও ভালো ফলন হয়। বাণিজ্যিক চাষের জন্য করলার জমিতে পর্যাপ্ত সূর্যালোক প্রয়োজন।

করলা হচ্ছে এক বর্ষীয় এবং এর একই গাছে স্ত্রী ফুল ও পুরুষ ফুল হয়। করলা পরপরাগায়িত সবজি হওয়ার ফলে এর জাত বৈচিত্র্যের শেষ নেই। এই বছর এক জাতের লাগালে পরের বছর সে জাত থেকে সংরক্ষণ করে রাখা বীজ লাগিয়ে হুবহু একই বৈশিষ্ট্যের করলা পাওয়া যায় না। বিজ্ঞানীদের হাইব্রিড এবং উচ্চ ফলনশীল জাতের জন্য দেশীয় করলা আজ বিলুপ্তির পথে। তাই আমাদের উচিত বাণিজ্যিকভাবে না হলেও ঘরোয়া সবজির বাগানে দেশীয় করলার উৎপাদন করা।

‘করলার উপকারিতা ও অপকারিতা’ নিয়ে আমাদের এই প্রবন্ধ। আশা করি এটা পাঠ করলে ‘করলার উপকারিতা ও অপকারিতা’ সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারবেন।

করলার পুষ্টিগুণ

করলা তিক্ত স্বাদের হলেও এটাতে রয়েছে বিপুল পরিমাণ পুষ্টিগুণ। ‘করলার উপকারিতা ও অপকারিতা’ জানার আগে জেনে নিন করলার উপকারী পুষ্টিগুণ।

প্রতি ১০০ গ্রাম করলার পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ—

  • কার্বোহাইড্রেট ৩.৭০ গ্রাম,
  • প্রোটিন ১ গ্রাম,
  • ফ্যাট ০.১৭ গ্রাম,
  • খাদ্য আঁশ ২.৮০ গ্রাম,
  • নায়াসিন ০.৪০০ মিলিগ্রাম,
  • প্যান্টোথেনিক এসিড ০.২১২ মিলিগ্রাম,
  • ভিটামিন এ ৪৭১ আই ইউ,
  • ভিটামিন সি ৮৪ মিলিগ্রাম,
  • সোডিয়াম ৫ মিলিগ্রাম,
  • পটাশিয়াম ২৯৬ মিলিগ্রাম,
  • ক্যালসিয়াম ১৯ মিলিগ্রাম,
  • কপার ০.০৩৪ মিলিগ্রাম,
  • আয়রন ০.৪৩ মিলিগ্রাম,
  • ম্যাগনেসিয়াম ১৭ মিলিগ্রাম,
  • ম্যাঙ্গানিজ ০.০৮৯ মিলিগ্রাম,
  • জিংক ০.৮০ মিলিগ্রাম।

এইতো গেল করলার পুষ্টিগুণ। কিন্তু অনেকে আছেন যারা করলা কুচি কুচি করে ভেজে খেতে পছন্দ করেন। তখন অনেক বিচিও ভাজা হয়ে থাকে। আপনি হয়তো জানেন না এই করলার বিচিতেও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান।

আরও পড়ুন: নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রতি ১০০ গ্রাম করলার বিচিতে থাকা পুষ্টিগুণ—

  • শক্তি ৭৯ কিজু (১৯ kcal)
  • শর্করা ৪.৩২ g
  • চিনি ১.৯৫ g
  • খাদ্য আঁশ ২ g
  • স্নেহ পদার্থ ০.১৮ g
  • প্রোটিন ০.৮৪ g
  • থায়ামিন (বি১) ০.০৫১ মিগ্রা
  • রিবোফ্লাভিন (বি২) ০.০৫৩ মিগ্রা
  • নায়াসিন (বি৩) ০.২৮ মিগ্রা
  • প্যানটোথেনিক অ্যাসিড (বি৫) ০.১৯৩ মিগ্রা
  • ভিটামিন বি৬ ০.০৪১ মিগ্রা
  • ফোলেট (বি৯) ৫১ μg
  • ভিটামিন সি ৩৩ মিগ্রা
  • ভিটামিন ই ০.১৪ মিগ্রা
  • ভিটামিন কে ৪.৮ μg
  • ক্যালসিয়াম ৯ মিগ্রা
  • লৌহ ০.৩৮ মিগ্রা
  • ম্যাগনেসিয়াম ১৬ মিগ্রা
  • ম্যাঙ্গানিজ ০.০৮৬ মিগ্রা
    ফসফরাস ৩৬ মিগ্রা
  • পটাশিয়াম ৩১৯ মিগ্রা
  • সোডিয়াম ৬ মিগ্রা
  • জিংক ০.৭৭ মিগ্রা

