বাংলা বর্ণমালা (স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ)

বাংলা বর্ণমালা- Bangla Bornomala: বাংলা বর্ণ হচ্ছে বাংলা ভাষায় লিখার জন্য কিছু সাংকেতিক চিহ্ন। সকল বর্ণকে এক সাথে বর্ণমালা বলে। এই বর্ণগুলো পূর্ব নাগরী লিপি থেকে উদ্ভব হয়েছে বলে বিভিন্ন তথ্য সূত্র হতে জানা যায়। তাছাড়াও বাংলা লিপি সিদ্ধং লিপি হতে আবির্ভুত হয়েছে এমনটাও মনে করা হয়। পূর্ব নাগরী লিপি অথবা বাংলা লিপি বিশ্বের ৫ম ব্যবহৃত লিখন পদ্ধতি।

বাংলা বর্ণমালার বিস্তারিত-

বাংলা বর্ণমালাকে প্রধানত দুই ভাগে বিভক্ত করা হয় :
১. স্বরবর্ণ
২. ব্যঞ্জনবর্ণ

বাংলা বর্ণমালায় মোট ৫০টি অক্ষর রয়েছে।
১. স্বরবর্ণ: স্বরধ্বনির লিখিত চিহ্ন বা প্রতীককে বলা হয় স্বরবর্ণ। বাংলা ভাষায় স্বরবর্ণ ১১টি।
যথা: অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, এ, ঐ, ও, ঔ।

২. ব্যঞ্জনবর্ণ: ব্যঞ্জনধ্বনির লিখিত চিহ্ন বা প্রতীককে ব্যঞ্জনবর্ণ বলা হয়। বাংলা ভাষায় সর্বমোট ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৯টি।
বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণ সমূহ (ক খ বর্ণমালা)

মাত্রার উপর ভিত্তি করে বাংলা বর্ণমালাকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে।

বর্ণের মাত্রাসংখ্যাস্বরবর্ণব্যঞ্জনবর্ণ
মাত্রাহীন বর্ণ১০টি৪টি (এ, ঐ, ও, ঔ)৬টি (ঙ, ঞ, ৎ, ং, ঃ, ঁ)
অর্ধমাত্রার বর্ণ৮টি১টি (ঋ)৭টি (খ, গ, ণ, থ, ধ, প, শ)
পূর্ণমাত্রার বর্ণ৩২টি৬টি (অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ)২৬টি

আরো দেখুন: ফুলের ছবি ও ফুলের নাম তালিকা (৫০০+)

বর্ণের দ্বারা শব্দ গঠন:
নিচে শিশুদের জন্য সহজে উচ্চারণ যোগ্য কিছু শব্দ তুলে ধরা হলো:

বর্ণশব্দ
অজগর, অজ
আতা, আম
ইলিশ, ইট
ঈশান, ঈগল
উট
ঊষা, ঊর্মি
ঋষি, ঋতু
একতারা, একতা
ঐরাবত
ওল, ওড়না
ঔষধ
কলম, কলা, কনুই, কপাল, কচু, কচ্ছপ, কদমফুল, কবুতর, কলস,
খবর, খই, খড়, খরগোশ
গম, গরু, গলা
ঘর, ঘড়ি
ব্যাঙ, লাঙল
চক,  চশমা, চড়ুই
ছবি, ছড়ি
জবা, জল
ঝর্ণা, ঝড়
মিঞা
টগর, টব, টমটম,
ঠোঙা
 ডাব
ঢাক
চরণ, হরিণ
তবলা, তরকারি, তরমুজ
থলে
দই
ধনিয়া, ধনুক
নদী, নখ
পটল, পড়াশোনা, পদ্ম, পদ্মা
ফড়িং, ফল, ফসল
বই, বটগাছ, বড়শি, বরই, বক, বকুল,
ভক্তি, ভবন, ভাল্লুক
ময়ূর, মহিষ, মগ, ময়না
যব, যত্ন, যন্ত্র
রজনীগন্ধা, রং, রশি, রসুন
লঞ্চ, লতা, লবণ
শসা
ষাড়, ষড়ঋতু, মহিষ
সমুদ্র, সম্রাট
হরিণ, হলুদ
পাহাড়, বড়শি
আষাঢ়
ময়না
উৎসব, কৎবেল, চিকিৎসা
 ংফড়িং, রং
 ঃদুঃখ
 ঁচাঁদ

আশা করি বাংলা বর্ণমালা’র লেখাটি পড়ে ভালো লাগলে আপনাদের ফেসবুক পেজ-এ শেয়ার করবেন। 

About Juyel Ahmed Liton

সুপ্রিয় “প্রোবাংলা” কমিউনিটি, ছোটবেলা থেকেই প্রযুক্তির প্রতি আকর্ষণ ছিলো এবং হয়তো সেই আকর্ষণটা অন্য দশ জনের থেকে একটু বেশি। ওয়েবসাইট, টাইপিং, আর্টিকেল লেখাসহ টেকনোলজি সবই আমার প্রিয়। জীবনে টেকনোলজি আমাকে যতটা ইম্প্রেস করেছে ততোটা অন্যকিছু কখনো করতে পারেনি। আর এই প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ থেকেই লেখালেখির শুরু.....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *