শিশুর মানসিক সুস্থ্যতা ও সেইফ ইন্টারনেট

শিশুর মানসিক সুস্থ্যতা ও সেইফ ইন্টারনেট

শিশুর মানসিক সুস্থ্যতা ও সেইফ ইন্টারনেট: আজকের শিশুরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। আমরা বিশ্বাস করি একজন মানুষের ভাগ্য এবং ভবিষ্যৎ নির্ভর করে তার বর্তমান কর্মের উপর। সাবলীল ভাষায় বুঝা যায় আমাদের শিশুরাই আজ তাদের এবং আমাদের দুইয়েরই ভবিষ্যতের জন্য কাজ করছে। তবে আদৌ কি আমাদের এই ভবিষ্যৎ নির্মাতারা মানসিকভাবে কতটা সুস্থ আছেন? তাদের মানসিক বিকাশ সঠিকভাবে আদৌ হচ্ছে কিনা তা কি আমরা নিশ্চিত?

শিশুর মানসিক সুস্থ্যতা

আমরা জানি, একজন মানুষকে সুস্থ থাকতে হলে তাকে শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকার পাশাপাশি মানসিক ভাবেও যথেষ্টভাবে পরিপূর্ণ থাকতে হয়। আমরা শিশুদের শারীরিক সুস্থতা নিয়ে বহু দিন যাবত কাজ করছি। আমাদের সরকার, প্রশাসন, বিভিন্ম এনজিও শিশুদের শারীরিক ভাবে সুস্থ রাখতে ঐক্যবদ্ধ। তবে আমরা কি এখনো আরো উন্নত ধাপগুলোতে পৌছতে পেরেছি?

শারীরিক সুস্থতা আমরা চোখে দেখতে পারি। অপুষ্টির শিকার হওয়া বা রোগাক্রান্ত শিশুদের দিকে তাকালেই আমরা তাদের সমস্যা বুঝতে পারি তবে একজন শিশুর ভিতরটা আমরা খালি চোখে দেখতে পারি না। একজন শিশু যখন মনের দিক থেকে দূর্বল হয়ে পরে তখন তার কাছে পুরো পৃথিবীটাই স্বাদহীন হয়ে পড়ে।

প্রযুক্তির এই যুগে বাচ্চারা এখন আর খেলার জন্য পুতুল চায় না, মোবালি ট্যাব চায়। আপনার চেয়েও তারা আপডেটেড হয়ে যাচ্ছে। আপনার শিশু কোনো ঝুঁকিতে রয়েছে কিনা জানেন কি? আজ আমরা শিশুদের মানসিক সুস্থতা ,স্বাস্থ্য  ও সেইফ ইন্টানেট ( safe Internet ) নিয়ে কথা বলবো।

❐ মানসিক স্বাস্থ্য বলতে কি বোঝায়?

মানসিক শব্দটির সাথে মনের সম্পর্ক আছে। আরে সম্পর্ক আছে চিন্তাধারার, ভাবুকতার, সৃজনী শক্তির, জ্ঞান-বুদ্ধি সহ আরো অনেক কিছু। অর্থাৎ আমাদের চিন্তাধারা, সৃজনীশক্তি বা কোনো কিছু ভাবতে পারার ক্ষেত্রে যতটুকু সামর্থ্যের প্রয়োজন সেটিই হচ্ছে মানসিক স্বাস্থ্য।

শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের প্রয়োজনীয়তা কী?

আমরা আকাশের রং সাধারণত নীল বলি। কেউ কেউ আকাশের রংটাকে সাদা বলি। বেশীরভাগ মানুষই আকাশের রংকে সাদা বা নীল বলে থাকি। খুবই কম মানুষই আকাশের রং কালো বলে থাকে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে আকাশের নীল, সাদা ও কালো রংয়ের সাথে মানসিকতার সম্পর্ক কোথায়? আমরা যারা দিনের আকাশকে উপলব্ধি করি তারাই আকাশের রং সাদা বা নীল বলে থাকি। যারা রাতের আকাশ বা মেঘলা আকাশকেই বেশী ভাবি তারা কালো রংয়ের আকাশ দেখি। সম্পূর্ণটাই আমাদের ভাবনার উপর। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ যতটুকু ভাবতে পারে একজন শিশু তার থেকেও কয়েকশ গুণ বেশী ভাবতে পারার  ক্ষমতা রাখে।

আমরা প্রায়ই দেখি ছোট শিশুরা প্রচুর কৌতুহলতার সাথে নানা প্রশ্ন করেন আমাদেরকে। কিছু প্রশ্নের উত্তর আমরা দিতে পারি,কিছুর উত্তর আমরা এড়িয়ে যাই। ঠিক যেই প্রশ্নগুলোর উত্তর আমরা দিতে পারি না বা দিতে চাই না ঐ উত্তরগুলোর দিকে শিশুদের ঝোক বেশী। এখন আপনি তখন আপনার শিশুকে যেই উত্তরটা দিবেন আপনার শিশু ঐ উত্তরটাকেই সত্য বলে মেনে নিবে। তবে যেই প্রশ্ন আপনি এড়িয়ে যাবেন ঐ উত্তরটি আপনার শিশু খুঁজতে থাকবে এবং ভুল মানুষ থেকে ভুল উত্তর শিক্ষার পাওয়ার সম্ভাবনাটা এখানে বেশী।

একটা ভুল উত্তর আপনার শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিতে পারে। কৌতুহলি মন উত্তর খুঁজতে থাকে। ভুল উত্তরের সূত্র ধরে আপনার আমার শিশুরা চলে যেতে পারে ভুল পথে। আমরা খবরে অহরহ দেখতে পাই বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন হচ্ছে বা কোথাও কোথাও শিশুর আত্মহত্যা করার খবরটাও শুনতে পাওয়া যায়। এগুলোর পিছনে দায়ী কে? এগুলোর পিছনে সম্পূর্ণ দায়ভার মানসিক স্বাস্থ্যের।

আরও পড়ুনঃ গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা- প্রেগন্যান্সি খাদ্য তালিকা

কেনো আমাদের শিশুরা মানসিক ভাবে দূর্বল হয়ে পড়ছে?

আমাদের শিশুরা বদ্ধ পরিবেশে থেকে বড় হচ্ছে। আমাদের শিশুদেরকে আমরা ততটুকু জায়গা দিতে পারছি না যতটুকু তাদের প্রয়োজন। আমরা সাধারণ হিসাবটুকুও বুঝতে চাই না। আমরা সামান্য একটু মুরগি ফার্মে বদ্ধ পরিবেশে মুরগি পালন করতে চাইনা শুধুমাত্র মুরগি অসুস্থ হয়ে যাবে ভাবে। তবে কিভাবে আমরা আমাদের ভবিষ্যতের কারিগরদেরকে বদ্ধ পরিবেশে রেখে বড় হতে দিবো?

শিশুর মানসিক সুস্থ্যতা

প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৪৫ হাজার মানুষের বাস এমন এক শহরে প্রতি একজন মানুষের জন্য ৯ বর্গকিলোমিটার খোলা জায়গার প্রয়োজন। আমাদের আছে মাত্র ১ বর্গকিলোমিটার। অর্থাৎ আমাদের শিশুরা সুষ্ঠ পরিবেশে পরিপুষ্ট আবহাওয়ায় বেড়ে উঠছে না। আমাদের শিশুদের আমরা প্রাইভেট স্কুল গুলোতে দেই ভালো লেখাপড়ার জন্য। তবে DW নিউজের একটি জরিপে দেখা গেছে ঢাকা মহানগরীর ৬৪% স্কুলেই খেলাধুলা নিয়ে তেমন কোনো ক্লাস হয় না। এমনি বেশীরভাগ স্কুলে ক্যাম্পাসও নেই। দেখা যায় আবাসিক একটি বাসার কয়েকটা ফ্লোরে স্কুল খুলে বসে এবং একটি বেঞ্চে প্রায় ৩ থেকে ৪ জন ছাত্র গাদাগাদি করে ক্লাস করে। ঢাকার ৯৫% স্কুলে কোনে খেলার মাঠই নেই।

হিসাবটা যখন কাগজে কলমে উঠে আসে তখন দেখা যায় যে ৫৪টি পার্ক ও ২৫ টি খেলার মাঠ থাকলে তা বেশীর ভাগই বিকেলে রিকশার গ্যারেজ নতুবা কোনো প্রভাবশালীর  বাড়ীর ইট বালু রাখার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।  আমাদের শিশুরা ক্রিকেট খেলার নিয়ম জানে তবে জানে না কিভাবে “V” করে ব্যাট ধরতে হয়। তারে জানে না কিভাবে ফুটবলের হওয়া বের হয়ে গেলে কিভাবে হাওয়া ভরতে হয়।

তারা প্লে স্টোর বা পিসিতে গেইম ডাউনলোড করে কনসোল ব্যবহার করে খেলাধুলা করে। শিশুরা সারাটাদিন ল্যাপটপ, পিসি, ফোনের সামনে থেকে রোবটের মতন রূপ ধারণ করছে। যদিও এই ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস গুলো তাদের লেখাপড়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছে তবুও লেখাপড়া ছাড়াও একটা শিশু যখন দিনের বেশীরভাগ সময় এই ডিভাইসগুলোর সাথে থাকছে তখন সে মানসিক ভাবে বিকলাঙ্গ হয়ে পড়ছে।

ইন্টারনেট ( Internet ) ও শিশুর মানসিক সুস্থ্যতা

সবার জন্য ইন্টারনেট। আপনার জন্যও ইন্টারনেট। আমার জন্যও ইন্টারনেট। আপনি যা ইচ্ছা তা ইন্টারনেটে খু্ঁজতে পারেন। আমিও যা ইচ্ছা তা ইন্টারনেটে খুঁজতে পারি। আমাদের নরম মনের কোমল শিশুরাও যা ইচ্ছা তা খুঁজে নিতে পারে। ইন্টারনেট এখন বাসার পাশে পাওয়া ১০ টাকার ঝালমুড়ি। এই সস্তা ইন্টারনেট আমাদের শিশুরা ভালো কাজেও ব্যবহার করছে, খারাপ কাজেও ব্যবহার করছে।

এই যে কোভিড ১৯ চলাকালীন সময় আমাদের শিশুরা সারাটাদিনই অনলাইন ক্লাস করছিলো। সারাটাক্ষনই কি আপনি আপনার শিশুকে ক্লাস করতে দেখেছেন? কেউ কেউ ব্রাউজারে Tab ওপেন করে ফেসবুকিং করেছে, গেইম খেলেছে। আমাদের শিশুরা এখন বহু এডভান্স।

ইন্টারনেটে ভালো কিছু তো সহজে পাওয়া যায়, খারাপ জিনিসগুলো আরো বেশী পাওয়া যায়। Anonymously চ্যাটিংয়ের বহু সাইট গুগলে সার্চ করলেই পাওয়া।যায়। নাম ঠিকানা ভুল দিয়ে সহজেই আপনি যে কারো সাথে চ্যাটিং করতে পারেন এমনকি আপনি চাইলে অসদাচরণও করতেই পারেন। তাই শিশুর মানসিক সুস্থ্যতা ও ইন্টারনেট সেইফ অতীব জরুরী। 

নিষিদ্ধ জিনিসগুলোর প্রতি বৃদ্ধ, তরুণ, শিশু সবারই একটা আকর্ষণ থাকে। আপনার অগোচরে আপনার শিশু ইন্টারনেট ঘেটে বহু জিনিস শিখে নিচ্ছে। পর্ণের সহজলভ্যতা শিশুদের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ। বহু বার আমাদের দেশে পর্ণসাইট নিষিদ্ধ হয়েছে। তবুও তা এমন এক অবস্থার প্রমান দেয় যেন আপনি এক হিমালয়ের কনকনে শীতে সামান্য কাথা ব্যবহার করে টিকে আছেন।

 প্রতিটি শিশুর মনোভাব থাকারা কথা ছিলো কোমল সেখানে ইন্টারনেটের বিশ্রী দিকগুলো কৌতুহলবশত গ্রহন করে শিশুরা হয়ে উঠসে হিংস্র। আমরা যদি আজ শিশুদের প্রতি বড়দের বিরূপ আচরন বা শোষণ -নির্যাতন দেখে থাকি তবে খোঁজ নিলে দেখা যাবে প্রতিটি নির্যাতনকারীই তার শৈশব – কৈশর থেকে হিংস্রতার শিক্ষা পেয়েছে। শুধুমাত্র ইন্টারনেট থেকে পাওয়া বিরূপ শিক্ষা গুলোর কারণেই এখনো অনেক অভিভাবক তাদের শিশুদের ইন্টারনেট থেকে দূরে রাখতে চান।

বিভিন্ন সংস্থা শিশুদের জন্য বিনামূল্যে ইন্টারনের সুরক্ষা জনিত কোর্স ( ‍safe internet course ) করার ব্যবস্থা করলেও তা এখনো সর্বস্তরের জন্য কার্যকর হয়নি। এখনো বহু শিশু কিশোররা তাদের সোশ্যাল সাইট গুলোর পাসওয়ার্ড অন্যদের সাথে শেয়ার করে, বহু কিশোর ও কিশোরী উভয়ই তাদের ইনবক্সে নানা প্রকার অসদাচরণের শিকার হন এবং চুপ করেও থাকেন। দেখা যাচ্ছে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিরূপ প্রভাবের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের অপব্যবহার এবং অসুরক্ষিত ইন্টারনেট ব্যবহারও দায়ী।

শিশুদের নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের ৫টি উপায়

শিশুর সুস্থ বিকাশের জন্য প্রতিটি অভিভাবকের জন্যই নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করা গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য উপযুক্ত ৫টি উপায় হলো:

  1. প্যারেন্টাল কন্ট্রোল ই-মেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করুন। এটি ব্যবহার করে শিশু কী দেখছে তার উপর নজরদারি করা সম্ভব। শিশুদের ই-মেইল অ্যাকাউন্টটি খোলার সময় তার জন্ম তারিখটি সংযুক্ত করার পর সেটি যদি ১৩ বছরের নিচে হলে এই ই-মেইল ঠিকানা ব্যবহারের জন্য Google থেকেই রিকমেন্ড করা হবে।
  2. ইউটিউব কিডস, সেফ ব্রাউজার-প্যারেন্টাল কন্ট্রোল এবং সিকিউরিটি বিষয়ক আরো অ্যাপস আছে যেগুলো ইন্সটল করে রাখলে অন্যান্য অ্যাপসেও যাতে অ্যাডাল্ট কন্টেন্ট না আসে সেটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
  3. ফেসবুক এবং মেসেঞ্জার ব্যবহারের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের চাইল্ড ভার্সন অ্যাকাউন্ট খুলে বাচ্চাদের ব্যবহার করতে দিন। সেক্ষেত্রে তারা ব্যবহার করলেও অভিভাবকদের সুপারভাইজ করার সুযোগ থাকে।
  4. যে কোম্পানির কাছ থেকে ইন্টারনেট সংযোগটি নেয়া হচ্ছে, তাদের সার্ভিসে বাচ্চাদের জন্য সেফ ইন্টারনেটের ফিচারটি আছে কিনা সেটি যাচাই করে নিন।
  5. একই ইন্টারনেট কানেকশন বা ওয়াই-ফাই ব্যবহার করে পরিবারের বড়রা ক্ষতিকারক কন্টেন্ট দেখলে, ইন্টারনেট থেকে সেই আইপি এড্রেস ফলো করে আইপি অ্যাড্রেসের সংযুক্ত অন্যান্য মোবাইলেও একইরকম কন্টেন্ট দেখানো হয়। তাই পরিবারের বড়দেরও সতর্ক থাকতে হবে।

শিশুর মানসিক সুস্থ্যতা ও স্বাস্থ্য রক্ষায় অভিভাবকদের করণীয়

এই লেখাটির আগেও বহু লেখালেখি হয়েছে শিশুর মানসিক সুস্থ্যতায় অভিভাবকদের করণীয় নিয়ে। ব্যতিক্রম কিছু উপায় ও করণীয় নিচে দেওয়ার চেষ্টা করছি :

  • শিশুদের সাপ্তাহে ২ দিন নিজের তত্ত্বাবধানে খেলার মাঠে নিয়ে গিয়ে খেলাধুলা বা হাঁটাহাটির ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন।
  • শিশু যদি বাসায় থেকে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসই ব্যবহার করতে চায় তবে তাকে ডিভাইস গুলো ব্যবহার করার জন্য সময় বেধে দিতে হবে।
  • অভিভাবক হিসেবে আপনি আপনার শিশুর পাসওয়ার্ড নিজের কাছে রাখতেই পারেন তবে শিশুকে এমন ভাবে বুঝিয়ে পাসওয়ার্ড নিবেন যেন সে বিব্রত না হয়।
  • আপনার সন্তানের বন্ধুদেরকে আপনি বাসায় দাওয়াত দিতে পারেন। এতে আপনি যাচাই করতে পারেন আপনার সন্তান ঠিক কাদের সাথে সময় কাটাচ্ছে বা আদৌও তারা আপনার শিশুর জন্য উপর্যুক্ত কিনা।
  • আপনার সন্তানের ওয়েব হিস্টোরি নিয়মিত চেক করতে পারেন।
  • শিশুকে সাইবার ক্রাইম সম্পর্কে অবহিত করতে পারেন।
  • পর্ণোগ্রাফি এর ক্ষতিকর দিকসূমহ সম্পর্কে শিশুদের পরিষ্কার ধারণা দিতে হবে
  • শিশুদের মন খারাপ বা অবসাদের সময়গুলোতে একটু বাড়তি সময় ও যত্ন দিতে হবে।

শেষ কথা:

শিশুর মানসিক সুস্থতা ও সেইফ ইন্টারনেট (Safe Internet ) নিশ্চিত করতে অভিভাবকের করণীয়গুলোর শেষ নেই। আজকের শিশুরাই আগামীর বাহক। তাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার সবটুকুই নিশ্চিত করা আমাদের কর্তব্য। তবে আমাদের বেশিরভাগ মা-বাবাও এখন ইন্টারনেটের কবলে আক্রান্ত, যার কারনে আমরাও মেজাজ ধরে রাখতে পারিনা।

যান্ত্রিক এই জীবনে বাবা-মা ছাড়া আমাদের সন্তানদের তেমন কোনো নিরাপদ আশ্রয় নেই। সেই বাবা-মা যখন কাছে টেনে নেয় না, বন্ধুরূপে গ্রহণ করেনা, তখন শিশুরা ইন্টারনেটের আশ্রয় নিলে শুধু তাদেরকে দোষ দেওয়া চলেনা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top