করলার চাষ পদ্ধতি

গ্রামবাংলা শত শত বছর ধরে মানুষজন বাড়ির আঙ্গিনায় করলা গাছ রোপন করত। বিনা যত্নে অবহেলায় কোনো গাছের ডালপালা বেয়ে অথবা ঝোপঝাড় অবলম্বন করে এটা বেড়ে উঠতো। এখনো গ্রামে অনেকে বাঁশে মাচা তৈরি করে দেয় এই লতা জাতীয় সবজি বেড়ে ওঠার জন্য। কিন্তু এগুলো সব পারিবারিকভাবে সবজি খাওয়ার জন্য। বাণিজ্যিকভাবে করলা চাষ করতে গেলে বেশকিছু নিয়ম পালন করতে হয় নচেৎ ভালো ফসল উৎপাদন হবে না।

উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ায় করলা ভালো জন্মে। বাংলাদেশ উষ্ণ ও আর্দ্র হওয়ায় এখানে করলা অনেক ভালো জন্মায়। কিন্তু অতি বৃষ্টিপাতে ফুল ও ফুলের রেণু নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পরাগায়নে ক্ষতি সাধিত হতে পারে।

দেশের প্রায় সব মাটিতেই করলার চাষ করা যেতে পারে। তবে জৈব সার সমৃদ্ধ দো-আঁশ বা বেলে দো-আঁশ মাটিতে চাষ করলে ভালো ফলন হয়।

করলার জাত: বাণিজ্যিকভাবে করোলা চাষের জন্য বাংলাদেশের কৃষি বিজ্ঞানীরা বেশ কিছু জাত উদ্ভাবন করেছেন।

  • বারি করলা-১
    জাতটিতে গাঢ় সবুজ রঙের। ২৫-৩০টি করলা হয় প্রতিটি গাছে।
    প্রতিটি করলার গড় ওজন ১০০ গ্রাম এবং লম্বায় ১৭-২০ সেমি এবং ব্যাস ৪-৫ সেমি।
    চারা রোপণের ৫৫-৬০ দিনের মধ্যেই করলা তোলা যায়। আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ করলে প্রতি হেক্টরে ফলন ২৫-৩০ টন পাওয়া যায়।
  • গজ করলা
    এই জাতটিতে সবুজ রঙের ১৫-২০টি করলা ধরে প্রতিটি গাছে।
    প্রতি ফলের গড় ওজন ১৫০-২০০ গ্রাম। যা লম্বায় ২৫-৩০ সেমি এবং ব্যাস ৬-৭ সেমি। প্রতি হেক্টরে ফলন ২০-২৫ টন।

জীবন কাল: এগুলোর মোট জীবনকাল প্রায় চার থেকে সারে চার মাস। তবে জাত ও আবহাওয়াভেদে কখনো সময় কম বা বেশি হতে পারে।

উৎপাদন মৌসুম: ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে যে কোন সময় করলার বীজ রোপন করতে হবে। তবে শীতের সময় বীজ বপন করা ঠিক নয়। তখন গাছ কম বৃদ্ধি পায়।

বীজের পরিমাণ: প্রতি হেক্টরে যথাক্রমে ৬-৭.৫ কেজি বীজের প্রয়োজন হতে পারে।

জমি তৈরী ও বপন পদ্ধতি: করলার বীজ রোপনের মাদা ৪০x৪০x৪০ সেমি হতে হবে। প্রতি মাদায় কমপক্ষে ২টি বীজ বপন বা পলিব্যাগে উৎপাদিত ১৫-২০ দিন বয়সের চারা রোপণ করতে হবে। প্রতি সারিতে এক মিটার করে ব্যবধান থাকবে।
অন্তত ১০ দিন আগে মাদায় নির্ধারিত সার প্রয়োগ করে তৈরী করতে হবে ।

