online Income

অনলাইনে ইনকাম করার পদ্ধতি

অনলাইনে ইনকাম করার পদ্ধতি: অর্থ উপার্জন ঐতিহ্যগতভাবেই অফলাইন কাজের সাথে সম্পর্কিত ছিলো। ইন্টারনেট সকলের কাছে পৌছানোর পরেও অনেকদিন পর্যন্ত শুধু মেইল আদান-প্রদান আর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেই সীমাবদ্ধ ছিলো। কিন্তু বর্তমানে ইন্টারনেট আমাদের জীবনের একটি বড় অংশ দখল করে নিয়েছে।

[lwptoc]

অনলাইনে ইনকাম করার পদ্ধতি

দিনের বড় একটা সময় আমাদের ইন্টারনেটের সাথেই কাটে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমাদের পৃথিবী হাতের মুঠোয় আসার পর থেকে কাজের পরিধিও বেড়ে গেছে। তৈরি হয়েছে অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনে আয় এর পথ।

বেকারত্ব সমস্যায় জর্জরিত দেশে ফ্রিল্যান্সিং করে সফলতা পাচ্ছেন অনেকেই। কিন্তু বাস্তবতা এবং সঠিক উপায় না জানায় অনেকে ব্যর্থতার বেড়াজালে আটকে আছেন। তাই আমাদের আজকের আলোচনার মূল বিষয় ফ্রিল্যান্সিং এবং অনলাইনে আয় করার কিছু কার্যকরী উপায় নিয়ে।

ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করার পদ্ধতি :

Freelancing ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আলোচনা করার আগে আমাদের জানতে হবে ফ্রিল্যান্সিং বলতে কি বুঝায়? ফ্রিল্যান্সিং একটি চুক্তি ভিত্তিক পেশা যেখানে কোনো কোম্পানীর অধীনে চাকরি করার পরিবর্তে ব্যক্তি তার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে বেশ কিছু ক্লায়েন্টকে পরিষেবা প্রদান করে। সহজ কথায় স্বাধীনভাবে একাধিক ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করার জন্য নিজের দক্ষতা, শিক্ষা এবং অভিজ্ঞতা ব্যবহার করাই ফ্রিল্যান্সিং।

অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি অথবা অনলাইনে অর্থ উপার্জনের জন্য ফ্রিল্যান্সিং বর্তমানে একটি জনপ্রিয় উপায়। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনার কোন ডিগ্রী দরকার নেই, তবে প্রয়োজন দক্ষতা। কোন বিষয়ে দক্ষতা আছে এমন লোকদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং জব পাওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে ক্লায়েন্ট এবং ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে যোগাযোগ হয়।

আপনাকে যা করতে হবে তা হলো ফ্রিল্যান্স কাজ পাওয়া যায় এমন কোন ওয়েবসাইটে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। এরপর কাজের তালিকাগুলো থেকে আপনার জন্য উপযুক্ত কাজ খুজে বের করে কাজ পাওয়ার জন্য আবেদন করা।

আরো পড়ুন: কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়

অনলাইনে ইনকাম ২০২৩

কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনার দক্ষতা ও কাজের বিবরণী দিয়ে গিগ প্রকাশ করতে হয়, ফলে ক্লায়েন্ট সরাসরি আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারে। ফাইভার ডটকম, আপওয়ার্ক ডটকম, ফ্রিল্যান্সার ডটকম এবং মাইক্রোওয়ার্কার ডটকম এমন কিছু ওয়েবসাইট যেখানে ফ্রিল্যান্স জব পাওয়া যায়। আপনি এই ওয়েবসাইটগুলির মাধ্যমে প্রতিটি কাজের জন্য ৫ ডলার থেকে ১০০০ ডলার পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন।

অনলাইনে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি, প্রদত্ত কাজটি সফলভাবে শেষ করার পর আপনার ক্লায়েন্ট সেটিকে বিশ্লেষন করে অনুমোদন করলেই কেবল আপনি পেমেন্ট পাবেন। সেক্ষেত্রে আপনার ক্লায়েন্টের চাহিদা পূরণ করতে কাজটি কয়েকবার সংশোধন করারও প্রয়োজন হতে পারে।

freelancing
ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইনে আয়

Freelancing – ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আমাদের মধ্যে একটি ভুল ধারণা রয়েছে যে ফ্রিল্যান্সিং পেশা তাদের জন্য যারা ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে জানে। কিন্তু সংজ্ঞা থেকে কি আমরা তাই জানলাম?

ইলেকট্রেশিয়ানও একজন ফ্রিল্যান্সার কিন্তু তিনি অফলাইনে সার্ভিস দেন। অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং পেশার বিস্তার দিন দিন বাড়ছে, যোগ হচ্ছে নতুন নতুন কাজ।কিছু জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্স কাজ হলো:

  • ওয়েব ডিজাইন
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • কনটেন্ট রাইটিং এন্ড ট্রান্সলেশন
  • ভিডিও মেকিং
  • ফটো ইডিটিং
  • ভিডিও ইডিটিং
  • ভার্চুয়াল অ্যাসিসট্যান্ট
  • ভয়েস আর্টিস্ট
  • ডিজিটাল মার্কেটিং

এই কাজগুলোর বিস্তার এতই বৃহৎ যে এসব কাজকে আবার সাব ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করা হয়েছে। কোন একটি ফ্রিল্যান্সিং সাইট ঘুরে দেখলেই দেখবেন কি পরিমাণ কাজ রয়েছে এবং এমন কোন কাজ আছে কিনা যে বিষয়ে আপনার দক্ষতা রয়েছে।

ব্লগিং করে অনলাইনে আয়

ব্লগ সাধারণত একটি শখ, আগ্রহ এবং আবেগ দিয়ে শুরু হয় এবং শীঘ্রই ব্লগিং অনেক ব্লগারদের ক্যারিয়ারের বিকল্পে পরিণত হয়। ইংরেজিতে যারা ব্লগিং করে তাদের অধিকাংশই পেশাদার ব্লগার, বর্তমানে বাংলা ভাষায়ও অনেকে ব্লগিংকেই মূল পেশা হিসেবে নিচ্ছেন।

অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি ২০২১
ব্লগিং করে অনলাইন ইনকাম

ব্লগ শুরু করার দুটি উপায় রয়েছে :

আপনি ওয়ার্ডপ্রেস বা ব্লগার ডটকম এর মাধ্যমে একটি ব্লগ তৈরি করতে পারেন, যার জন্য কোনও বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই, এখানে আপনি কোন বিনিয়োগ ছাড়াই ব্লগ শুরু করতে পারবেন। যেহেতু ফ্রি ব্লগ, তাই কিছু অসুবিধা থাকবে, তাছাড়াও সাইটে প্রফেশনাল লুক আসবেনা।

অন্যক্ষেত্রে, আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে, ডোমেন নেম এবং সার্ভার হোস্টিং স্পেস ক্রয় করে ব্লগ সাইট করতে হবে। বছরে নূন্যতম ৩,০০০ টাকা খরচ করেও একটি প্রফেশনাল ব্লগিং করা যেতে পারে।

টাকা খরচ করে হোস্ট করা ব্লগগুলির একটি অতিরিক্ত সুবিধা হলো আপনার প্রয়োজন অনুসারে কাস্টমাইজ করতে পারবেন এবং সাইটের নিরাপত্তা আপনার হাতে থাকবে।

♥ ফেসবুক থেকে আয় করার উপায়

ব্লগ থেকে আয় করার উপায় সমূহ :

একটি ব্লগ সোনার ডিম পাড়া হাঁসের মতো। ব্লগে একটি আর্টিকেল বছরের পর বছর আপনাকে অর্থ এনে দিতে পারে। ব্লগ থেকে বিভিন্ন উপায়ে আয় করা সম্ভব। যেমন:

  • অ্যাডসন্স বা বিজ্ঞাপন : ওয়েবসাইটে আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় গুগলের অ্যাডসেন্স থেকে আয়। ব্লগের সাথে অ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপন কানেক্ট করে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করা সম্ভব। আপনার ব্লগে যত বেশি ভিজিটরস ততো বেশি ইনকাম হবে।
  • লোকাল বিজ্ঞাপন : সাইটের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সাথে সাথে লোকাল কোম্পানিগুলো আপনার সাইটে বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য যোগাযোগ করবে।
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং : পন্য রিভিউ সাইটে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার সুযোগ বেশি রয়েছে আপনার অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক থেকে কোন পন্য কিনলেই আপনার একাউন্টে কমিশন চলে আসবে। আলীবাবা, অ্যামাজন কিংবা দেশীয় ই-কমার্স সাইটের পন্য নিয়েও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার সুযোগ পাবেন।
  • স্পন্সর পোস্ট : ভিজিটরস ডাইভার্টিং সিস্টেমের মধ্যে জনপ্রিয় মাধ্যম স্পন্সর পোস্ট। ব্লগে ভিজিটরস থাকলে ছোট ব্লগের বিভিন্ন পোস্ট ফিচার করা জন্য আপনি টাকা নিতে পারবেন।
  • গেস্ট পোস্ট/ব্যাকলিঙ্ক : আপনার জনপ্রিয় সাইটে গেস্ট ব্লগিং করার মাধ্যমে ভিজিটরসদের অনেক ব্লগাররা নিজেদের সাইট সম্পর্কে জানাতে পারবেন, এই সুবিধা প্রদানের বিনিময়ে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন। অন্যদিকে একটি ব্লগের অফ পেজ এসইও করার জন্য ব্যাকলিঙ্ক অত্যন্ত গুগরুত্বপূর্ণ। এই ব্যাকলিঙ্ক দেওয়ার বিনিময়েও টাকা আয় করতে পারবেন।
  • নিজস্ব পন্য/সেবা বিক্রি: আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সাইটের মাধ্যমে কাজ খুঁজতে না চান, তবে নিজের একটি সাইট শুরু করে সেখানে নিজের সেবা সম্পর্কে সবাইকে জানাতে পারেন। তাছাড়া নিজস্ব পন্য কিংবা ই-বুক তৈরি করে বিক্রির মাধ্যমেও ব্লগিং থেকে আয় করতে পারেন।

মনে রাখবেন, ব্লগিংয়ে সফলতা পেতে এবং উপার্জন করতে সময় এবং প্রচেষ্টা প্রয়োজন। তাই ব্লগিং করে সফল হওয়ার জন্য সহনশীলতা এবং অধ্যবসয় থাকতে হবে।

ফেসবুকে কত ভিউ কত টাকা

ইউটিউব থেকে অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি

আপনি যদি ব্লগ এবং বিষয়বস্তু লেখার মাধ্যমে আপনার চিন্তা-ভাবনাগুলি তুলে ধরতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করেন কিংবা ওয়েব ডিজাইনের ঝামেলা ও খরচ এড়াতে চান তবে ভিডিও উপস্থাপনা করে ইউটিউবে আপলোড করেও অনলাইন থেকে আয় করতে পারেন।

youtube income
ইউটিউব আয়

ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য প্রথমে ভিডিওর বিষয় নির্বাচন এবং ভিডিওর বিষয় সম্পর্কিত নাম দিয়ে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে নিন। অবশ্যই এমন বিষয় নির্বাচন করুন যার সম্পর্কে আপনি অসংখ্য ভিডিও তৈরি করতে পারবেন।তবে নিশ্চিত করুন বিষয়টি নিয়ে অনেক লোকের আগ্রহ  আছে বা হবে।

রান্নার অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে রাজনৈতিক বিতর্ক, খেরাধুলা কিংবা সেলিব্রেটি গসিপ সব কিছুই ইউটিউবে অনেক ভিউয়ারস খুঁজে পেতে পারে। চ্যানেলটিকে জনপ্রিয় করতে নিয়মিত এবং মানসম্মত ভিডিও আপলোড করুন।

গ্রাহকের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে আপনার আয়ের পথ খুলে যাবে। একটি ব্লগ থেকে যতো প্রকার আয় সম্ভব তার সবগুলো উপায়ে ইউটিউব থেকেও ইনকাম সম্ভব। সেই সাথে রয়েছে ইউটিউব পেইড সাবস্ক্রিপশন অপশন।

ওয়েব ডিজাইনিং এর মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি

সমস্ত ব্যবসায়িরাই এখন টেক সচেতন নয়, তবে সময়ের সাথে সাথে সবাই একটি নিজস্ব ওয়েবসাইটের চাহিদা অনুভব করছে। বিশেষত যাদের কাজ ওয়েবসাইটগুলোর সাথে সম্পর্কিত করা যায় তাদের জন্য বর্তমানে ব্যবসার প্রসার বাড়ানোর সবচেয়ে ভাল উপায় একটি ওয়েবসাইটে নিজেদেরকে প্রকাশ করা।

প্রতিটি ওয়েবসাইট ইন্টারফেসের দিক থেকে আলাদা, কারণ আমাদের একেক জনের পছন্দ এবং প্রয়োজন এক নয়। তাছাড়া কাস্টমার এবং ভিজিটরসকে নিজের সাইটের স্বতন্ত্রতা সম্পর্কে জানানোর প্রথম উপায়   ওয়েবসাইটের লুক।

সাইটের লুক নির্ভর করে ডিজাইনের উপর। ব্লগ এবং ওয়েবসাইট ডিজাইন করার জন্য প্রয়োজন ওয়েব ডিজাইনার, যিনি তার কোডিং দক্ষতা ব্যবহার করে সাইটটি ডিজাইন করবেন। আলোচনার শুরুতে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে ভুল ধারনার কথা বলেছিলাম, এই ভুল ধারণা কিন্তু আমাদের মাঝে এমনিই জন্মায়নি। ওয়েব ডিজাইনারদের চাহিদা এবং তাদের সম্মানীর কারণেই ফ্রিল্যান্সিং বলতে ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইনকে বুঝতাম।

Web Designer- অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি
ওয়েব ডিজাইন করে অনলাইনে অর্থ উপার্জন

ইন্টারনেট যতদিন রয়েছে, ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং ডেভলপমেন্টও চলতেই থাকবে, এসবের প্রয়োজন শেষ হবে না। তাই একজন ওয়েব ডিজাইনারের কাজের চাহিদাও কখনো কম হবে না, বরং বাড়তেই থাকবে।

এখন প্রশ্ন হলো ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে অনলাইন থেকে কিভাবে আয় করা যায়!

  • ফ্রিল্যান্স ওয়েব ডিজাইনিং
  • ডিজাইন এজেন্সীতে যোগ দিয়ে
  • প্রজেক্ট ডিজাইনার হিসেবে কাজ করে
  • ডিজাইন ব্লগ তৈরি এবং নিজের ডিজাইন প্রমোট করে
  • বিভিন্ন অনলাইন টিউটর বা কোর্স করার সাইটে ওয়েব ডিজাইন অনলাইন কোর্স অফার করে আয় করা যায়

একজন ওয়েব ডিজাইনার অনলাইন মার্কেটে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমে নিজের কাজের মূল্য বৃদ্ধি করতে পারে। একজন ওয়েব ডিজাইনার ঘন্টা ভিত্তিক কাজগুলোতে দক্ষতার উপর ১০ ডলার থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত নিয়ে থাকেন।

ডেভলপার হিসেবে :

আপনি যদি একজন ডিজাইনার হওয়ার পাশাপাশি দক্ষ ডেভলাপর হয়ে থাকেন তবে আপনাকে অভিনন্দন। আপনি জেনে অবাক হবেন, বর্তমানে অনলাইনে যতো ওয়েবসাইট রয়েছে তার মধ্যে ৩৪% ওয়ার্ডপ্রেস ভিত্তিক সাইট। ওয়ার্ডপ্রেস সাইট ডিজাইনের মূল বিষয় থিম

ওয়ার্ডপ্রেসের একটি থিম ৩০ ডলার থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে। আপনি একটি ভালমানের থিম ডেভলপ করে বাজারে রাখতে পারলেই আপনার পকেটে টাকা আসতে শুরু করবে।

অনলাইন গ্র্রাফিক্স ডিজাইন এবং ইনকাম

প্রতিদিন অনলাইন ব্রাউজ করতে তো কত ধরনের ছবি, লোগোই চোখে পরে, কখনো ভেবে দেখেছেন এগুলো কিভাবে তৈরি হলো? সব ছবিই কি শুধু ক্যামেরার শাটারে ক্যাপচার করা যায়?

সহজ কথায় শিল্পীর চিন্তা, লেখা এবং গ্রাফিক্সের মাধ্যমে একটি ছবি বা লোগো ডিজাইন করাই গ্রাফিক্স ডিজাইন।

আপনার মনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন আসছে কেন প্রাফিক্স ডিজাইনের এত প্রয়োজন কিসের! এত চাহিদা কেন গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের?

একটি অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রায় প্রতিদিনই ইনোভেটিভ ডিজাইন প্রয়োজন হয়। প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কিংবা ওয়েবসাইটের নিজস্ব আইডেন্টিটি মার্ক হলো প্রতিষ্ঠানের লোগো। এই লোগো কি কখনো কোন সাধারণ ফটো হতে পারে!

হ্যা তবে সাধারণ ছবির উপর কাজ করে লোগো হিসেবে উপস্থাপনযোগ্য করে তোলা যেতে পারে। কিন্তু এখানেও ছবির উপর অবশিষ্ট ডিজাইন করার জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনার প্রয়োজন।

Graphic Designer
গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয়

একটি বিজ্ঞাপনে সাধারণত একটি ছবি তাকে, কিন্তু ছোট এই ছবিতে বিজ্ঞাপনের পুরো বিষয়বস্তুকে তুলে আনতে হয়, যা কখনো ছবি ক্যাপচারিং এর মাধ্যমে করা সম্ভব নয়। তাহলে নিশ্চয়ই গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের চাহিদা বুঝতে পারছেন।

এখন প্রশ্ন আসে, অনলাইনে কিভাবে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে আয় করবেন?

  • লোগো ডিজাইনার হিসেবে
  • বিজ্ঞাপন কোম্পানীর সাথে কাজ করে
  • ম্যাগাজিন বা নিউজপেপারের সাথে কাজ করে
  • অ্যানিমেশন ডিজাইনার হিসেবে
  • গেম ডেভলপমেন্ট কোম্পনিতে কাজ করে
  • ফন্ট ডিজাইনার হিসেবে
  • টি-শার্ট ডিজাইন করে
  • ভিডিও টিউটোরিয়াল বানিয়ে
  • ডিজাইন টেমপ্লেট বানিয়ে বিক্রি করে
  • ওয়ার্ডপ্রেস টেমপ্লেট তৈরি করে

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে উপরের সব কয়টি কাজই খুঁজে পাবেন। তাছাড়া একজন ওয়েব ডেভলপারের মতো ওয়েব ডিজাইনাররাও ব্লগ তৈরি করে আয় করতে পারেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং করে অনলাইনে ইনকাম করার পদ্ধতি

অনলাইনে ইনকাম করার সবচেয়ে ভালো উপায়গুলোর মধ্যে একটি হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। বর্তমানে পৃথিবীর অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা বিক্রির অফলাইন প্ল্যাটফর্ম এর সাথে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। প্রতিযোগিতামূলক এই যুগে টিকে থাকতে সকল প্রতিষ্ঠানকেই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে গুরুত্ব দিতে হচ্ছে। তাই একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে ভবিষ্যত সম্ভাবনা ব্যাপক।

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মধ্যে বিভিন্ন ভাগ রয়েছে। যেমন- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, কন্টেন্ট মার্কেটিং, ভিডিও মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, এসইও ইত্যাদি। এ সকল বিষয়ে পারদর্শী হলে বিশ্বের বড় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে, বিভিন্ন কোম্পানিতে বাণিজ্য প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করে ইনকাম করা যাবে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে, কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের পন্য বা সেবা নিজ প্রচারণার মাধ্যমে বিক্রি করাকে বোঝায়। এভাবে সেই বিক্রয়ের একটি নির্দিষ্ট পরিমান কমিশন বা লভ্যাংশ পাওয়া যায়। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিশ্বব্যাপী অনলাইন ইনকামের বড় একটি ক্ষেত্র। আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে Amazon, Walmart, eBay, Alibaba, Flipkart, Share A Sale ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। অনলাইনে ইনকাম করার পদ্ধতিটি সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করতে পারলে আপনার নিজস্ব কোন প্রোডাক্ট থাকলে বা বিভিন্ন কোম্পানির হয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারেন। একজন প্রফেশনাল ডিজিটাল মার্কেটারের চাহিদা বর্তমানে অন্যান্য সকল ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি।

আমাদের শেষ কথা :

বর্তমানে অনলাইনে আয় করার সুযোগ এবং উপায়ের কোন অভাব নেই। আপনি যে কাজ করতে পছন্দ করেন, আপনার শখের কাজ করেই এবং অনলাইনে ইনকাম করার পদ্ধতি অনুসরণ করে আয় করতে পারবেন। তবে অনলাইন মার্কেটে বর্তমানে প্রতিযোগিতাও অনেক বেশি।কাজ পেতে আপনাকে দেশের ক্যান্ডিডেটদের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হয়, কিন্তু অনলাইনে ইনকাম করার পদ্ধতি (অনলাইনে আয় করার সহজ উপায়) জানার আগে জেনে নিন এই মার্কেটে আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিযোগিতা করতে হবে। তাই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার আগে নিজেকে আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ দেওয়াটাও জরুরী।

ঝরে পড়ার চেয়ে সময় নিয়ে অংশ নেওয়াই ভাল নয় কি?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version