আরো পড়ুন: লিচু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

ফসল সংগ্রহ ও ফলন: চারা গজানোর ৪৫-৪৫ থেকে প্রায় ২ মাস লেগে যেতে পারে ফল হতে।
স্ত্রীফুলের পরাগায়নের ১৫-২০ দিনের মধ্যে করলা খাওয়ার উপযুক্ত হয়।
ফল আহরণ একবার শুরু হলে তা দুমাস পর্যন্ত আহরণ করা সম্ভব।

করলার উপকারিতা

তিতা স্বাদযুক্ত এই করলা অনেকেই খেতে চায় না। কিন্তু ‘করলার উপকারিতা ও অপকারিতা’ প্রবন্ধে করলার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে হয়তো অনেকেই এখন থেকে করলা খাওয়া শুরু করতে পারে। তাই আপনাদের জন্য করলার উপকারিতা সমূহ নিচে আলোচনা করা হলো।

  • গুরুত্বপূর্ণ কাজে লাগে করলা

অনেক গুণ আছে এই করলার রসে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের দূষণ দূর করে। হজম ক্রিয়ায় গতি বৃদ্ধি করে। পানির সাথে মধু এবং করলার রস গুলিয়ে পান করলে গলার প্রদাহে উপকার পাওয়া যায়।

  • তারুণ্য ধরে রাখতে করলার প্রয়োজনীয়তা

উচ্চ রক্তচাপ ও চর্বি কমায় করলা। এর তিক্ত রস কৃমি নাশ করে ও দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে। এছাড়া এটি ভাইরাস দমনেও কাজে লাগে। করলা হিমোগ্লোবিন তৈরি করে। এতে শরীরে রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

করলার ভিটামিন সি ত্বক টানটান রাখে। রক্তে দূষণ থাকলে অনেক সময় এলার্জি হয়। করলা রক্তের দূষণ রোধ করে এলার্জিজনিত সমস্যা থেকে পরিত্রাণ দেয়।

  • হজম শক্তি বৃদ্ধি করে করলা

করলা খাদ্য হজম করতে সাহায্য করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। খাদ্য সঠিকভাবে হজম হলে খাদ্যের পুষ্টিগুণ শরীরে বিভিন্ন কাজে লাগে।

  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে করলা

ডায়াবেটিস রোগীকে ডাক্তারগণ করলা খেতে উৎসাহ দেয়। কেননা এতে থাকা উপাদান সমূহ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

  • রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করে

শাক সবজি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। করলার মধ্যে আছে এমন সব উপাদান যা বহিরাগত ক্ষতিকর জীবাণু থেকে দেহকে রক্ষা করে।

  • হার্ট অ্যাটাক রোধে করলা

করলা মানবদেহে খারাপ কোলেস্ট্রল দূর করতে সাহায্য করে। ফলে রক্ত সঞ্চালনের রগে চর্বি জমতে পারে না। এতে করে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমে যায়।

  • খাবারে রুচি আনে করলা

রুচি বর্ধক হিসেবে করলা প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। করলার তরকারি অথবা ভাজি কিংবা এর রস প্রতিদিন পান করলে খাদ্যে রুচি বৃদ্ধি পায়।

করলার ঔষধি গুণ

  • ম্যালেরিয়া রোগীর জন্য করলা

ম্যালেরিয়া হলে করলা পাতার রস খেলে খুব উপকার হয়। রোজ অল্প কিছু করলার পাতা ও দুই তিনটি গোলমরিচ পিষে এর রস রোগীকে খাওয়ালে ম্যালেরিয়া থেকে মুক্তি পায়।

  • বাতের ব্যাথা নিরাময়ে করলা

কবিরাজী চিকিৎসায় বাতের ব্যথা দূর করতে করলার রস ও গাওয়া ঘি গুলিয়ে রোগীকে পান করালে ব্যথা উপশম হয়।

  • কৃমিনাশক করলা

পেটে কৃমি হলে কয়েকদিন নিয়ম করে করলার রস পান করলে কৃমি দূর হয়ে যায়।

করলার অপকারিতা

করলার অপকারিতা

স্বাভাবিক মানুষের জন্য করোলা উপকার বয়ে আনলেও মাঝে মধ্যে এটার কিছু অপকারিতা পরিলক্ষিত হয়। ‘করলার উপকারিতা ও অপকারিতা’ প্রবন্ধে করলার অপকারিতা সম্পর্কে আপনাদেরকে অবগত করা হলো।

  • গর্ভপাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়

গর্ভবতী মহিলা অধিক পরিমাণে তিতা করলা খেলে খিচুনিতে আক্রান্ত হতে পারে। ফলে গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায়।

  • ডায়াবেটিস রোগীদের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

করলা নিঃসন্দেহে ডায়াবেটিস রোগীর জন্য উপকারী। করলা রক্তে শর্করার পরিমাণ কম করতে সাহায্য করে। কিন্তু রোগী ঔষধ খেলে সেটাও শর্করা কম করতে থাকে। ফলে এক সময় রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে গিয়ে রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।

  • অসুস্থতার কারণ করলা

চিকিৎসার জন্য করলা অথবা করলার পাতার রস পান করতে হয়। কিন্তু অধিক পরিমাণে করলার রস পান করলে পেট ফাঁপা সহ নানানবিধ সমস্যা হতে পারে। বমি আসতে পারে।

এছাড়া করলার রস অথবা করলার সবজি শিশুদের জন্য অনেক সময় ক্ষতিকর প্রমাণিত হয়। কেননা করলা রক্তের শর্করা কমাতে সাহায্য করে। এটা মোটা ব্যক্তি অথবা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য উপকারী হতে পারে। কিন্তু শিশুদের জন্য তা খুবই ক্ষতিকর। কারণ মানবদেহ শর্করা থেকে শক্তি পেয়ে থাকে। এখন শিশুর শরীরের শর্করা যদি ব্যাপক হারে হ্রাস পায় তাহলে শক্তি-শূন্যতায় শিশু অজ্ঞান অথবা কোমায় চলে যেতে পারে।

তাই বলে শিশুদের কে যে করলা খাওয়ানো যাবে না তা কিন্তু নয়। শিশুদেরকে পরিমিত পরিমাণে করলা খাওয়াতে হবে। ধীরে ধীরে অভ্যস্ত করতে হবে। কেননা তিতা হওয়ার কারণে অনেক শিশু করলা খেতে চায় না।

উপসংহার

আমরা আজকাল স্বাদের পেছনে ঘুরছি। মুখরোচক খাবার খেতে গিয়ে অনেক ভাজাপোড়া অস্বাস্থ্যকর খাবার ভক্ষণ করে থাকি। কিন্তু সকল মুখেরোচক খাবার তো আর পুষ্টিকর হয় না। তাই আমাদের উচিত শাকসবজি আহার করা।

শাক সবজির মধ্যে করলা অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। যা ‘করলার উপকারিতা ও অপকারিতা’ প্রবন্ধে আপনারা জানতে পেরেছেন। তাই আমাদের নিয়মিত করলা খাওয়া উচিত এবং বাড়ির আশেপাশে এটার গাছ লাগানোর উচিত।

About Juyel Ahmed Liton

সুপ্রিয় “প্রোবাংলা” কমিউনিটি, ছোটবেলা থেকেই প্রযুক্তির প্রতি আকর্ষণ ছিলো এবং হয়তো সেই আকর্ষণটা অন্য দশ জনের থেকে একটু বেশি। ওয়েবসাইট, টাইপিং, আর্টিকেল লেখাসহ টেকনোলজি সবই আমার প্রিয়। জীবনে টেকনোলজি আমাকে যতটা ইম্প্রেস করেছে ততোটা অন্যকিছু কখনো করতে পারেনি। আর এই প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ থেকেই লেখালেখির শুরু.....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *